লেখক সাব্বির ইসলামের পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড গল্প।পর্বঃ১

 পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড 


পর্বঃ ১ 


লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,


 গল্পের নায়ক এর নাম হচ্ছে সাব্বির। এখন গল্পটা শুরু করা যাক 👇👇👇 


সাব্বির একটা চায়ের দোকানে বসে তার নতুন ফোনে গেম খেলছিলো তখনি নিরব সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো।

 

( ওহ আপনাদের বলে রাখা ভালো নিরব হচ্ছে সাব্বির এর বন্ধু ) 


তখন নিরব সাব্বিরের হাতে ফোন দেখে কাছে গিয়ে বললো। 


নিরবঃ কিরে দুস্ত কি করিস এইখানে বসে আর তর হাতে কার ফোন এটা। 


সাব্বিরঃ আমার ফোন নতুন কিনলাম আজ। 


নিরবঃ তাই নাকি নতুন ফোন কিনলি অথচ একটিবার বললি না আচ্ছা সে যাই হোক এখন ট্রিট দেহ আমার। 


সাব্বিরঃ শালা সারে সাতাশ দিন কান্না করে ফোনটা কিনছি তকে ট্রিট দেওয়ার জন্য যা বাগ । 


নিরবঃ কিপটে কোথার তুই সব সময় এমনি করিস ট্রিট দিলি না তো দেখিস তর ফোনের উপর ঠাডা পড়বো। 


সাব্বিরঃ তখন আমি ফোন বালিশ এর নিচে রাইখা দিবো যাতে ঠাডা না পরে। 


নিরবঃ তর উপর পড়বো তাইলে ঠাডা। 


সাব্বিরঃ তুই কথা কইলে তরে এখনি দুইটা ঘুসি দিমু। 


নিরবঃ আচ্ছা তর কাছ থেকে গতকাল আমি একশো টাকা নিয়েছিলাম মনে আছে। 


সাব্বিরঃ হুম মনে আছে কবে দিবি টাকা। 


নিরবঃ যা বাগ হালা ওই টাকা আমি ট্রিট হিসেবে নিলাম। 


তখন সাব্বির ফোনটা পকেটে রেখে বললো। 


সাব্বিরঃ তর ট্রিট আমি বের করছি দাড়া এখনি টাকা দেহ। 


নিরব এটা শুনে দৌড়াতে লাগলো আর বললো। 


নিরবঃ দেখলি তো নিজেই নিজের বিপদ ডাকলি এখন তর একশো টাকা গেলো। 


নিরব এই বলে আরো জোরে দৌড়ে চলে গেলো তখন সাব্বির দাড়িয়ে একা একা বলতে লাগলো। 


সাব্বিরঃ থাক একশো টাকাই তো বন্ধু খেয়েছে তো কি হয়েছে। 


এই বলে সাব্বির সেখান থেকে চলে আসলো আর তখন সাব্বির তার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো কিছুটা দূরে গিয়ে একা একা বললো। 


সাব্বিরঃ শালা কামডা করছে কি আমার একশো টাকা মেরে দিলো । 


এইবলে হাটতে লাগলো আর কিছুটা সামনে গিয়ে আবারও বললো। 


সাব্বিরঃ আব্বু কাছ থেকে একশো টাকা চাইলে দশ টাকা দিয়ে বলে তোদের মতো থাকতে আমায় ১ টাকা দিতো তকে আমি ৯ টাকা বেশি দিলাম হারামি তুই দশটাকা খেয়ে ৯০ টাকা দিতি। 


তখন সাব্বির হাটতে হাটতে তার বাসায় চলে গেলো গিয়ে তার রুমে বসে ভাবতে লাগলো। 


সাব্বিরঃ কত কষ্ট করে একশো টাকা দিলাম দার হিসেবে আর শেষ পযন্ত হারামির পেটে গেলো একটু দিয়ে খেলেও না আমায়। 


তখনি সাব্বির এর রুমে তার বোন ঝুমুর আসলো এসে দেখলো সাব্বির কি যানি ভাবছে তখন ঝুমুর বললো। 


