লেখক মাহফুজ মাহমুদের "হ্যাকার" গল্প (হ্যাকিং সম্পর্কিত গল্প)



হ্যাকার

                                           লেখক_মাহফুজ_মাহমুদ





 দুপুরে কলেজ থেকে বাসায় আসলাম,তারপর কম্পিউটার রুমের দিকে গেলাম,দরজায় ফিংগারপ্রিন্ট সহ আরো কয়েকটা সিকিউরিটি দিয়ে লক খুললাম,তারপর ভিতরে ঢুকতেই আমার প্রিয় বিড়ালটি কাছে আসলো,কিন্তু মনে হচ্ছে একটু ভয় পেয়ে আছে। কিন্তু এমনভাবে কেন ভয় পেয়ে আছে বুঝলাম না,তখনই চোখ পড়লো কম্পিউটারের দিকে।

কম্পিউটারের দিকে চোখ পড়তেই মনে মনে হাসলাম,কারন কম্পিউটারের নোটিফেকেশন সিস্টেমে অন্যরকম একটা ইমুজি দিয়ে রাখছি,যেটা দেখতে একটু ভুতুরে টাইপের,আমার নিজের নিরাপত্তার জন্য এটা দিয়ে রাখছি,যাতে কেউ চাইলেও সহজে আমার ইনফরমেশন না নিতে পারে,

আর দেরি না করে কম্পিউটার সিস্টেম অন করলাম,তারপর নিজের একটা ফেভারিট গান প্লে করলাম,গানটা শুনতে শুনতে ডার্ক ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলাম,এখন আমার কাজ হলো সমস্ত অপরাধীদেরকে খুজে দেখা,

আমার বাবা ছোট বেলা থেকে শুধু একটা জিনিসই বলতো,যদি আমার সামনে কোনো অপরাধ ঘটে,তাহলে যেনো থেমে না থাকি,যদি পারি তাহলে অপরাধীদেরকে সমূলে নিপাত করে দিবো,সেটা ভেবেই সবসময় এগোতে থাকি,তখনই চোখ পড়লো একটা কনভারশেসনের দিক, এটা মনে হচ্ছে কারো প্রাইভেট মেসেজ,

কারো প্রাইভেট মেসেজের মধ্যে থাকতে হয়তা,তাই বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম,কিন্তু মেসেজ গুলোর সিক্রেট কোডগুলোর দিকে নজর পরতেই তো আকাশ থেকে পড়লাম,একটা মেয়ে একটা প্রাইভেট গ্র্রুপের সাথে কথা বলছে,দেশের কোনো একটা  গুরুত্বপূর্ণ সার্ভার হ্যাক করার চেষ্টা করছে এবার নিজের মন বলে উঠলো এদেরকে সমূলে নিপাত করতে হবে,

এরা দেশের নাগরিক হয়ে নিজের দেশের সাথে বেইমানি করছে। সরকার অবদিও জানতে পারে নাই এসব বিষয়ের কথা। যাইহোক আমি এসব ভাবতে ভাবতে ওদের সমস্ত কথা শেষ হয়,মেয়েটার নাম বের করে নিলাম,নামটা খুব মিষ্টি,মেয়েটার নাম রুহি,নামটা তো ভালো,কিন্তু কাজটা ভালো না,

তারপর ওদের কনভারশেষন গুলো কপি করে নিজের পেন ড্রাইভে রেখে দিলাম।যাতে করে ওদের এই দৃর্বল জায়গাতে আঘাত করতে পারি।

অনেক সময় ধরে চেষ্টা করলাম ওদের ভাষাগুলো বোঝার জন্য,৯০% বাদে একটা জিনিসও বুঝতে পারলাম না,তাই অর প্রান্তে থাকা সাজিদকে কল দিলাম,

--হ্যালো সাজিদ কেমন আছিস তুই..?

--আমি অনেক ভালো আছি,তোর কি অবস্থা..? আর হঠাৎ করেই ফোন করলি যে,কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি..?

--সমস্যা না হলে কি তোর কাছে এমনি ফোন করি..? আচ্ছা শোন আমি একটা সিক্রেট কনভারসেশন দেখেছি,এইটা অনেকগুলো কোডের মাধ্যমে করা হয়েছে,আমি ৯০% বুঝতে পারছি,কিন্তু আর একটাও বুঝতে পারছি না,তোকে দেখ কোডগুলো পাঠিয়ে দিয়েছ,দেখে বল কিছু বুঝতে পারিস কিনা,

--ওকে আমি দেখছি,হ্যা এইটা খুব শর্টকার্ট কয়েকটা সিক্রেট মেসেজ,যারা একেবারেই এই লাইনে নতুন,তারা কিছুতেই বুঝতে পারবে না,আর এইটা অন্য কোনো গ্রুপের কনভারসেশন,আমরা যাদের হয়ে কাজ করি অর্থাৎ এনএসআই,এটা হয়তো তাদেরই সিক্রেট কিছু মেসেজ,তারা হয়তো আমাদেরকে না জানিয়ে কিছু করতে চাইছে,তাই এখন আমাদের উচিৎ এটা থেকে সরে আসা,নাহলে আমরা কোনো ফাদে পরে যাবো,

--আমি নিশ্চিত হয়েই তোকে বলেছি, এটা কখনো আমাদের এনএসআই এর মেসেজ হতে পারে না। আমি আমাদের সংগঠনের সবগুলো কোডিং জানি,যদি তারা কোনো কাজ করতো তাহলে আমি অবশ্যই জানতাম,কিন্তু এই মেসেজ গুলোর কোডিং দেখ,তারা দেশের নিরাপত্তা সার্ভার হ্যাক করে একজনকে মারতে চাইছে,তারা এই কাজের জন্য একটা মেয়েকে হায়ার করছে।

--তুই আমার একটা কথা শোন মাহফুজ, এসব ঝামেলায় নিজেকে জড়াস না,এসব আমাদের দেখে কি লাভ বল..? আমরা যে কাজ করি সেই কাজ থেকে তুই অন্য পথে চলে যাচ্ছিস,দেখ কে কাকে মারলো সেটা দেখে আামাদের লাভ কি আমরা জীবনটাকে উপভোগ করি এটাই আমাদের জন্য বেটার হবে,তুই একটা কাজ কর,ওখান থেকে লগ আউট করে বের হয়ে যা,আর এমনভাবে থাক যে আমরা কিছুই জানি না,

--আমি সেটা করতে পারবো না সাজিদ,কারন আমি ওদের কনভার্সনগুলো কপি করে রেখে দিয়েছি,

--ওই তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি…? কি করেছিস এইটা….

--দেখ সাজিদ এটার সাথে একজন নির্দোষ মানুষের জীবন জড়িয়ে আর তাকে এরা মারতে চাইছে। যেহেতু তারা দেশের সার্ভার হ্যাক করার চেষ্টা করছে,আর এটার জন্য কাউকে মারার চেষ্টা করছে,সেহেতু লোকটা একেবারে নির্দোষ। এখন তুই বল যে আমাকে সাহায্য করতে পারবি কি না..?

--আমার আর কি বলার আছে,ঠিক আছে আমি তোকে আমার সবটুকু দিয়েই সাহায্য করবো।

--আচ্ছা ঠিক আছে এখন তাহলে রাখি আবার পরে কখা হবে।

সাজিদের সাথে কথা বলা শেষ করতেই আম্মু ডাক দিলো,তাড়াতাড়ি কম্পিউটার অফ করে রুম থেকে বের হলাম,হা আম্মু বলো ডাকছো কেন..?

আম্মু, সেই যে কলেজ থেকে আসছিস,আর কোনো খবর নাই তোর,এই কম্পিউটিারের সামনে বসে কি করিস বল তো..? তাড়াতাড়ি খেতে আয়,

--হা আাম্মু আসতেছি,ওহহহ আপনাদেরকে তো আমার পরিচয় দিতেই মনে নাই,আমি সেই আপনাদের মাহফুজ ই আছি,বর্তমানে পড়ালেখা করি,বাবা মায়ের একমাত্র সোনার টুকরো রোপার টুকরো তামার টুকরো ছেলে,যাই হোক বাকি সবকিছু গল্পের সাথে থাকলে জানতে পারবেন। একদৌড়ে আম্মুর কাছে চলে আসলাম,এই যে আম্মু এবার আমাকে খাইতে দাও,

আম্মু, হা টেবিলে বস,আমি খাবার দিচ্ছি।

মাহফুজ, খাবার গুলো খেয়ে রুমে চলে আসলাম,রাতের দিকে আরো কিছুক্ষন কাজ করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে উঠে কম্পিউটার টা অন করলাম,দেখি আমার কম্পিউটার টা পুরো কালো হয়ে আছে,আমার চোখ তো পুরো কপালে উঠে গেলো,এটা কি হলো ..? আমার কম্পিউটার হঠাৎ করে কালো হয়ে আছে কেনো..?

এটা নিয়ে ভাবছি আর তখনি  কম্পিউটার সিস্টেম অন হয়ে গেলো,কিন্তু এটা এখন আমার নিজের কন্ট্রোলে নেই সেটা খুব ভালো করে বুঝতে পারছি,হঠাৎ করে স্ক্র্রীনে একটা মেসেজ আসলো,

--আমাদের তথ্যগুলো দিয়ে দাও,

কথাটার মাথামুন্ড কিছুই বুঝলাম না,কে আবার কার তথ্য নিয়ে নিরো,মানে আমি আবার কার তথ্য নিয়ে নিলাম..?

কে মেসেজটি করছে সেটা দেখার জন্য নিজের তৈরি সার্ভারটা অন করলাম,মেসেজটা কে দিয়েছে সেটা সার্স করতেই দেখি সেই রুহি নামের মেয়েটা আমার কম্পিউটার নিজের দখলে করে নিয়েছে,ব্যাপারটা কি হলো,মেয়েটা জানলো কিভাবে যে আমি ওদের ডাটা নিয়েছি..?

কথাটার মাথামুন্ড কিছুই বুঝলাম না,কে আবার কার তথ্য নিয়ে নিরো,মানে আমি আবার কার তথ্য নিয়ে নিলাম..?

কে মেসেজটি করছে সেটা দেখার জন্য নিজের তৈরি সার্ভারটা অন করলাম,মেসেজটা কে দিয়েছে সেটা সার্স করতেই দেখি সেই রুহি নামের মেয়েটা আমার কম্পিউটার নিজের দখলে করে নিয়েছে,ব্যাপারটা কি হলো,মেয়েটা জানলো কিভাবে যে আমি ওদের ডাটা নিয়েছি..?

নাহহহ আমাকে মেয়েটার সাথে কথা বলতে হবে খুব সাবধানে,যাতে ওর থকে তথ্যগুলো নিতে পারি,

মাহফুজ, আচ্ছা আমি যে তোমার তথ্যগুলো নিয়েছ সেটা তুমি কিভাবে জানো..?

রুহি, আমি কিভাবে জানি সেটা বলছো..? হাহাহা আমাকে হাসালে তুমি,এইটা জানতে কি আমার সময় লাগে ভেবেছো..? কালকেই তো তোমার কম্পিউটার হ্যাক করেছি,তারপর দেখলাম তুমি অ্যাকটিভ নাই,তাই কিছু বলি নাই,এখন ভালো করে বলছি,ভলো ছেলেদের মতো আমার তথ্যগুলো ফেরত দিয়ে দাও,নাহলে তোমার কম্পিউটার সিস্টেম পুরোটাই আমার দখলে নিয়ে নিবো,আমাকে এখোনো চিনতে পারো নাই,কেবল ভালো করে কথা বলা শুরু করেছি,

মাহফুজ, এই শোনো তোমার সাথে আমি কিছু করতে চাচ্ছি মা,তবে এইটুকু বলছি যে তুমি যে কাজটি করতে চাচ্ছো ওই বাজে সংস্থার সাথে,সেটা মোটেও ঠিক না,তুমি নিজের দেশের এতো বড় ক্ষতি কিভাবে করতে পারো..?

রুহি, আমি কি করবো আর না করবো সেটা কি তোকে বলতে হবে হা..?এতোক্ষন ধরে অনেক ভালোভবে কথা বলেছি তোর সাথে,কিন্তু এখন তুই তোর সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিস,যতোক্ষন না তুই আমার তথ্যগুলো দিবি,ততোক্ষন তোর পুরো কম্পিউটার সিস্টেম আমার দখলে,তুই এখন থেকে কোন কাজই করতে পারবি না,তবে একটা ইনবক্স অপেন করে রাখছি,যখন সেখানে তথ্যগুলো দিবি,অটোমেটিক তোর কম্পিউটার ঠিক হয়ে যাবে,বলেই রুহি ইনঅ্যাকটিভ হয়ে যায়,

মাহফুজ, মেয়েটা হঠাৎ করে তুই তুকারি শুরু করে দিলো,তারপর কিছু না বলেই আমার সবকিছু ওর দখলে করে নিয়েছে,মাথাটা তো পুরো গরম হয়ে গেলো,ওই শয়তান মাইয়া আমার কম্পিউটার হ্যাক করে নিয়েছে,কিন্তু ওই ছেমরি তো আর জানে না যে হ্যাকিংয়ের গুরু কেডা,দাড়া ছেমরি একটু ওয়েট কর,দেখ কম্পিউটার সিস্টেম কেমনে ফিরিয়ে নিয়ে আসি,তারপর আমার ডার্ক ওয়েবের সার্ভারটা অন করলাম,প্রায় ১০ মিনিটের মধ্যে সবকিছু ফিরিয়ে নিয়ে আসলাম,তারপর রুহির সমস্ত সিকিউরিটি অফ করে নিশ্চিন্তে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম,

এদিকে রুহি মাহফুজের কম্পিউটার সিস্টেম লক করে দিয়ে খুশি হয়ে বসে আছে,ঠিক তখনই প্রাইভেট গ্রুপটা রুহিকে মেসেজ করলো,প্রাইভেট হ্যাকার গ্রুপটার নাম হলো এনজিও,রুহি তখনই মেসেজ অপশনে চলে গেলো,

এনজিও, হ্যালো রুহি তোমার কাজ কতোদূর এগোলো..?

রুহি, স্যার আমাদের এই কনভারসেশন গুলো একটা ছেলের কাছে চলে গেছে,

এনজিও, রুহি এটা কিভাবে হতে পারে..? আমাদের এতো সিকিউরিটি মেসেজ কোডগুলো কিভাবে তাদের কাছে যেতে পারে..? আমাদের কোডিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে সে কিভাবে প্রবেশ করতে পারে..?

রুহি, স্যার সেটা তো আমিও বুঝতে পারছি না,তবে আমি খোজ নিয়ে দেখেছি,আমাদের তথ্যগুলো আরো একজনের কাছে ট্রান্সফার হয়েছে,আমার মনে হয় এটা এনএসআই এর কোনো টিম মেম্বার এর কাজ,ওরা প্রায় সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে প্রাইভেট সার্ভারগুলো খুজে দেখে,আর সেগুলোর সিস্টেম হ্যাক করে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করে,

এনজিও, সেটা হলে তো আমাদের লক্ষে আমরা পৌছাতে পারবো না,এই দেশটাকে আমাদের নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসতে হবে,এই দেশের একজন কর্মকর্তার জন্য আমি আমার কাজ থেকে বিতারিত হয়েছি,আমার পুরো টিমের বাইরেও তোমাকে আমি নিয়েছি,যাতে আমার কাজটা তোমাকে দিয়ে বিশ্বাসের সাথে করাতে পারি,যেভবেই হোক তথ্যগুলো আমার ফেরত চাই,দরকার হলে আরো টিমমেট জোগাড় করো,আর কাজ না হলে ওই ছেলেটাকে ট্রাক করে মেরে দাও,ওর ঠিকানা জোগাড় করো,যেকোনো মূল্যে আমার ওই তথ্যগুলো ফেরত চাই,

রুহি, ইয়েস স্যার আমি দেখছি কি করা যায়,আমার সর্বোচ্চ চেষটা করবো,তবে আপনিও কাজ করুন,আপনার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে,তারপর রুহি অফলাইনে চলে আসে,

এদিকে মাহফুজ ওর মায়ের ডাকে ঘুম থেকে জেগে উঠে,তারপর আস্তে আস্তে চোখ দুইটা খোলে,তারপর সামনেই ওর আম্মুকে দেখতে পাই,

মাহফুজ, কি হলে আম্মু এমন করে ডাকছো কেনো..? একটু কি শান্তিতেও ঘুমাতে দিবে নাকি..? আমার আরামের ঘুমটা নষ্ট করে দিলে তো.....

আম্মু, হা আমিই তো তোর ঘুম সবসময় নষ্ট করে দিই,ঘড়র দিকে তাকাইছিস যে এখন কয়টা বাজে..? পুরো সাড়ে নয়টা বাজে,আর মাত্র আধাঘন্টা পরে তোর কলেজ,কলেজের তো দেরি হয়ে যাচ্ছে,

মাহফুজ, আম্মুর মুখে সময়ের কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠলাম,আরে বলো কি আম্মু,আজকে আমার এতো দেরি হয়ে গেছে..? তুমি আগে ডাক দিবে না আমাকে..? দেখি সরো তো এখন,আম্মুকে সরিয়ে দিয়ে দৌড় দিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলাম,তারপর ফ্রেস হয়ে হালকা নাস্তা করে নিলাম,রেডি হয়ে নিয়ে কলেজে চলে গেলাম,কলেজে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড তাহসিন,কলেজে গিয়ে দেখি বড় গাছটার নিচে বসে আছে,তখন ওর কাছে গেলাম,কিরে তুই এভাবে বসে আছিস কেন..?

তাহসিন, তো কি করবো তুই বল..? প্রত্যেকদিন তো তোর সাথে বসে গল্প করে তারপর একসাথে ক্লাসে যায়,তো আজকে কলেজে এসে দেখি তুই আসিস নাই,মনে করলাম চলে আসবি,কিন্তু প্রায় ১ ঘন্টা ধরে বসে আছি তোর দেখা মিললো না,তুই তো আবার রাজপুত্র,তোর আসতে দেরি হয়,😒

মাহফুজ, এইরে মনু আজকে সত্যিই দেরি হয়ে গেছে,গুলুগুলু রে তুই আমাল জন্য বতে আতিত তাই না😁😁

আজকে একটু ঘুমিয়ে পরেছিলাম রে,ওই জন্য দেরি হয়ে গেছে,

তাহসিন, হাহহহ হইছে তুই আসছিস এই আমার জন্য যথেষ্ট,আচ্ছা চল এখন ক্লাসে যায়,ক্লাসের সময় প্রায় হয়ে গেছে,

মাহফুজ, ওহহহ হা আচ্ছা চল,আজকে ভালো করে ক্লাস করবো,আর তোরে ক্লাস করাবো,দুজন মিলে ক্লাসে চলে গেলাম,কয়েকটা ক্লাস করে দুজন বাইরে চলে আসলাম,দুপুরের দিকে অনেক ক্ষুদা লেগে গেলো,তাই তাহসিনকে নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে কিছু খেয়ে নিলাম,কলেজ শেষ হলে বাসায় চলে আসলাম,

তারপর রেষ্ট নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমের দেশে চলে গেলাম,

এদিকে রুহি নিজের কম্পিউটার অন করে মাহফুজের কম্পিউটার সিস্টেমে লগইন করলো,কিন্তু পাসওয়ার্ড দিলে বারবার এক্সেস ডিনাইড হতে লাগলো,কিছুতেই পাসওয়ার্ড কাজ করাতে পারলো না,রুহি বুঝে গেলো যে মাহফুজ কম্পিউটার সিকিউর করে ফেলেছে,রুহির মাথায় তো আকাশ ভেঙে পরলো,কারন রুহি যে সিস্টেম লক দিয়ে রেখেছিলো,

সেটা কোনো প্রো হ্যাকারের পক্ষেও লক খোলা পসিবল ছিলো না,শুধু মাত্র ডার্ক সাইভার হ্যাকার কিং এর পক্ষেই লকটা খোলা সম্ভব,এবার রুহির টনক নড়ে গেলো,তাহলে কি ছেলেটা হ্যাকার কিং..? নাকি কোনো হ্যাকার কিং এর আন্ডারে কাজ করে..? রুহির মাথায় কিছুই কাজ করছে না,এবার কম্পিউটার অন করে সর্বপ্রকার চেষ্টা করতে লাগলো মাহফুজের কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য,

মাহফুজ, ঘুম থেকে একেবারে সন্ধ্যার সময় উঠলাম,তারপর আব্বু আম্মু রুমে চলে গেলাম,দেখি আব্বু বাসায় চলে আসছে,আরে আব্বু তুমি বাসায় কখন আসলে..?

আব্বু, এইতো একটু আগেই বাসায় আসছি,তুই একদম ঠিক সময়ে চলে আসছিস,তুই না আসলে একটু পরে আমিই তোকে ডাকতে যেতাম,কাছে এসে বস,তোর সাথে কিছু কথা আছে,

মাহফুজ, হা আব্বু ঠিক আছে,এইযে বসলাম,তুমি কি বলবে এবার বলে,

আব্বু, আচ্ছা শোন আমার অফিস থেকে অর্ডার আসছে,আমাদের আবার ট্রান্সফার হতে হবে,আর জায়গাটা খুব ভালো,আশা করি তোরও খুব ভালো লাগবে,আর সেখনে ভালো একটা কলেজ আছে,যেখানে তোর লেখাপড়া আরো ভালো হবে,আমরা পরসু চলে যাবো ওখানে,

মাহফুজ, আচ্ছা ঠিক আছে,তাহলে আমার সবকিছুই গুছিয়ে নিই,তারপর খুশিমনে রুমে চলে আসলাম,তারপর কম্পিউটার টা অন করে ডার্ক ওয়েবে লগ ইন করলাম,তারপর প্রাইভেট গ্রপটার সাইটে প্রবেশ করতেই দেখি রুহি আমার আইডি ওদেরকে দিয়ে দিয়েছে মাহফুজ, আচ্ছা ঠিক আছে,তাহলে আমার সবকিছুই গুছিয়ে নিই,তারপর খুশিমনে রুমে চলে আসলাম,তারপর কম্পিউটার টা অন করে ডার্ক ওয়েবে লগ ইন করলাম,তারপর প্রাইভেট গ্রপটার সাইটে প্রবেশ করতেই দেখি রুহি আমার আইডি ওদেরকে দিয়ে দিয়েছে.....!

রুহির কান্ড কারখানা দেখে একটু হাসি পেলো,মেয়েটা জানে না যে আমি কি কি করতে পারি,ওদের এসব সিকিউরিটি দেখে আমি ভয় পাই না,দেখি রুহির গ্রুপটা কিভাবে আমাকে খুজে বের করতে পারে,আমি এতোদিন ধরে গোপনে বিভিন্ন সরকারী দফতরের কাজ করে গেছি,কিন্তু কাউকে বিষয়টা জানায় নাই,বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি সিস্টেমকে হ্যাক করা থেকে প্রটেক্ট করেছি,কিন্তু কাউকে আমার সম্পর্কে জানতে দেয় নাই,

কয়েকটা সরকারী দল আমার কাজ গুলো দেখে অনেক খুশি হয়েছিলো,তখন আমাকে তাদের দলে কাজ করার জন্য অফার করেছিলো,কিন্তু আমি একবারেই না করে দিই,তারপর তারা আমাকে খোজার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলো,কিন্তু আমার সার্চ সিস্টেম ব্লক করে দিয়েছিলাম,

যাইহোক এবার আমার আরো সতর্ক থাকতে হবে,আমি যদিও মনে করছি যে এরা আমাকে কিছু করতে পারবে না,তবুও সতর্ক থাকতে হবে,

কম্পিউটার এর কাছে আর কিছুক্ষন বসে তাকলাম,আর রুহির কতা চিন্তা করে হাসতে থাকলাম,বেচারি মেয়েটা আমার সিস্টেম হ্যাক করার জন্য কতো কষ্টই না করছে,কিন্তু পারছে না,

এসব কিছু ভাবছি,তখনই আমার মনে পরে গেলো বাবার কথা,পরসুই তো আমাদেরকে বাসা শিফট করতে হবে,কিন্তু এখানে তাহসিনকে ফেলে রেখে আমার যাওয়া টা পসিবল না,কারন অনেকদিন ধরে এখাবে আছি,আর তাহসিনই একমাত্র আমার বেস্টফ্রেন্ড,ওকে ছাড়া কোনো কিছু করতে পারবো না,আমি এখুনি ওকে ফোন করে বিষয়টা জানিয়ে দিই,আর দেরি না করে তাহসিনের কাছে ফোন লাগালাম,

-- হ্যালো তাহসিন কোথায় আছিস তুই..?

-- এই হাদারাম পোলা,এই রাতের বেলা বাড়িতে থাকবো না তো কই থাকবো..?

--আরে এভাবে রেগে যাচ্ছিস কেনো তুই..? তোর কাছে তো শুধু একটু জানতে চাইলাম যে কোথায় আছিস তুই,তাতেই এমন ভাবে বললি আমাকে,

-- ওই মাহফুজ তুই তো জানিস ই যে আমি সন্ধ্যায় পর থেকে বাইরে থাকি না,আর যদি কোথাও ঘুরতে যায়,তখন তোকে জানিয়ে তারপর যায়,অন্যদিন তো আমাকে বলিস না যে আমি কোথায় আছি..?

-- এই তাহসিন মাফ কর ভাই আমাকে,আমার ভুল হয়ে গেছে,তোকে আর অযথা জিজ্ঞাসা করবো না,একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছিলাম,আমরা পরসু এই বাসা থেকে শিফট করবো,কিন্তু তোকে ছাড়া আমি কোতাও যেতে পারবো না,তোকে আমি নিয়ে যাবো,সেখানে আমি নতুন কলেজে ভর্তি হবো,তুই কি আমার সাথে যাবি..?

-- আরে সেটা আর বলতে হবে না,আমি তোদের সাথে সেখানে যাবো,আর আংকেল আন্টিও আনাকে অনেক ভালোবাসে,আমাকে নিশ্চয় নিয়ে যাবে তোদের সাথে,

--এই তোর মাথা কি খারাপ হয়ে গেছে নাকি,আমি তোকে নিজের ভাইয়ের মতো মনে করি,সবাইকে বলি তুই আমার ভাই,সেই স্কুল জীবনের শুরু থেকে দুজন মিলে একসাথে আছি,সুখে দুঃখে একসাথে সময় কাটায়,আর তুই কিনা সন্দেহ করছিস যে আব্বু আম্মু তোকে আমাদের সাথে নিবেনা..?

তারা জানে যে আমি তোর ছাড়া কারোর সাথেই বেড়ায় না,তুই তোর বাবা ময়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নে,আমরা পরসু দিনই শিফট হয়ে যাবো,নতুন পরিবেশে আশা করি অনেক ভালো লাগবে,

-- আচ্ছা মাহফুজ তুই কোনো চিন্তা করিস না,আমার বাবা মা ও না করবে না,আমি আমার সমস্ত কিছু রেডি করে রাখছি,তোর সাথে যাওয়ার জন্য,আচ্ছা বাই পরে কথা হবে,তারপর তাহসিন ফোনটা কেটে দেয়,আজকের রাতটা তাহসিনের অনেক খুশিতে কাটবে,

মাহফুজ, তাহসিনের সাথে কথা বলা শেষ করে অনে ভালো লাগছে,নতুন জায়গায় যাবো,সাথে করে বাবা মা আর বেষ্টফ্রেন্ড যাবে,আর কিছুই লাগবে আমার হাসিখুশি থাকার জন্য,তারপর এক দৌড়ে আব্বু আম্মুর রুমে চলে গেলাম,দেখি দুজনে বসে আছে,আসতে পারি..?

আম্মু, হা রে বাবা ভিতরে আয়,বল কি বলবি..?

মাহফুজ, আম্মু আমরা তো পরসু শিফট হয়ে যাচ্ছি,এখানে অনেক বছর সময় কাটিয়েছি,আর তাহসিন আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু,ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না,এখানে একমাত্র ওর সাথেই থাকি, ঘুরাফেরা করি,সবকিছু ওর সাথেই করি,তাই আমি সিন্ধান্ত নিয়েছি আমাদের সাথে তাহসিনকে নিয়ে যাবো,আমি জানি তোমরা ওকে খুব পছন্দ করো,নিজের ছেলের মতোই ওকে ভালোবাসো,আর আমার তো কোনো ভাই বোন নাই,তাহসিনকেই আমার নিজের ভাইয়ের মতো মনে করি,তোমরা কি বলো ওকে নিয়ে যাবো..? কথাগুলে বলে মাথা নিচু করে ফেললাম,জানি না তারা অনুমতি দিবে কিনা..?

মাহফুজের কথা শুনে আর মাথা নিচু করা দেখে দুজনেই হেসে দিলো,তারপর মাহফুজের বাবা মাহফুজের কাছে আসলো,মাহফুজের মাথাটা উচু করে ধরলো,

মাহফজের বাবা, এই পাগল তুই মাথা নিচু করে আছিস কেন..? আমি কি তোকে কখোনো না বলেছি,তুই তাহসিনকে রেডি হতে বল,আমরা ওর রুমের ব্যবস্থা করছি,

মাহফুজ, ওকে থ্যাংক ইউ বাবা,আমি তাহসিনকে খবরটা দিয়ে দিবো,আমি না আজকে অনেক খুশি,তারপর নিজের রুমে চলে আসলাম,রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম,সকালে ঘুম থেকে উঠে কলেজে চলে গেলাম,তাহসিনের সাথে দেখা হতেই অনেক খুশি হলাম,এই তাহসিন আব্বু তো তোকে নিয়ে যাওয়ার পারমিশন দিয়ে দিয়েছে,আমি তো খুব খুশি,

তাহসিন, আরে আমার বাবা মাও আমাকে পারমিশন দিয়ে দিয়েছে,আমাদের যাওয়া একেবারে কনফার্ম,আচ্ছা চল ক্যান্টিন থেকে কিছু খেয়ে আসি,

মাহফুজ, আচ্ছা চল যায়,তারপর দুজনে মিলে ক্যান্টিনে চলে গেলাম,তাহসিন তোর যা ইচ্ছা আজকে অর্ডার কর,তোর আজকে সব বিল আমি দিয়ে দিবো,আজকের ট্রিট টা আমার,

তাসহিন,আচ্ছা ঠিক আছে দুজনের জন্যই অর্ডার দিবো,আমি আজকে আমার প্রিয় খাবারগুলো অর্ডার দিবো,সাথে তুইও খাবি,

মাহফুজ, আচ্ছা ঠিক আছে,অর্ডার কর আমি খাবো,তারপর তাহসিন ওর পছন্দের খাবারগুলো দিয়ে দিলো,তারপর দুজনে মিলে খাবারগুলো খেয়ে নিলাম,ক্লাসের সময় হয়ে গেলে ক্লাসে চলে গেলাম,ক্লাস শেষ করে প্রিন্সিপালের কাছে গেলাম,স্যার আসতে পারি..?

প্রিন্সিপাল, হা মাহফুজ আসো কি খবর তোমার..?

মাহফুজ, স্যার আলহানদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন..?

প্রিন্সিপাল, আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি,তো তুমি কি জন্য আসলে..?

মাহফুজ, স্যার আমার আর তাহসিনের টিসি নিতে হবে,আব্বু অন্য জায়গায় শিফট করবে,তাই আর এখানে আমার থাকাটা পসিবল হচ্ছে না,আমি তাহসিনকেও সাথে করে নিয়ে যাচ্ছি,তাই ওর টিসিও লাগবে,

প্রিন্সিপাল, মাহফুজ আমি তোমার টিসি দিয়ে দিচ্ছি,কিন্তু এই কলেজের সেরা ছাত্র হলে তুমি,আর তাহসিনও অনেক ভালে ছাত্র,তোমাদের জন্যই আমাদের এই কলেজ অবেক সম্মান পেয়েছে,তোমার জন্য শুভ কামনা,যেখানেই থাকবে নিজেেদের লেখাপড়া চালিয়ে যাবে,এই নাও দুইটা ফর্ম দিলাম,এখানে সাইন করে দাও,বাকিটা আমি দেখে নিবো,

মাহফুজ, আপানাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার,তারপর দুজনে মিলে ফর্মটা পূরন করে দিলাম,স্যারের রুম থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,আজলে সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে,কালকে আবার শিফট করতে হবে,তাহসিনও বাসায় চলে গেছে,

রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম,সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটার অন করলাম,তারপর দেখি বেশ কয়েকটা মেসেজ আসছে,মেসেজ অন করতেই তো চোখ কপালে উঠে গেলাম,রুহি আমাকে মেসেজ দিয়েছে,আমার নিজের চোখে যেনো বিশ্বাস করতে পারছি না,

মেয়েটার আবার কি হলো যে আমাকে মেসেজ করলো,আমার তো কোনো ক্ষতি করতে পারবে না,আর আমার সাথে বলে কথাও বলবে না,তাহলে মেসেজ দিলো কেন..? আচ্ছা মেসেজটা অন করে দেখা যাক আমাকে কি বললো,আর দেরি না করে মেসেজটা অন করলাম,দেখি একটা ভিডিও পাঠিয়েছে,ভিডিওটা অন করতেই কম্পিউটার কালো হয়ে গেলো...!  মেয়েটার আবার কি হলো যে আমাকে মেসেজ করলো,আমার তো কোনো ক্ষতি করতে পারবে না,আর আমার সাথে বলে কথাও বলবে না,তাহলে মেসেজ দিলো কেন..? আচ্ছা মেসেজটা অন করে দেখা যাক আমাকে কি বললো,আর দেরি না করে মেসেজটা অন করলাম,দেখি একটা ভিডিও পাঠিয়েছে,ভিডিওটা অন করতেই কম্পিউটার কালো হয়ে গেলো...!

কিছুই মাথায় ঢুকলো না যে কি হচ্ছে এসব,৫ সেকেন্ড পরেই আমার ধারনা ভুল হলো,আসলে ভিডিওটার প্রথম ৫ সেকেন্ডে কোনো সিন নাই,আর ভিডিওটা ফিল স্ক্রীনে প্লে হওয়ার কারনে এমন হইছে,তারপর ভিডওটা প্লে হওয়া শুরু করলো,কিন্তু মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছে না,সমস্ত শরীর কালো করে রাখা হয়েছে,ভিডিওটা শুরু হতেই মেয়েটা বলা শুরু করলো,

-- এই যে ছেলে তোমার নাম আমি একোনো জানি না,কিন্তু তোমার কাজগুলো দেখে আমার খুব অবাক লাগছে,তোমার কম্পিউটার সিস্টেম  টা এতো টাইট সিকিউরিটি করে রাকলাম,তারপরেও তুমি সেটা আনলক করে ফেললে,কাজটা তুমি করছো নাকি তোমার কোনো কাছের কেউ করছে জানি না,এই লকটা  শুধু মাত্র একজন ডার্ক ওয়েবের প্রো হ্যাকার খুলতে পারে,কিন্তু তুমি কিভাবে সেটা খুললে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,তোমার কাজগুলো দেখেও তো অবাক হয়ে যাচ্ছি,তবে হা তোমার বেশিদিন অপেক্ষা করা লাগবে না,আমাদের হাতে খুব তাড়াতাড়ি ধরা পরে যাবে তুমি।

কথাটা শেষ হতেই ভিডিওটা শেষ হয়ে গেলো,

মাহফুজ, আমিও মনে মনে হাসতে থাকলাম,বেচারী পাগল মেয়েটা,আমাকে ওয়ার্নিং ভিডিও দিয়েছে,কিন্তু রুহি আর ওর প্রাইভেট কম্পানি তো বুঝতে পারছে না যে ওরা ওদের বসের সাথে পাঙ্গা লরছে,আমি যে কি পরিমান খাতারনাক হতে পারি সেটা পরে বুঝাবো,

আমার ভালো রুপ দেখাচ্ছি এতোদিন ধরে,কিন্তু আমার খারাপ রূপটাও দোর বাকি আছে,তোমারদের পুরো প্লান কিভাবে ভেস্তে দিই সেটাই শুধু তাকিয়ে দেখবে তখন,

--এই মাহফুজ ঘুম থেকে উঠছিস নাকি..?

মাহফুজ, হঠাৎ করেই আম্মু ডাক দিলো,হা আম্মু ঘুম থেকে কিছুক্ষন আগেই উঠেছি,আর আমার সবকিছু গুছানো শেষ,তুমি খাবার রেডি করো,তারপর কম্পিউটার অফ করে দিয়ে তাহসিনকে ফোন করলাম,কিরে তুই কি রেডি হইছিস..?

তাহসিন, হা রে আমি রেডি হয়ে গেছি,আর তোর বাসসয় প্রায় পৌছেও গেছি,আর ২ মিনিট লাগবে,

মাহফুজ, ওহহহ তাহলে তো খুব ভালো কথা,তুই তাড়াতাড়ি আয় আমি তোর সাথে খাবার খাবো,তাহসিনের কলটা কেটে দিয়ে রুম থেকে বের হলাম,বাসার সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নতুন বাসায়,আমরা সবাই মিলে একটু পরে রওনা দিবো,তাহসিনও চলে আসলো একটু পরে,দুজন মিলে একসাথে খেয়ে নিলাম,তারপর নিজের কম্পিউটার গুছিয়ে নিয়ে সবাই মিলে রওনা দিলাম,

পুরো রাস্তা মাহফুজ আর তাহসিন মিলে গল্প করতে করতে গেলো,দুজনে অনেক খুশি,মাহফুজের বাবা মাও দুজনের কান্ড দেখে অনেক খুশি হলো,কারন তাহসিনকে তারা অনেক বিশ্বাস করে,মাহফুজের সাথে সবসময় থাকে,মাহফুজ আর তাহসিন একসাথেই সবকিছু করে,

দুপুরের দিকে সবাই মিলে নতুন বাসায় এসে পৌছালো,মাহফুজ নিজের রুমটা বেছে নিয়ে প্রথমেই কম্পিউটার টা ঠিক করে সেটআপ করে নিলো,কারন এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ মিশনে নেমেছে,একটা ভালো সুযোগও মাহফুজ মিস করতে চাচ্ছে না,তাহসিনও যতোটুকু পারলো মাহফুজকে সাহায্য করলো,পরে হোটেল থেকে খাবার এনে সবাই খেয়ে নিলো,

পুরো ২ দিন লেগে গেলো বাসা ঠিক করতে,সকাল বেলায় মাহফুজ আর তাহসিন দুজনে তৈরি হয়ে নিলো,কারন এখানে নতুন কলেজে এডমিশন নিতে হবে,দুজনে সকালের খাবার শেষ করে কলেজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরলো,বাসা থেকে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা।একটু পরেই দুজনে কলেজে পৌছে গেলো,

মাহফুজ সরাসরি প্রিন্সিপালের রুমে চলে গেলো,

মাহফুজ, মে আই কাম ইন স্যার..?

প্রিন্সিপাল, হা ভিতরে আসো,কিন্তু তোমাদেরকে তো আমি চিনতে পারলাম না,কিছু বলবে..?

মাহফুজ, স্যার আসলে আমরা এই কলেজে ভর্তি হবো,বাসা চেঞ্জ করেছি দুইদিন হলো,তাই আগের কলেজে পড়া চালু রাখা পসিবল হচ্ছে না,আপনার কলেজে আসছি এডমিশনের জন্য।

প্রিন্সিপাল,ওহহহ তাই বলো,আচ্ছা ঠিক আছে তোমাদের দুইজনকে আমি আমাদের কলেজে নিয়ে নিচ্ছি,এই যে নাও দুইটা ফর্ম দিলাম,এগুলো পূরন করে দাও,তাহলেই এডমিশন হয়ে যাবে তোমাদের,

মাহফুজ, অনেক ধন্যবাদ স্যার,স্যারের কাছ থেকে দুইটা ফর্ম নিয়ে পূরন করে দিলাম,তারপর আর কোনো ক্লাস করলাম না,সেদিনের মতো বাসায় চলে আসলাম,রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে কম্পিউটার নিয়ে বসলাম,নেট অন করতেই পর পর সাজিদের কয়েকটা মেসেজ চলে আসলো,তখনই সাজিদকে ভয়েস কল করলাম,

সাজিদ, হা মাহফুজ বল কি অবস্থা তোর..?

মাহফুজ, এই তো অনেক ভালো আছি,তো তোর কি অবস্থা..?

সাজিদ, হাহহহ আমার আবার কি অবস্থা হবে,তুই তো আমাকে ভুলেই গেছিস,তোকে মেসেজ করলাম তারপর আমাকে কল করলি,এই কয়দিনে তো একবারও আমার খোজ করিস না,যে আমি কেমন আছি,কি করছি..?

মাহফুজ, সরি রে ভাই আসলে আমি এই কয়টা দিনে অনেক ব্যস্ত সময় পার করলাম,বাসা চেঞ্জ করছি রে সাজিদ,আর যে এক জায়গা থেকে অন্য কোথাও শিফট করে,শুধুমাত্র সেই বুঝে যে বাসা চেঞ্জ করতে কেমন প্যারা লাগে,

সাজিদ, আচ্ছা ঠিক আছে যা রাগ জমে ছিলো,সেগুলো ঝেড়ে পেলে দিলাম,তো বল কি করিস এখন.?

মাহফুজ, আরে আমি তো তোর সাথে কতা বলছি,কিন্তু তুই আমাকে মেসেজ দিয়েছিস,কোনো জরুরি দরকার না হলে গো আর এতোগিলো মেসেজ দিস না,

সাজিদ, ওহহহ হা ঢ়ে কথা বলতে ফোন দিয়েছিলাম,তোর সাথে কতা বলতে গিয়ে ভুলেই গিয়েচিলাম,এই রুহি মেয়েটা তো আমাদের দুইজনের আইডি হ্যাক করার জন্য উঠে পরে লেগেছে,দেখলাম সেই গ্রুপটার কাছে আমাদের আইডি দিয়েছে,যাতে ওরা হ্যাক করতে পারে,

মাহফুজ, হা সেটা আমিও জানি,দুইূিন আগেই সেটা জানতে পারছি,সেই মেয়েটা আমার কাছে একটা ভিডিও পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে,মেয়েটার কান্ড দেখে আমার হাসি পাচ্ছে,

সাজিদ, হা হাসি পাচ্ছে বা যাই হোক তোর,তুই কিন্তু সাবধানে থাকিস,আরেকটা গটম খবর হলো ওরা যেই ব্যক্তি টাকে মারার জন্য প্লান করছে,সেটা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী,খবর নিয়ে জানতে পারছি এই প্রাইভেট সংস্থার প্রধান ছিলো প্রধান মন্ত্রীর কাছের লোক,যতো প্রকার সিকিউরিটি বিষয়ক কাজ ছিলো,সেই করতো,কিন্তু কোনো একটা কারনে তাকে সরকার বের করে দেয়,ওখানেই তার ক্যারিয়ারের অবনতি ঘটে,

তারপর থেকেই লোকটা সরকারের পিছনে লোগে আছে,উদ্দেশ্য সে সরকারকে হত্যা করে দেশটা নিজের হাতে নিয়ে নিবে...!

মাহফুজ, সাজিদের কথা শুনে পুরো আকাশ ভেঙে পরলো মাথার উপরে,কি বলছে সাজিদ...! 

সাজিদ, হা হাসি পাচ্ছে বা যাই হোক তোর,তুই কিন্তু সাবধানে থাকিস,আরেকটা গটম খবর হলো ওরা যেই ব্যক্তি টাকে মারার জন্য প্লান করছে,সেটা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী,খবর নিয়ে জানতে পারছি এই প্রাইভেট সংস্থার প্রধান ছিলো প্রধান মন্ত্রীর কাছের লোক,যতো প্রকার সিকিউরিটি বিষয়ক কাজ ছিলো,সেই করতো,কিন্তু কোনো একটা কারনে তাকে সরকার বের করে দেয়,ওখানেই তার ক্যারিয়ারের অবনতি ঘটে,

তারপর থেকেই লোকটা সরকারের পিছনে লোগে আছে,উদ্দেশ্য সে সরকারকে হত্যা করে দেশটা নিজের হাতে নিয়ে নিবে...!

মাহফুজ, সাজিদের কথা শুনে পুরো আকাশ ভেঙে পরলো মাথার উপরে,কি বলছে সাজিদ...! এই সাজিদ গোর মাথা ঠিক আছে তো..? কি বলছিস এসব,দেশের সরকারকে মেরে ফেললে দেশ চালাবে কে..?

সাজিদ, আরে তোকে যে কথাগুলো বললাম তার সবই সত্যি,কিন্তু এতে আমার তো কিছু করার নাই,তুই তো আমার একটা কথাও শুনবি না,আমি তো পুরোপুরি ভাবে এনএসআই এর কাজ করি সবসময়,কিন্তু তুই সবদিকটাই একবারে সামলাস,তবে তুই যদি কৌশল করে ওদের প্লান টা নষ্ট করে দিস,তাহলে আমাদের দেশের জন্য বড় একটা পাওয়া হবে,

মাহফুজ, আচ্ছা ঠিক আছে টেনশন করিস না,আমি বিষয়টা আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখবো,সাজিদ এখন ফোনটা রাখি,পড়াশোনা করতে হবে, 

সাজিদের থেকে বিদায় নিয়ে কম্পিউটার অফ করে দিলাম,কিন্তু মাথায় সাজিদের একটা কথা  বাজতে লাগলো,সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীকে মারার জন্য প্লান করছে..! অবশ্য সংস্তা বললে ভুল হবে,বলতে গেলে সংস্থাটির প্রধান এই কাজটা করতে চাচ্ছেন,আচ্ছা আমিও দেখবো,কিভাবে তাড়া কাজটা করতে পারে,সময়মতো দেশের সিকিউরিটি সার্ভারে সিক্রেট মেসেজ দিয়ে দিলে প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারবে।

এসব ভাবতে ভাবতে মাথাটা যেন ভার হয়ে যাচ্ছে,নাহহহ আর এসব নিয়ে এখন ভাবা যাবে না,তাহসিনকে দেখলাম বই নিয়ে বসে আছে,তারপর আমিও একই বই নিয়ে ওর পাশে গিয়ে বসলাম,

তাহসিন, কিরে মাহফুজ এতো সময় ধরে কি কথা বলে আসলি,আমি তো তোদের কোনো কথাই বুঝতে পারলাম না,কে কাকে মারবে আর তুই কি করবি..?

মাহফুজ, আরে সেসব কিছু না,তোর ভয় পাওয়ার কোনো কারন নাই,তারপর তাহসিনের কাছে সবকিছু বললাম,নাহলে বেচারা চিন্তা করতে করতে শেষ হয়ে যাবে,

তাহসিন, আরে ভাই তুই এতোবড় কাজ করিস আর আমি জানিই না..! তোর তো তাহলে জীবনেরও ঝুকি আছে,ওই সংস্থাগুলি তো খুবই খারাপ,যদি তোর কোনো অঘটন ঘটিয়ে দেয়..?

তোর কথা শুনে তো আমার খুব ভয় করছে,

মাহফুজ, এই একটা কারণেই তোর কাছে আমি কিছু বলি না,আরে ওতো ভয় করলে বেচে থাকবি কিভাবে,আর আমি এই কাজ আজকে থেকে করছি না বুঝলি..?

এই পর্যন্ত নিজেকে আড়ালে রেখে অনেকগুলো দেশের সার্ভারকে হ্যাক হওয়া থেকে বাচিয়েছি, আমার লোকেশন পর্যন্ত ওদেরকে জানার সুযোগ দেই নাই,আচ্ছা এখন এসব কথা রাখ,আমার সাথে থাকলে আস্তে আস্তে সবকিছু বুঝে যাবি,এখন পড়াশোনাতে মনোযোগ দে,

তারপর দুজন মিলে পড়াশোনাতে অনেক মনোযোগ দেয়,কারন ভালো একটা রেজাল্ট করতে হবে,মাহফুজ যতো কিছুই করুক না কেন,লেখাপড়াতে অনেক ভালো সবসময়,সেজন্য মাহফুজকে কে বাধা দেয় না,

দুজনে মিলে লেখাপড়া শেষ করে খেতে চলে যায়,খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পরে,কারন সকালে উঠে কলেজে চলে যেতে হবে,

সকাল বলায় মাহফুজ উঠে পরে,তারপর অজু করে নামাজটা পরে নেয়,কিন্তু তাহসিন এখোনো ঘুমিয়ে আছে,মাহফুজের এটা দেখে রাগ হয়ে যায়,

মাহফুজ, এই তাহসিন ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে নে,নামাজের সময় তো চলে যাচ্ছে,

তাহসিন, নাহহহ আরেকটু পরে উঠবো,তারপর নামাজ পরবো,

মাহফুজ, ওরে ফাজিলটা বলে কি,আরেকটু পরে উঠলে সূর্য মামা তো তোমার জন্য না উঠে বসে থাকবে,তাহসিনকে জোড় করে উঠিয়ে ওয়াসরুমে পাঠিয়ে দিলাম,তারপর তাহসিন নামাজটা আদায় করে নিলো,কলেজের সময় হয়ে গেলে দুজনে নাস্তা করে রওনা দিলাম,

বাসা থেকে কলেজ একদম কাছে,মাত্র ৫ মিমিটের রাস্তা,তাই দুজন গল্প করতে করতে চলে গেলো,কলেজে ঢুকে প্রথমে নিজেদের ক্লাসটা বের করে নিলো,তারপর ক্যাম্পাসে এসে বসে কিছুক্ষন গল্প করলো,হঠাৎ করে মাহফুজের চোখ পরলো একটা মেয়ের দিকে,মেয়েটা দূরে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে,মেয়েটাকে দেখে মাহফুজ অবাক চোখে তাকিয়ে আছে,কোনো মানুষের চেহারা এতো সুন্দর হয়..?

মাহফুজ, মেয়েটার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকলাম,মেয়েটার দিকে চোখ করেই ক্রাস খেয়ে গেলাম,এতো সুন্দর চেহারার মেয়ে আগে কখনো দেখি নাই,

তাহসিন, কিরে মাহফুজ এভাবে তাকিয়ে কি দেখিস..? আমার সাথে বসলি গল্প করতে,কিন্তু হঠাৎ করে কথা বলা বন্ধ করে দিলি কেন..?

মাহফুজ, আরে ভাই সামনে তাকিয়ে দেখ,এরকম সুন্দর মেয়ে আগে কখনো দেখি নাই,আমার জীবনে ওই মেয়েটাকেই চাই,

তাহসিন, ওই কিরে তোর মাথায় আবার কিসের ভুত চাপলো,ওই মেয়েটাকে আমি তো দুইদিন আগেই দেখছি,যখন আমরা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আসছিলাম,সেদিন ওকে কলেজে দেখছিলাম,মেয়েটা আমাদের কলেজে পড়ে,আমরা এই কলেজে নতুন আসলাম,কাউকে চিনি না,জানি না,আমাদের সিনিয়র নাকি জুনিয়র সেটা জানি না,আর হুট করেই বলে বসলি যে ওই মেয়েটাকেই তোর চায়..!

মাহফুজ, আমি আর একটা কথাও শুনতে চাচ্ছি না,আমার ওই মেয়েটাকেই চায়,আগে ক্লাসের সবার সাথে পরিচিত হয়ে নিই,তারপর মেয়েটা সম্পর্কে জানা যাবে,আচ্ছা ক্লাসে চল,

তাহসিনকে নিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম,একটু পরেই ক্লাসে স্যার চলে আসলো,আর অবাক করা বিষয় হলো স্যারের সাথে সেই মেয়েটাও প্রবেশ করলো,আমি তো অনেক খুশি যে মেয়েটা আমাদের সাথেই সেম ইয়ারে পরে, স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করলো,

স্যার, আজকে তোমাদের ক্লাস নেওয়ার আগে দুইটা ছেলে পরিচয় করিয়ে দিবো,আমাদের কলেজে দুইদিন আগে ভর্তি হয়েছে,মাহফুজ মাহমুদ আর তাহসিন সামনে চলে আসো,

মাহফুজ, স্যারের কথা মতো সামনে চলে গেলাম,

স্যার, এই হলো মাহফুজ,তোমাদের নতুন ক্লাসমেট,অন্য কলেজ থেকে ট্রান্সফার হয়ে এই কলেজে এসেছে,মাহফুজের রেজাল্ট আমরা দেখেছি,সাথে তাহসিনের টাও দেখেছি,দুজনই খুব ভালো ছাত্র,আর কৃতিত্বের সাথে পাশ করে সাথে,আমাদের কলেজের জন্য এইটা গর্বের বিষয় যে এই দুজনের মতো স্টুডেন্টকে আমরা পেয়েছি,

মাহফুজ, পরিচয় পর্ব শেষ করে বেঞ্চে গিয়ে বসলাম,স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করলো,মনোযোগ দিয়ে পুরো ক্লাস শেষ করলাম,ক্লাস শেষে বাইরে চলে আসলাম,তখনই একটা ছেলে আমাদের কাছে আসলো,

--হাই আমি সাফি..?

--হাই আমি মাহফুজ,

--তো কেমন আছো তুমি..?

--আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন..?

--হা অনেক ভালো আছি,তো আমাদের কলেজে তুমি নতুন, আমরূ কি ফ্রেন্ড হতে পারি..?

--হা অবশ্যই হতে পারেন,আজ থেকে আমরা দুজন ফ্রেন্ড......

--হাই আমি সাফি..?

--হাই আমি মাহফুজ,

--তো কেমন আছো তুমি..?

--আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি,আপনি কেমন আছেন..?

--হা অনেক ভালো আছি,তো আমাদের কলেজে তুমি নতুন, আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি..?

--হা অবশ্যই হতে পারেন,আজ থেকে আমরা দুজন ফ্রেন্ড,

--হা আমরা ফ্রেন্ড,তবে তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন..? আমরা তো দুজনে সেম ক্লাসে পরি,তাহলে আপনি করে বলার মানেটা কি,এখন থেকে তোমার মুখে যেন আর আপনি ডাক না শুনি,বন্ধুদের মধ্যে সবসময় তুই করে কথা চলে,তাই এখন থেকে আমরা তুই করেই বলবো,

--আচ্ছা ঠিক আছে তুই করেই কথা বলবো,আচ্ছা সাফি তোকে আমার একমাত্র বেষ্টফ্রেন্ডের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়,তারপর তাহসিনকে সামনে আনলাম,সাফি এই হলো আমার বেষ্টফ্রেন্ড তাহসিন,আমরা অনেক ছোটবেলা থেকে একসাথেই বড় হয়েছি,ওকে ছাড়া আমার একটা দিনও ভালোভাবে কাটে না😇

--ওহহজ তাই বল,আচ্ছা মাহফুজ তোর বাসাটা কোথায় রে..?

--আমার বাসা এইতো মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা এখান থেকে হেটে গেলে,ওই বড় মাঠের সাথে লাগানো বাসাটা,আর তোর বাসা..?

--আমার বাসা হলো সিনেমা হলের পাশে,

মাহফুজ, সাফির সাথে পরিচয় হয়ে অনেক ভালো লাগলো,ছেলেটা খুব মিশুক প্রকৃতির,সবার সাথে খুব অল্প সময়েই ভালো বন্ধুত্ব করে ফেলতে পারে,যাইহোক আর কয়টা ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম,

ক্লাসগুলো করে অনেক ক্লান্ত হয়ে পরেছি,কিন্তু এমনটা কেনো হলো বুঝতে পারছি না,থাক আর এসব নিয়ে মাথা খাটিয়ে লাভ নাই,নতুন জায়গায় আসার কারনে মনে হয় এসব হয়েছে,রাতে সাজিদকে মেসেজ দিলাম,সাথে সাথে রিপ্লাই দিলো,

সাজিদ, কিরে কেমন আছিস তুই..?

মাহফুজ, অনেক ভালো আছি রে,তবে একটা মেয়ের উপর ক্রাস খাইছি,এই প্রথম তোর ভাইটা কোনো মেয়েকে মন দিয়ে ফেলেছে,সবসময় শুধু ওর কথাই মনে পড়ছে,মন থেকে যেনো ওকে কোনোভাবেই সরাতে পারছি না,

সাজিদ, আরে ভাই এটা তো খুব খুশির কথা,যে ছেলে এতোগুলো মেয়ের আইডি নষ্ট করে দিলো,সুন্দরী মেয়েদেরকে অনলাইনে পাত্তা পর্যন্ত দিলো না,সেই ছেলে নাকি ক্রাস খাইছে,আমার নায়কের মতো বন্ধু যে মেয়েটাকে ভালোবাসবে তার লাইফ তো পুরাই ধন্য,আরে ভাই মেয়েটা কি তোর প্রপোজাল গ্রহন করছে..?

মাহফুজ, ধুরররর সালা,মেয়েটাকে দেখেই ক্রাস খাইছি শুধু,ওর সাথে কথাও বলতে পারি নাই,মেয়েটা কে আর কোথাও থাকে সেটাও জানি না,তবে আমাদের সাতে সেম ইয়ারে পরে,মেয়েটা যেনো একদম পরী,তবে হা কারোর সাথে কথা বলতে দেখলাম না,একদম চুপচাপ দেখলাম সবসময়,আর তুই কতোকিছু আগে থেকেই বলে ফেললি..!

সাজিদ, আরে ভাই তোকে আমি খুব ভালো করেই জানি,আমাদের পরিচয় একেবারে কম দিনের না,আমি এইটুকু সিওরিটি দিয়ে বলতে পারি,ওই মেয়েটাই আমার ভবিষ্যত ভাবি হবে তুই দেখে নিস,যাক এসব কতা এখন বাদ দে,রুহি মেয়েটার কোনো খোজ পেলি নাকি..?

মাহফুজ, নাহহহ ওর সাথে আর কথা হয় নাই আমার,আজকে ওদের কনভারশন গুলো হ্যাক করে দেখি কিছু জানতে পারি কিনা..?তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নিবো,

সাজিদ, আচ্ছা ঠিক আছে তুই কাজ কর,এখন তো আবার পরতে বসবি,কিন্তু আজকে একটা জিনিস অনেক মিস করতেছিলাম। আমাদের দুইজনের তো অনলাইনে অনেকদিনের পরিচয় হলো,কিন্তু সামনা সামনি কখোনো দেখা করতে পারি নাই,কবে যে দেখা হবে সেই দিনটার জন্য অপেক্ষাই আছি,

মাহফুজ, আরে দেখা হবে না কেনো,দেশটাকে আগে হায়েনারদের হাত থেকে রক্ষা করে নিই,তারপর দুজনের দেখা হবে খুব ভালো একটা সময়ে,তবে তুই যেভাবে আমাকে সবসময় সাপোর্ট করে যাস,আমি তোর এই উপরকার কখোনো ভুলবো না,আচ্ছা এখন আর কথা বলবো না,ক্লাসের পড়াগুলো শেষ করতে হবে রে, তারপর সাজিদের কলটা কেটে দিয়ে কম্পিউটার অফ করে দিলাম,

তাহসিন, এই যে মিস্টার এখন পরতে আসেন,অনেক সময় ধরে তো কম্পিউটারের সাথে বকবক করতে আছেন,এইবার কি পরাশোনাতে মনোযোগ দেওয়া যাবে.?

মাহফুজ, মহামান্য জজ সাহেব আপনার আদেশ যথার্থ😁

হা পড়তে বসা যাবে,কিন্তু পড়াতেই তো মন বসছে না,শুধু ওই মেয়েটা আোখের সামনে ভাসছে,কিযে হলো আমার বুঝতে পারছি না,

তাহসিন, আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি যে তোর কি হয়েছে,তোর হলো ভুতে ধরছে তাই এমন হচ্ছে,এখন ভালো ছেলের মতো বইটা নিয়ে পরতে বসে যাও,নাহলে কিন্তু আংকেল আন্টির কাছে সবকিছু বলে দিবো,

মাহফুজ, এই যে ব্লাকমেইল করা শুরু করে দিলো,তুই বন্ধু নাকি শত্রু আমি মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না,সবসময় শুধু বাবা ময়ের ভয় দেখাস,এই যেনে আমি বই নিয়ে পরতে বসলাম,

তারপর দুজনে মিলে পড়া শেষ করে খাবার শেষ করে ঘুমিয়ে পরলাম,

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুজনে কলেজে চলে গেলাম,কলেজে প্রবেশ করতেই দেখি সেই মেয়েটা একটা কোনায় বসে আছে,আমি আর অন্যদিকে মনোযোগ দিতে পারলাম না,আজকে যেভাবেই হোক মেয়েটার সাথে কথা বলতেই হবে,আমি আস্তে আস্তে মেয়েটার কাছে চলে গেলাম,কিন্তু অন্যদিকে মুখ করে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে,মেয়েটার কাছে যাবো তখনই সাফি চলে আসলো,

সাফি,কিরে মাহফুজ এখানে কি করিস,আর কখন আসলি..?

মাহফুজ, এইতো একটু আগেই আসলাম,আচ্ছা তুই কি এই মেয়েটাকে চিনিস..? আর মেয়েটার নামটাই জানি না আমি।

সাফি, ওহহহ তুই নওশিন এর কথা বলছিস..? মেয়েটা তো আমাদের সাতে সেম ইয়ারে পরে,তবে একটা কথা হলো মেয়েটা এই পর্যন্ত একটা বন্ধুও করে নাই,সবসময় এভাবেই চুপচাপ বসে ল্যাপটপে কাজ করে,আর আমাদের কলেজে সবসময় পরীক্ষায় টপআপ করে,মেয়েটার কাছে শুধু পড়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলে,তাছাড়া বাড়তি একটা কথাও বলে না,

মাহফুজ, মেয়েটার নাম নওশিন..? বাহহহ খুব সুন্দর নাম তো😍 

আমি তো দূর থেকে দেখে ওর উপরে ক্রাস খাইছি,দূর থেকে ওতোটা ভালো করে দেখতে পারি নাই,তবে দূর থেকে যেরকম সৌন্দর্য দেখতে তাতেই তো মনের মধ্যে গেথে গেছে,জানি না কাছে থেকে দেখলে আমার অবস্থা কি হবে,আমি এখুনি ওর কাছে যাবো,আর আমার ভালোবাসায় ওকে সিক্ত করে নিবো।

সাফি, আরে এটাতে কোনো লাভ নাই,মেয়েটা তোর সাথে কথায় বলবে না,আমিও ওর সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম,কিন্তু পারি নাই,

মাহফুজ, আমি আর এক মূহুর্ত দেরি না করে মেয়েটার কাছে চলে গেলাম,এইযে তোমার সাথে আমার কিছু কতা আছে,

মেয়েটা, মাহফুজের কথা শুনে ঘুরে তাকালো,হা কিছু বলবেন..?

মাহফুজ, মেয়েটাকে দেখেই তো অজ্ঞান হয়ে যাবার পালা হলো আমার,এটা আমি কাকে দেখছি.....?

সাফি, আরে এটাতে কোনো লাভ নাই,মেয়েটা তোর সাথে কথায় বলবে না,আমিও ওর সাথে কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম,কিন্তু পারি নাই,

মাহফুজ, আমি আর এক মূহুর্ত দেরি না করে মেয়েটার কাছে চলে গেলাম,এইযে তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে,

মেয়েটা, মাহফুজের কথা শুনে ঘুরে তাকালো,হা কিছু বলবেন..?

মাহফুজ, মেয়েটাকে দেখেই তো অজ্ঞান হয়ে যাবার পালা হলো আমার,এটা আমি কাকে দেখছি.....? এতো দেখি আমার ধারণা থেকেও বেশি সুন্দরী,

আমার সামনে যেনো একটা পরীকে দেখতে পাচ্ছি,এক দৃষ্টিতে মেয়েটাার দিকে তাকিয়ে থাকলাম,মেয়েটার দিকে তাকালে আমি দুনিয়াদারি সব কিছু ভুলে যাচ্ছি,অন্য একটা জগতে হারিয়ে যাচ্ছি।

মেয়েটা, মাহফুজের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়,কি কারণে ডাকলো কিছুই বুঝতে পারছে না,মাহফুজ একভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এই যে আপনি কি আমাকে কিছু বলবেন..?

মাহফুজ, মেয়েটার কথা শুনে চমকে উঠলাম,কারন এতো সময় নিজের ভিতরে ছিলাম না,অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম,ওহহহ সরি আপনার সাথে একটু কথা বলার জন্য ডেকেছিলাম,তারপর আর মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছে না,মেয়েটার দিকে তাকিয়ে কথাই বরতে পারছি না,

মেয়েটা, সরি আমি দুঃখিত,আমি চাইলেই এখন আপনার সাথে কথা বলতে পরবো না। আমার এখন কিছু পড়াশোনা করতে হবে,তাই চাইলেই আপনার সাথে এখন কথা বলতে পারবো না। তবে যদি কোনো পড়াশোনার বিষয় থাকে তাহলে বসতে পারেন।

মাহফুজ,নাহহহ আমি এমনিই মনে করলাম তোমার সাথে গল্প করবো,কিন্তু তুমি যেহেতু ব্যস্ত আছো তাই আর এখন কথা বলবো না,তুমি পড়াশোনা করো,কথাটা বলতে দেরি মেয়েটা ল্যাপটপে কাজ করতে শুরু করে দিলো।

আমি মেয়েটার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়েই আছি।

এদিকে তাহসিন মাহফুজের কান্ড দেখে অবাক না হয়ে পারলো না,কারে মাহফুজের অনেক বার ডেকেছে ,কিন্তু তার পরেই মাহফুজ কোনো সারা দেই নাই।তাই এবার মাহফুজের কাছে গিয়ে জোর করে দূরে নিয়ে আসলো।

--কিরে মাহফুজ তোর আবার কি হলো..? সেই কখন থেকে তোকে ডেকেই চলেছি ,কিন্তু তোর কোনো সারা শব্দই পাচ্ছি না।

কি এমন হলো তোর ওই মেয়েটাকে দেখে,তার তো আমি কিছুই বুঝলাম না।

মাহফুজ, আরে তোদের ভাবিকে পেয়ে গেছি,ওই মেয়েটাকেই তোদের ভাবি বানাবো।

তাহসিন, তুই কি পাগল হয়ে গেলি নাকি..? আমার তো কিছুই মাথায় ঢুকছে না,

সাফি, আরে পাগল হইনাই,মাথাটা একদম খারাপ হয়ে গেছে,যে মেয়েটা পাত্তাই দিলো না,তাকেই বলে কিনা বউ বানাবে,

মাহফুজ, এই তোরা একটু কষ্ট করে মুখটা বন্ধ কর তো..! কি করে মেয়েটাকে নিজের করে নিতে হবে সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। আচ্ছা এখন চল ক্লাসে যাই,তারপর সবাইকে নিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম,সাফি অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের অনেক কাছের বন্ধু হয়ে গেছে।

ক্লাসগুলো শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসলাম,তারপর দুপুরের খাবারটা শেষ করলাম,তাহসিন তো আজকে মনে হলো রাক্ষস হয়ে গেছে,আম্মুকে বললাম যে তাহসিনকে কম খেতে দিতে,কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক তার উল্টো ঘটলো,আমাকে রাগানোর জন্য তহাসিন খুব আদর করে খাইয়ে দিলো,কিন্তু আমার আর কি করার,মনে হলো আমি এই পরিবারের কোনো সন্তান ই না🙂

পরে তাহসিন আমার অবস্থা দেখে আম্মুকে বললো আমাকে খাইয়ে দিতে,সত্যিই আজকের খাবারটা খুব মজা করে খেয়েছি,আর আম্মুও আমার ফেভারিট খাবার রান্না করেছিলো,

যাইহোক খাবার শেষ করে একটা ঘুম দিলাম,একঘুমে বিকাল হয়ে গেলো,ঘুম থেকে উঠেই কম্পিউটার টা অন করলাম,সঙ্গে সঙ্গে সাজিদ আমাকে কল দিলো,

মাহফুজ, হা সাজিদ বল কি অবস্থা..?

সাজিদ, দোস্ত অবস্থা তো অনেক খারাপ হয়ে গেছে,ওই রুহির টিমটা সরকারকে মেরে ফেলার সমস্তরকম প্লান বানিয়ে ফেলেছে,তুই যদি গভমেন্টকে বিষয়টা জানিয়ে না দিস,তাহলে আমাদের দেশের বড় একটা ক্ষতি হয়ে যাবে,

মাহফুজ, বলিস কি তুই..? 

সাজিদ, আমি সবরকমের খবর নিয়ে নিয়েছি,আর আমি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হয়েই তোকে ফোন দিয়েছি,তুই আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলি,আমি সেটা তোকে সুন্দরভাবে করে দিয়েছি,কিন্তু এখন যদি তুই কোনো পপদক্ষেপ না নিস তাহলে বড় কিছু হয়ে যেতে পারে,এই ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।

মাহফুজ, আচ্ছা টিক আছে বিষয়টা আমি দেখছি,এই পর্যন্ত আমাদের দেশের কোনো ক্ষতি আমি হতে দেই নাই,আর এবারেও কোনো ক্ষতি হতে দিবো না,আমি আমাদের দেশের সিকিউরিটি সার্ভারে মেসেজ করে বিষয়টা সবাইকে নিশ্চিত করে দিবো,যাতে সরকার সময়মগো সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে, আচ্ছা তুই এখন ফোনটা রাখ,আমি আজকে রাতেই সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করবো,

সাজিদের সাথে কথা বলা শেষ করে পড়াশোনায় মনোযোগ দিলাম,আর সাজিদের কথামতো কাজটা রাতেই সেরে ফেলবো,

রাতের দিকে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিষয়টা নিয়ে বসলাম,বিষয়টা একটু ঘেটে দেখলাম আসলেই অনেক বড় সড়োযন্ত্র করেছে এরা,তারপর রুহিদের সব ফাইলগুলো কপি করে নিয়ে হত্যা করার বিষয়টা বের করে আলাদা ফািল তৈরি করলাম,এবার আমাদের দেশের সিকিউরিটি সার্ভারের প্যানেলে গিয়ে মেসেজ দিলাম,

-- হ্যালো গাইজ...?

সিকিউরিটি প্যানেল, হ্যালো আপনি কে বলছেন..? আপনার পরিচয় কি..?আমাদের প্যানেলে তো বাইরের কোনো মানুষ ঢুকতে পারে না,তাহলে আপনি কেমন করে ঢুকলেন..?

-- আমি কেমন করে ঢুকলাম সেটা জানার কোনো প্রয়োজন নাই,আমি একটা ফাইল আপনারদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছি,আমাদের সরকারকে একটা প্রাইভেট সংস্থা মেরে ফেলার প্লান তৈরি করেছে,তাদের সেইগুলোর ডিটেইলস এখানে দিয়ে দিয়েছি, যতো দ্রুত সম্ভব এটা সরকারকে জানিয়ে জরুরি পদক্ষেম নিন,

সিকিউরিটি প্যানেল, আপনাকে তো আমরা চিনি না,আপনি যে আমাদের সঠিক খবর দিচ্ছেন তার প্রমাণ কি..?

মাহফুজ, কথা বলতে যাবো তখন দেখি প্যানেলের লোকেরা আমার লোকেশন ট্রাক করার চেষ্টা করছে,এই যে ভাই আমার লোকেশন ট্রাক করার ফালতু চেষ্টা করছেন আপনারা,আমাকে খুজে পাওয়া ওতো সোজা কাজ নয়,আপনাদেরকে যা বলছি তাই করুন,একজন দেশের নাগরিক হয়ে আমার কর্তব্য করলাম,এবার আপনারা বাকি কাজ করুন,আর কোনো সাহায্য লাগলে আমাকে মেসেজ করবেন।কিন্তু আমাকে খুজে পাবেন না।

তারপর ফাইলটা পাঠিয়ে দিয়ে প্যানেল থেকে বেরিয়ে আসলাম,

এখন শুধু সকালের জন্য অপেক্ষা করবো,দেখি সরকারের লোকেরা কি করতে পারে,নাহলে আমাকেই সমস্ত কাজ করতে হবে,নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পরলাম,

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কম্পিউটার অন করলাম,তারপর ইউটিউবে ঢুকলাম, হটাৎ একটা ভিডিওর দিকে চোখ পরলেই চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো....!

সিকিউরিটি প্যানেল, আপনাকে তো আমরা চিনি না,আপনি যে আমাদের সঠিক খবর দিচ্ছেন তার প্রমাণ কি..?

মাহফুজ, কথা বলতে যাবো তখন দেখি প্যানেলের লোকেরা আমার লোকেশন ট্রাক করার চেষ্টা করছে,এই যে ভাই আমার লোকেশন ট্রাক করার ফালতু চেষ্টা করছেন আপনারা,আমাকে খুজে পাওয়া ওতো সোজা কাজ নয়,আপনাদেরকে যা বলছি তাই করুন,একজন দেশের নাগরিক হয়ে আমার কর্তব্য করলাম,এবার আপনারা বাকি কাজ করুন,আর কোনো সাহায্য লাগলে আমাকে মেসেজ করবেন।কিন্তু আমাকে খুজে পাবেন না।

তারপর ফাইলটা পাঠিয়ে দিয়ে প্যানেল থেকে বেরিয়ে আসলাম,

এখন শুধু সকালের জন্য অপেক্ষা করবো,দেখি সরকারের লোকেরা কি করতে পারে,নাহলে আমাকেই সমস্ত কাজ করতে হবে,নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পরলাম,

সকালে ঘুম থেকে উঠেই কম্পিউটার অন করলাম,তারপর ইউটিউবে ঢুকলাম, হটাৎ একটা ভিডিওর দিকে চোখ পরতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো....! এটা আমি কি দেখছি..?

ভিডিওটা তো দেখে মনে হচ্ছে বড় কোনো কিছু হ্যাক হয়ে গেছে।

তাড়াতাড়ি ভিডিওটা প্লে করলাম,

--আজকের সবথেকে বড় খবর হলো আমাদের দেশের অন্যতম হ্যাকার গ্রুপ Hacker Kings গ্রুপটা হ্যাক হয়ে গেছে, কে বা কারা করেছে সেটা সিশ্চত হয়ো যাইনি,কারন তারা হ্যাক করার সময় নিজেদের পুরো পরিচয় গোপন করে রাখছিলো,এখোনো তাদের পরিচয় গোপন আছে,কিন্তু একটা মেয়ে কিছুক্ষণ আগে একটা ভিডিও একটা চ্যানেলে দিয়েছে।

মেয়েটার ভিডিওটা দেখে নিন,

মেয়েটা, আজকে এই বড় গ্রুপটা হ্যাক করে অনেক ভালো লাগছে,কারন এরা একটা অনৈতিক কাজ শুরু করছিলো,আমি শুধুমাত্র তাাদেরকেই আক্রমণ করি যারা খারাপ কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তবে এই কাজটা করার পেছনেও আমার একটা মেসেজ আছে। আর সেটা হলো আমি হ্যাকার জগতের সবথেকে বড় খাতারনাক বিল্লাহ ভাউ কে তালাশ করছি। আমি তার সাথে কথা বলতে চাই। কারন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফাইল নিয়ে নিয়েছে,যার জন্য আমার এখন অনেক সমস্যা হচ্ছেেআর হা আমার পরিচয়টা দিয়ে দিই,আমি হলাম হ্যাকার গার্ল,বর্তমানে নেট দুনিয়ার সবকিছু শেষ করে দিতে পারবো। তাই বিল্লাহ ভাউ কে বলছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন।

আমি আমার একটা কোডিং দিয়ে দিচ্ছি,54wx

এটা একমাত্র বিল্লাহ ভাউ বুঝতে পারবে।আমার সাথে আপনি খুব তাড়াতাড়ি দেখা করুন। না হলে আমি হ্যাকার গ্রুপগুলো হ্যাক করতেই থাকবো। এই বলেই লাইভটা কেটে দিলো।

মাহফুজ, মেয়েটা লাইভ কেটে দিলো,কিন্তু ওর হাত ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারলাম না,তবে মেয়েটার হাতের উপরে একটা কাটা চিহ্ন দেখতে পেয়েছি,আর এই চিহ্নটা আমি কোথাও দেখেছি মনে হচ্ছে,কিন্তু কোথায় দেখেছি..? ওওহ মনে পরেছে,

এরকম চিহ্ন তো আমি রুহির হাতে দেখেছি,ধুররর সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে, মাথায় তো আমার কিছুই ঢুকছে না,এই মেয়েটা চাইছে টা কি..? আর কেনই বা বিল্লাহ ভাউ এর সাথে কথা বলতে চাচ্ছে..?

নাহহহ মাথার মধ্যে সবকিছু জট পাকিয়ে যাচ্ছে। যাক যা দেখার দেখে নিয়েছি,তারপর সরকারের সিকিউরিটি প্যানেলে গিয়ে মেসেজ দিলাম,

--হ্যালো গাইজ কেমন আছেন সবাই..?

সিকিউরিটি প্যানেল, এইতো সবাই ভালো আছি আমরা,তবে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সঠিক সময়ে আমাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য,আপনার জন্যই আমরা সরকারকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। আর আজকে তো ইউটিউবে একটা ভিডিও পাবলিশ হয়েছে,সেটা তো আপনার অজানা থাকার কথা নয়। ওটা থেকেই স্পস্ট যে ওদের খারাপ পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু মেয়েটা যে নেট জগতের কিং বিল্লাহ ভাউ কে কেন খুজছে সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।

বিল্লাহ ভাউ তো এই পর‌্যন্ত যতো খারাপ কাজ আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। তবে মেয়েটা বলছে তাদেরিএকটি পরিকল্পনা বলে বিল্লাহ ভাউ নষ্ট করে দিয়েছে। তাই তার উপরে রেগে আছে।

মাহফুজ, হা সেটা ঠিক হতে পারে,তবে এই সড়যন্ত্রের যে মূল হোতা, তাকে ধরতে সক্ষম হয় নাই,তবে আশা করছি যে অল্প সময়ের মধ্যেই ধরে ফেলতে পারবো।

সিকিউরিটি প্যানল, হা সেটাই যেনো হয়,তবে আপনাকে একটা কথা বলার ছিলো...

মাহফুজ, হ্যা বলুন,

সিকিউরিটি প্যানেল, আপনার নামটা কি আমরা জানতে পারি..?

মাহফুজ, এখনো আমার পরিচয় দেওয়ার মতো সময় আসে নাই,সময় হলে এমনিতেই জানতে পারবেন। আমি গোপনে থেকেই এই মূহুর্তে দেশের জন্য সেবা করে যেতে চাই। আচ্ছা তাহলে সবাই ভালো থাকেন,

তারপর সিকিউরিটি প্যানেল থেকে বের হয়ে আসলাম,এদিকে পেটের মধ্যে অনেক ক্ষুদা লেগেছে,পেটে একটু হাত দিয়ে বসে থাকলাম। আর তখনই তাহসিন আসলো।

তাহসিন, কিরে দেশের সেবক,তোর কি দেশ রক্ষার কাজ শেষ হলো..?

মাহফুজ, হ্যা রে কাজ শেষ হয়েছে,একটি বাজে সংস্থাকে মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছি। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মেরে ফেলার প্লান বানিয়েছিলো,কবে কোথায় আক্রমন করবে সেটার কনভারশেষন গুলো আমি সরকারের লোকদেরকে দিয়ে দিয়েছিলাম,যার কারনে তারা যথা সময়ে ব্যবস্থা নিতে পেরেছে।

তাহসিন, আরে সব কথায় তো বুঝলাম,আমি তো আর এসব কাজ করতে মানা করছি না,তবে নিজের শরীরের দিকে তো একটু খেয়াল রাখবি নাকি..? এখন খেতে চল। তারপর কলেজে যেতে হবে।

মাহফুজ, তাহসিনের সাথে খেতে চলে গেলাম,খাওয়া শেষ করে দুজনে কলেজের দিকে রওনা দিলাম,কলেজে গিয়ে দেখি নওশিন নির্জন একটা জায়গায় ল্যাপটপ নিয়ে বসে কাজ করছে। তারপর নওশিনের কাছে চলে গেলাম,কিন্তু তাহসিন আমার হাত ধরে একটু সাইডে নিয়ে আসলো,

তাহসিন, কিরে ভাই যে মেয়ে তোকে পাত্তায় দেয় না,তার কাছে আবার কিসের জন্য যাচ্ছিস..?

মাহফুজ, আরে পাত্তা তো দেয় না,তবে পাত্তা এবার দিবে আমাকে। আর আমাকে ভালোবাসবে,তোর এই বসের চেহারাটা কি খারাপ নাকি..?

তাহসিন, আচ্ছা আমিও দেখি তুই কিভাবে নওশিনের পাত্তা পাস,আর কিভাবে নওশিনের সাথে মিশতে পারিস..?

মাহফুজ, আচ্ছা তাহলে দেখতে থাক,

তারপর নওশিনের কাছে গেলাম,হাই নওশিন কেমন আছো তুমি..?

নওশিন, হা ভালো আছি,কিছু বলবেন আমাক..?

মাহফুজ, হা আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না,এই লেশনটা কিছুতেই মাথার ঢুকছে না,যদি আমাকে একটু সাহায্য করতে তাহলে ভালো হতো,

নওশিন, আচ্ছা আমার কাছে এসে বসেন,আমি আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

মাহফুজ, আমি তাহসিনের দিকে তাকিয়ে একটা লজ্জা মাখা হাসি দিলাম....

মাহফুজ, হা আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না,এই লেসনটা কিছুতেই মাথার ঢুকছে না,যদি আমাকে একটু সাহায্য করতে তাহলে ভালো হতো,

নওশিন, আচ্ছা আমার কাছে এসে বসেন,আমি আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।

মাহফুজ, আমি তাহসিনের দিকে তাকিয়ে একটা লজ্জা মাখা হাসি দিলাম,তারপর নওশিন আমাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে লাগলো,আড়চোখে তাকিয়ে দেখি তাহসিন হাবলার মতো দাড়িয়ে আমার কান্ড দেখছে,আমিও অনেক ভালো একটা সময় কাটাচ্ছি এখন,নওশিনের কাছ থেকে যে পড়াটা আমি বুঝে নিচ্ছি,সেটা আমার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে,ওর কাছে বসে আছি শুধু নাম মাত্র,

এদিকে তাহসিনের তো রাগ হয়ে যাচ্ছে,কারন মাহফুজ নওশিনের কাছে বসেই আছে,উঠে আসার নামগন্ধ নাই,

নওশিন, পুরো পড়াটা বুঝিয়ে দিলো,এই যে আপনার সব পড়া বুঝিয়ে দিয়েছি,

মাহফুজ, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ,আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলোতো..? তুমি কারোর সাথে কথা বলো না কেনো..? 

নওশিন, আমার সবসময় একা থাকতেই বেশি ভালো লাগে,তাই একাই থাকি,আর বসে বসে পড়াশোনা করি,ফ্রেন্ডদের সাথে মিশলে শুধু গল্প করেই সময় কাটিয়ে দেয়,তাই ফ্রেন্ড করিনি,

মাহফুজ, ওহহহ তাই বলো,তবে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে পারো,আমি তোমাকে কখনো জালাতন করবো না,শুধু পড়া বুঝে নিতে আসবো,আমার এই শর্ত তেও কি রাজি হবে না..? জাস্ট পড়ালেখার জন্য,

নওশিন, কিছুক্ষন ভাবলো,তারপর কি যেনো মনে হলো তার,আচ্ছা এখন থেকে আমরা জাস্ট ফ্রেন্ড,

মাহফুজ, আচ্ছা থাকো তাহলে,আমি এখন যাই,তারপর তাহসিনের কাচে চলে গেলাম,

তাহসিন, কিরে ভাই তোর এতো বুদ্ধি আসে কই থেকে মাঝে মাঝে আমি বুঝি না,ঠিকই পড়াশোনার বাহানা নিয়ে নওশিনের সাথে বসে কথা বলে আসলি,

মাহফুজ, তুই তো দেখছি তোর গুরুকে এখনো চিনতে পারিস নাই,আচ্ছা এখন চল ক্লাসে যাই,তারপর তাহসিনের সাথে ক্লাসে চলে গেলাম,আর তখনই সাফি চলে আসলো,কিরে সাফি কেমন আছিস..?

সাফি, থাক আর বলতে হবে না আমি কেমন আছি,দূর থেকে সবই দেখছি,ঠিকই তো পড়ালেখার বাহানা নিয়ে নওশিনের সাথে মিশে গেলি,

মাহফুজ, আরে এইটা করা ছাড়া তোদের ভাবিকে আমার দিকে ফেরাতে পারবো না,আচ্ছা এখন এসব কথা বাদ দেতো..?কেমন আছিস তুই তাই বল,

সাফি, এই তো বেশ ভালো সময় কেটে যাচ্ছে,তোদের সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর একটা মূহুর্তের জন্যও আর খারাপ লাগে না,সবসময় মনে হয় তোরা দুজনে আমার আপন দুই ভাই।

মাহফুজ, কেনো রে আমরা কি পর হয়ে তোর কাছে এসেছি নাকি..? আমরা পুরো বিশ্বের মুসলমান সবাই ভাই ভাই,আমাদের রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছেন জানিস না..? মুসলমান যেকোনো ভাই যেই প্রান্তেই থাকুক না কেন,সবাই একটা দেহের মতো,আর একে অপরের ভাই,তাই আমরা থাকতে নিজেকে আর কখনো একা ভাববি না,

তাহসিন, আচ্ছা এখন সবাই এক জায়গায় বসি আয় তো.? এখনি স্যার চলে আসবে,ইতিমধ্যে সবাই ক্লাসে চলে আসছে,

একটু পরেই স্যার ক্লাসে চলে আসলো,সবকয়টা ক্লাস করে সবাই বাইরে বের হয়ে আসলো,

মাহফুজ,আমার আজ অনেক ক্ষুধা লেগে গেছে,এখন কিছু না খেয়ে বাসায় যেতে পারবো না,চল ক্যান্টিতে গিয়ে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিই,আজকে তোদের যা ইচ্ছা অর্ডার করবি,

তাহসিন, হুমম তাহলে তো আজকে অনেক মজা হবে,অনেক দিন হলো তুই আমাকে খাওয়াতে নিয়ে যাস নাই,এখন তাড়াতাড়ি চল ক্যান্টিতে,😋

মাহফুজ, দেখছিস সাফি..? এই বান্দরটাকে আমি সবসময়ই খাওয়াতে নিয়ে যায়,বাট কয়টা দিন একটু বিজি থাকার কারনে ওকে খাওয়াতে পারি নাই, তাই মনে হচ্ছে তাহসিন আমার পর হয়ে গেছে,আচ্ছা এখন চল সবাই ক্যান্টিনে যায়, 

তারপর সবাইকে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেলাম,

সবাই ক্যান্টিনে গিয়ে খেতে বসে গেলো,বয় এসে খাবার মেনু দিয়ে গেলো,তাহসিন আর সাফি দুজনে ইচ্ছা মতো অর্ডার করলো,

মাহফুজ, আমি দুপুরে বেশি কিছু খায় না,তাই হালকা অর্ডার করলাম,একটু পরে বয় এসে খাবারগুলো দিয়ে গেলো,সবাই মিলে খাওয়া শুরু করলাম,হঠাৎ করে টিভিতে সংবাদ শুরু হলো,

--এই মূহুর্তের বিশেষ খবর,

দুইদিন আগে হ্যাকার গার্ল নামে পরিচয় দেওয়া একটা মেয়ে আবার লাইভে এসেছিলো,এবার সে আরো একটি হ্যাকার গ্রুপকে হ্যাক করে সাইবার জগতে সারা ফেলে দিয়েছে,এবারের লাইভে এসেও মেয়েটা বিল্লাহ ভাউকে খোজ করেছে,যদি বিল্লাহ ভাউ তার সাথে যোগাযোগ না করে তাহলে সে এই হ্যাকিং এর কাজ চালিয়ে যাবে,সরকারী কয়টা দল মেয়েটাকে খোজার জন্য সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,কিন্তু মেয়েটা নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে,

কিন্তু মেয়েটা তার নিজের একটা কোডিং বলে দিয়েছে আগের লাইভে,সরকারী কর্মকর্তারা বলছে যে এই কোডিং এর মাধ্যমে তারা মেয়েটা খুজে বের করবে,যে করেই হোক,কারন মেয়েটা যে গ্রুপ গুলোকে হ্যাক করছে,সেগুলো সরকারের হয়ে কাজ করতো,কিন্তু মেয়েটা বলছে গ্রুপগুলো সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছিলো অনেক গোপনে,তাই মেয়েটা তাদেরকে হ্যাক করেছে,এর পিছনে কি কারন থাকতে পারে সেটা এই মূহুর্তে ক্লিয়ার করা যাচ্ছে না।

তারপর খবর শেষ হয়ে গেলো।

সাফি, আমি একটা জিনিস কিছুতেই বুঝতে পারছি না,যে মেয়েটা চাইছে টা কি..? সে আগে যাদের গ্রুপ হ্যাক করেছিলো,তারা তো সরকারের হয়ে কাজ করতো এটা সবাই জানে,কিন্তু মেয়েটা তারপরেও তােদের সর্বনাশ করলো,এখন আবার আরেকটা গ্রুপকে,কিন্তু সবথেকে বড় কথা হলো মেয়েটা বিল্লাহ ভাউকে খুজছে কেন..?

আমি শুনেছি বিল্লাহ ভাউ এই সাইবার জগতের কিং,দেশের সবগুলো হ্যাকারদের প্রশিক্ষন বলে এই বিল্লাহ ভাউ দিয়েছে,কিন্তু তাকে এই পর্যন্ত কেউ দেখতে পারে নাই,আচ্ছা তোরা কি বলিস এই বিষয়ে..?

মাহফুজ, এখন এসব নিয়ে ভাবার সময় আমাদের নাই,এই সাইবার জগতের সবকিছুই আমাদপর আয়ত্তের বাইরে,তাই এসব মাথা থেকে ফেলে দিয়ে পড়ালেখাতে মনোযোগ দাও। আচ্ছা সবার তো খাওয়া হয়ে গেছে এখন বাসায় চলো, 

তারপর তিনজনে সবার গন্তব্যে চলে গেলো,বাসায় এসেই মাহফুজ এই মাফিয়া গার্লের বিষয়ে ভাবতে লাগলো,এই মাফিয়া গার্লটা চাইছে টা কি,বিল্লাহ ভাউকে তার কি প্রয়োজনে লাগতে পারে..? ওহহজ সবাইকে বলে রাখি যারা বিল্লাহ ভাউকে পাচ্ছেন না,তাহলে বলি আমিই হলাম বিল্লাহ ভাউ। এই সাইবার জগতে এই নাম নিয়েই হাটু গেড়ে বসেছি,

কোনো মতে রাতটা পার করে দিলাম,উদ্দেশ্য আজকে রাতে সাজিদের সাথে কথা বলবো বিস্তারিত,তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটাই নিবো।

খাওয়া দাওয়ার পরে তাহসিনের সাথে কলেজে চলে গেলাম,কলেজে ঢুকতেই দূর থেকে কেউ একজন নাম ধরে ডাক দিলো,তাকাতেই দেখি নওশিন আমাকে ডাকছে,তাহসিন তো নওশিনকে ডাক দিতে দেখে পুরো হ্যাং হয়ে গেলো....!

খাওয়া দাওয়ার পরে তাহসিনের সাথে কলেজে চলে গেলাম,কলেজে ঢুকতেই দূর থেকে কেউ একজন নাম ধরে ডাক দিলো,তাকাতেই দেখি নওশিন আমাকে ডাকছে,তাহসিন তো নওশিনকে ডাক দিতে দেখে পুরো হ্যাং হয়ে গেলো....!

তাহসিনের মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম,

--কিরে তুই এভাবে স্মার্ট ফোনের মতো হ্যাং হয়ে গেলি কেন..?😂

--তো কি করবো তুই বল..? যে মেয়ে কাউকে পাত্তা দেয় না,কারোর সাথে ফ্রেন্ডশিপ করে না,তুই পড়াটা বুঝতে গিয়েছিলি,বোঝানো শেষ হলে আর কথা বললো না,কিন্তু আজকে কলেজে আসার পরই তোকে ডাক দিলো..! এটা না আমার বিশ্বাস হচ্ছে না,এইটুকু সময়ের মধ্যে কি এমন হলো..?

--আরে পাগলা যে যেমন কোয়ালিটির মানুষ,তার সাথে সেভাবেই মিশতে হয়,দেখ ওকে আমার খুব ভালো লাগে,এক কথায় ভালোবেসে ফেলেছি,ওকে পেতে হলে আমার তো কিছু করতেই হবে,মেয়েটা কারোর সাথে কথা বলে না।

কিন্তু ওর কাছে কোনো পড়াশোনার বিষয় নিয়ে গেলেই সুন্দর ভাবে তাকে বুঝিয়ে দেয়,যেমন একজন বেষ্ট ফ্রেন্ডকে আরেকটি ফ্রেন্ড কেয়ার করে,তেমনি ওর সাথেও তেমন করেছি,গতকাল ওকে একটা অ্যাসাইনমেন্ট করে দেওয়ার কথা বলছিলাম,মনে হয় সেই জন্যই ডাকছে,তাছাড়া বেশি কিছু নয়।😊

--হা বুঝলাম,

এবার যা তুই তোর প্রেমিকার কাছে,সত্যিই বলতে হবে ভাই,তুই জিনিয়াস বটে।

--তাহসিনের দিকে তাকিয়ে হেসে দিলাম,তারপর নওশিনের কাছে চলে গেলাম,হা নওশিন বলো,ডাকছো কেন..?

--আরে তোমাকে না ডেকে আমার উপায় আছে নাকি..? গতকাল বললে আমি যেন তোমার অ্যাসাইনমেন্ট টা করে দিই,তাই তো তোমার জন্য এইটা করে নিয়ে আসলাম,কিন্তু তোমাকে বলেছিলাম কলেজে আরো একটু আগে আসতে,কিন্তু তুমি তো সে দেরি করেই ফেললে,

--ওহহহ সরি নওশিন,আমি আসলে কথাটা ভুলেই গেছিলাম,সবটা ওই তাহসিনের জন্য হয়েছে,

--এই যে হয়েছে,আর কাউকে দোষ দিতে হবে না,আর কোনো সরিও বলতে হবে না,তুমি যে প্রত্যেকদিন এই সময়েই কলেজে আসো সেটা আমি জানি,আচ্ছা এই নাও তোমার অ্যাসাইনমেন্ট,

--নওশিনের হাত থেকে অ্যাসাইনমেন্ট নিতে গেলাম,ঠিক তখনই একটা জিনিসে আমার চোখ আটকে গেলো,নওশিনের হাতের উপরে একটা কাটা চিহ্ন,ঠিক যে রকমটা আমি হ্যাকার গার্ল,আর রুহির হাতে দেখেছিলাম,কিন্তু এরকম চিহ্ন নওশিনের হাতে কেন..?

মাথার চিন্তা টা তখনই অন্যদিকে মোর নিলো,তাহলে কি নওশিনই সবকিছু করছে..?

এই হ্যাকার গার্ল, রুহি আর নওশিন কি একজনই ব্যক্তি..? তাহলে কি সবকিছুর পিছনে  এই নওশিনের হাত রয়েছে..?

নওশিন, এই মাহফুজ তোমার আবার কি হলো,তুমি আমার হাতের দিকে তাকিয়ে কি দেখো..?

মাহফুজ, অ্যাসাইনমেন্ট টা নিজের হাতে নিলাম,তারপর নওশিনের দিকে তাকালাম-

নওশিন তোমার হাতের এই কাটা দাগটা দেখতেছি,এই দাগটা আমার খুব চেনা লাগছে,ঠিক এই রকম একটা দাগই আমি হ্যাকার গার্ল এর হাতে দেখেছি,

নওশিন, মাহফুজের কথা শুনে চমকে উঠলো,সাথে সাথে নিজের হাতটা টান দিলো,চোখে একটু ভয়ের রেখা দেখা দিলো,

এই মাহফুজ তুমি কি বলছো এগুলো,আমার এই দাগ হ্যাকার গার্ল এর মতো হবে কেন..? আমার ছোটবেলার একটা দূর্ঘটনার জন্য এই দাগটা হয়েছে। তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো নাকি..?

মাহফুজ, আরে নাহহহ কি বলছো তুমি এগুলো..? তোমাকে আমি সন্দেহ করবো কেন..?

আমি গো শুধু আমার সন্দেহের কথাটা জানালাম,এই পাগলিটার কি আমি সন্দেহ করতে পারি নাকি..?😁

নওশিন, এই এই তুমি আমাকে কি বললে..? কাকে পাগলি বললে তুমি..?

মাহফুজ, এই রে বেশি এক্সাইটেড হয়ে এইটুকু বলে ফেলেছি,লজ্জা পেলাম নিজের মনে। মাথাটা চুলকাতে চুলকাতে - না কিছু বলি নাই বলেই তাড়াতাড়ি দৌড়ে চলে আসলাম,আরেকটু হলোই তো ধরা পরে যেতাম।

নওশিন, মাহফুজের কান্ড দেখে হেসে দেয়,মাহফুজ ভয় পেয়েছে দেখে অনেক হাসে,তবে নওশিন মাহফুজের অনেক কাছে চলে এসেছে,মাহফুজকে নওশিনের ভালোই লাগে,এই কয়টা দিনে বেশ খানিক মিশে গেছে।

মাহফুজ, একদৌড়ে চলে আসলাম তাহসিনের কাছে আসলাম,

তাহসিন, কিরে বান্দর এভাবে দড়ে চলে আসলি কেন..? 

মাহফুজ, চলে আসবো না তো কি করবো..? আবেগের ঠেলায় তো ওকে পাগলি বলে ফেলেছি,তারপর কোনো মতে কথাটা ঘুরিয়ে এসেছি,কিন্তু আমার একটা জিনিস সন্দেহ হচ্ছে,আমি হ্যাকার গার্ল আর রুহির হাতে যে কাটা চিহ্নটা দেখেছি,ঠিক সেই রকম একই চিহ্ন নওশিনের হাতেও দেখতে পেলাম, 

তাহসিন, তাহলে কি এই নওশিনই ওই হ্যাকার গার্ল নাকি..? যদি হয় তাহলে তো শত্রু একদম হাতের নাগালে,একেবারে মেঘ না চাইতেই জল😃

মাহফুজ, হা সেটা তো অবশ্যই,বাট এই মাফিয়া গার্লের ব্যাপারে আমাকে খোজ নিতে হবে,যেই কোডটা লাইভে এসে বলেছিলো,ওটা দিয়েই মাফিয়া গার্লকে খুজে বের করবো,তারপর দেখবো তিনজনই একই ব্যক্তি নাকি আলাদা আলাদা,

আচ্ছা তাহসিন তোকে মমমমমমম আর কথা বলতে পারলাম না,হঠাৎ করেই কেউ আমার মুখ চেপে ধরলো,

সাফি, কিরে মনু আলাদা আলাদা কি করছিস..? দুজনে আমাকে রেখে কি এমন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছিস রে..?

মাহফুজ, সাফিকে ইশারায় হাত ছেড়ে দিতে বললাম,তারপর মুখ ছেড়ে দিলো,ওই ছেমরা এভাবে কি কেউ মুখ ধরে..? আমাকে পরপারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে আসছিস😒

সাফি, সরি রে বুঝতে পারি নাই,তো কেমন আছিস..?

মাহফুজ, হা ভালো আছি, আচ্ছা চল আমরা ক্লাসে যায়,তারপর সবাইকে নিয়ে ক্লাসে চলে গেলাম,সব ক্লাসগুলো করলাম,কিন্তু মনটা সেই নওশিনের হাতের চিহ্নটার দিকেই পড়ে রইলো,

ক্লাস শেষ হয়ে গেলে মাহফুজ তাহসিনকে নিয়ে বাসায় চলে আসে,তারপর ফ্রেস হয়ে খেয়ে নেয়,তখনই মনে পড়ে হ্যাকার গার্লকে খুজতে হবে,এবার মাহফুজ অনলাইনে চলে যায়,তারপর Hacker Bd Kings নামের একটা আইডিগে লগইন করে, সাথে সাথে নেট দুনিয়ায় তুমুল ঝড় উঠে যায়, কারন মাহফুজ বিল্লাহ ভাউ আইডিতে লগইন করেছে,

এতোদিন পর এই আইডিটা অ্যাকটিভ দেখে সবগুলে হ্যাকার মেসেজ দিতে শুরু করেছে,কিন্তু মাহফুজ সেসব মেসেজের কোনেটাতে চোখ না বুলিয়ে সোজাসুজি পোষ্ট অপশনে চলে যায়,তারপর লিখতে শুরু করে,

-- আমি অনেক দিন পর আমার আইডিতে লগইন করলাম,কারন একটা মেয়ে হ্যাকার গার্ল নেট দুনিয়ায় কিসব কান্ড শুরু করেছে,আর আমার সাথে নাকি সে কথা বলার চেষ্টা করছে,ইতিমধ্যেই সে দুইটা গ্রুপকে হ্যাক করে নিয়েছে,তার জন্য মেয়েটাকে আমি এই মূহুর্তে কিছুই বলছি না। 

কারন আজকে থেকে মেয়েটার উপরে রিসার্চ করবো,যদি মেয়েটা সবকিছু ভালোর জন্য করে থাকে,তবে সে আমার হাত থেকে বাচতে পারবে,তাকে আমি সাহায্য করবো,তাছাড়া যদি জানতে পারি মেয়েটা খারাপ কাজ করেছে,তাহলে তার এমন হাল করবো,যে সে চিন্তাও করতে পারবে না,আজ থেকে তার দেওয়া কোডিং দিয়ে তাকে খুজে বের করবো। সবাই কে জানিয়ে দিলাম কথাটা। সবাই ভালো থাকবেন।

মাহফুজ, পোষ্টটা সেন্ড করে দিয়ে আইডি থেকে বের হয়ে আসলাম, তারপর সাকিবকে একটা ফোন করলাম,

সাকিব, হ্যা ভাই বলেন কি খবর আপনার..?

মাহফুজ, এখন আমার খবর শোনার সময় নাই,তুই একটা কাজ করবি,হ্যাকার গার্ল এর খোজটা আমার লাগবে,যতো তাড়াতাড়ি পারিস আমাকে সমস্ত তথ্য দিবি,

সাকিব, ওকে ভাই আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো,আর সব খবর দিয়ে দিবো।

মাহফুজ ওকে ঠিক আছে।তারপর ফোনটা কেটে দিয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলাম।

এদিকে টিভি চ্যানেলে,খবরের কাগজে,মিডিয়ার সব জায়গায় বিল্লাহ ভাউ এর মেসেজটা ছড়িয়ে গেছে,সব জায়গায় হৈ হুল্লোর পরে গেছে,আইনের লোকগুলোও এবার হাটু গেড়ে কাজে নেমে পড়লো,কারন তারাও মেয়েটাকে খুজে বের করবে।

পরের দিন মাহফুজ কলেজে চলে যায়,তারপর তাহসিনের সাথে নওশিনের কাছে পড়াশোনা নিয়ে গল্প করে,এভাবে দুজনের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে চলতে লাগলো,তো একদিন সাকিব মাহফুজের কাছে ফোন দিলো।

মাহফুজ, সাকিবের ফোন রিসিভ করতেই হ্যাকার গার্ল এর আসল পরিচয় আমাকে বললো,সেটা শুনে তো আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেলো,এটা কিভাবে হতে পারে..?

পরের দিন মাহফুজ কলেজে চলে যায়,তারপর তাহসিনের সাথে নওশিনের কাছে পড়াশোনা নিয়ে গল্প করে,এভাবে দুজনের সম্পর্ক বেশ ভালোভাবে চলতে লাগলো,তো একদিন সাকিব মাহফুজের কাছে ফোন দিলো।

মাহফুজ, সাকিবের ফোন রিসিভ করতেই হ্যাকার গার্ল এর আসল পরিচয় আমাকে বললো,সেটা শুনে তো আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেলো,এটা কিভাবে হতে পারে..? ওই সাকিব তোর মাথা ঠিক আছে তো..?

সাকিব, হা ভাই আমার মাথা সম্পূর্ণ ঠিক আছে,আমি খুব ভালো করে হ্যাকার গার্ল সম্পর্কে খোজ নিয়েছি,হ্যাকার গার্লের আসল নাম আভা,মেয়েটা কয়েক বছর আগে নিজের চেহারা প্লাস্টিক সার্জারি করে চেঞ্জ করে ফেলেছে,সাথে নিজের নামটাও চেঞ্জ করে ফেলেছে,

মাহফুজ, এটা কিভাবে হতে পারে,আভা ছিলো আমার ছোটবেলার বেষ্ট ফ্রেন্ড,মেয়েটা একদম সাধাসিধা মনের ছিলো,কারোর সাথেই ঠিকমতো কথা বলতো না,আর সে কিনা আজকে হ্যাকার গার্ল..? আমি তাহলে রুহি নামের যে মেয়েটার সাথে কথাটা বলি, সেটাও তাহলে হ্যাকার গার্ল..!

সাকিব, ভাই আপনি কার সাথে কথা বলেন,সেটা আমি কেমন করে জানবো..? তবে মেয়েটা সম্পর্কে আরো খারাপ একটা খবর আছে,কয়েক বছর আগে একটা মেয়েটার মা ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলো,এখোনো সেটা ঠিক হয় নাই,বাবা তো মারা গিয়েছে,এখন মেয়েটার হাতে কোনো টাকা পয়সা নাই,তাই তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারছে না,এই অসহায়তার সুযোগ নিয়ে একটা গোপন সংস্থা তাকে কাজে নিয়েছে,আর শর্ত দিয়েছে মেয়েটা কাজগুলো করে দিলে তার মাকে অপারেশন করাবে, যেই কারনে মেয়েটা অনিচ্ছা থাকা সত্তেও এসব কাজগুলো করে বেড়াচ্ছে,তবে যে সরকারের যে গ্রুপগুলো সে হ্যাক করেছে,সেগুলো সত্তিই সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করেছিলো,এখন আপনি যদি পারেন,তাহলে মেয়েটাকে বাচিয়ে নিন,আমি জানি আপনিই মেয়েটাকে বাচাতে পারবেন।

মাহফুজ, আচ্ছা তুই এখন ফোনটা রাখ,আমি দেখছি যে কি করা যায়,তারপর সাকিবের থেকে ফোনটা কেটে দিলাম,কিন্তু চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি বেড়িয়ে চলেছে,কারন আভা ছিলো আমার ছোটকালের সবথেকে ভালো বন্ধু,দুজনে একসাথে বড় হয়েছি,কিন্তু হঠাৎ আব্বুর ট্রান্সফারের জন্য আমরা অন্য জায়গায়  চলে যায়,তারপর থেকে আর আভার সাথে আমাদের যোগাযোগ হয় নাই,কিন্তু সেইদিনের আভা আজকে এসে হ্যাকার গার্ল হয়ে গেছে..? আমার তো মানতেই যেনো কেমন কষ্ট হচ্ছে,এখন একটাই কাজ করতে হবে।

আভার দেওয়ার সেই কোডিংটা দিয়ে ওকে যেভাবেই হোক খুজে পেতে হবে,

যাইহোক এখন কলেজে যেতে হবে,কারন সামনেই আমার পরীক্ষা আছে,আর সময় করে কোডিংটা দিয়ে আভা কে খুজে বের করতে হবে,তারপর রেডি হয়ে তাহসিনকে ডাক দিলাম,

--এই তাহসিন তৈরি হয়ে নে,কলেজে যাবি না..?

--না রে মাহফুজ আজকে আর কলেজে যাবো না,আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।

--আচ্ছা তাহলে তুই বাসায় থেকে রেষ্ট কর,আমি কলেজে যায়,

তারপর কলেজে চলে গেলাম,নওশিন কে দেখলাম ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছে,মুচকি একটা হাসি দিয়ে ওর কাছে চলে আসলাম,হ্যালো নওশিন কেমন আছো..?

--আরে মাহফুজ তুমি কখন আসলে..?

--এইতো এখনি কলেজে আসলাম,আর এসেই দেখছি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছো,বলছি এতো ল্যাপটপ ইউজ করলে চোখ দুইটা অকালেই নষ্ট হয়ে যাবে,

--আরে নাহহহ আমার চোখের কিছুই হবে না,আমার এরকম কাজ করার অভ্যাস আছে,আচ্ছা তুমি এখানে বসো একটু,আমার ভালো লাগছে না।

--নওশিনের দিকে চোখ করে দেখি ওর মনটা অনেক খারাপ,কিন্তু সেটা প্রথমে বুঝতে পারি নাই,নওশিনের