ঝুমুরঃ কি ভাইয়া কি ভাবছো এমন করে। 


সাব্বিরঃ ভাবছি বাঁশ কত প্রকার ও কি কি। 


ঝুমুরঃ বুঝতে পারছি তুমি আজ বাঁশ নামক মজা খাইছো। 


সাব্বিরঃ একটা চর দিমু কোনো দাঁত পড়তো না। যা এখন সামনে থেকে। 


ঝুমুরঃ আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি। 


তারপর ঝুমুর চলে গেলো এখন ছোট করে পরিচয় দিয়ে ফেলি। 


হুম এখন যে কথা বললো নাম ঝুমুর সাব্বির এর ছোট্ট বোন খুব ভালবাসে সাব্বির তার বোন কে ঝুমুর এখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আর সাব্বির ইন্টার ফাইনাল ইয়ারের ছাএ। সাব্বির এর আব্বু একটা কোম্পানির মাঝে জব করছে মাধ্যবিও তারা। তার আম্মু সাব্বির কে আর ঝুমুর কে দেখাশোনা করেন। 

।।


সাব্বির এর সব বন্ধুর ফোন আছে কিন্তু সাব্বির এর ফোন নেই তার আব্বু কে যখন বললো তখন বললো পারবে না কিনে দিতে কারন এত টাকা দিয়ে কিনতে পারবে না সাব্বির এটা শুনে কান্না করতে লাগলো। 

তখন তার আব্বু একটা কম দামি ফোন কিনে দেয় ছেলের আবদার টুকু পূর্ণ করে দেয়। 

।। 

এদিকে ঝুমুর যাওয়ার পর সাব্বির তার ফোন নিয়ে ফেসবুক ডাওনলোড করলো আর তখন নতুন একটা আইডি খুললো তার নাম দিয়ে খুলে একটা ছবি দিলো তার প্রোফাইলে সাথে কিছু ফ্রেন্ড এড করলো তার কিছু বন্ধু আছে তাদেরকে ও এড করলো। তখন নিরব কেও এড করলো নিরব তখন লাইনে ছিলো সাব্বিরের ছবি দেখে চিনতে পারছে আর সাথে সাথে মেসেজ দিলো। 


নিরবঃ কাকু কেমন আছেন। 


তখন সাব্বির রিপ্লাই দিয়ে বললো। 


সাব্বিরঃ শালা লাথি মেরে নেটওয়ার্ক এর বাহিরে ফেলে দিমু। 


নিরবঃ আমি গ্রামিন সিম চাইলাই এত সহজে নেটওয়ার্ক যাবে না। 


সাব্বিরঃ আচ্ছা মঝা করা বাধ দেহ বল তখন কোথায় গিয়েছিলি। 


নিরবঃ আর বলিস না আম্মু এই শিশু পোলাটারে বাজারে পাঠাইছে বাজার করতে। 


সাব্বিরঃ একদম ঠিক আছে আমি আন্টিকে বলবো তকে প্রতিদিন বাজারে পাঠাতে। 


নিরবঃ এমন যায়গায় মারমু না তরে সারাজীবন বিয়ে করতে পারবি না। 


সাব্বিরঃ হি 😁 হি 😁 হি 😁 আমার লগে আছে তর লগে কি নাই আমিও তখন মাইরা দিমু আয় খালি আমি আন্টিকে বলমু তকে প্রতিদিন বাজারে পাঠাইতে। 


নিরবঃ আমি এখনি আম্মুরে বলছি আমি যাবো না আর বাজারে। 


সাব্বিরঃ যাহ গিয়ে বল আমি তো বলবোই। 


তখন নিরব সাথে সাথে অফলাইনে চলে যায় সাব্বির আর কিছুখন ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করে বের হয়ে আসতে যাবে তখনি একটা আইডি রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার মেসেজ আসলো সাথে৷ ইনবক্সে মেসেজ আসলো। 

সাব্বির ফেসবুকে গিয়ে দেখে আইডির নাম। 


#শয়তানের_নানি সাব্বির তখন হাসতে হাসতে বললো। 


সাব্বিরঃ শালার আজ পযন্ত শয়তান কে দেখলাম না আজ এসে শয়তানের নানি হাজির। 


তখনি ওই আইডি থেকে আবার মেসেজ আসলো। 


_ Hi


সাব্বিরঃ জি আপনি আসছেন কেন আপনার কোনো নাতনিকে পাঠান তারপর শয়তানের নানি আসুক । 


_ হি 😁 হি 😁 হি 😁 আপনি তো ভালো মঝা করতে পারেন । 


সাব্বিরঃ কি যানি কে যানে আপনি কে বলেন তো। 


_ আমি হচ্ছে শয়তানের নাতনি সামিয়া। 


চলবে ইনশাআল্লাহ..... 




নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম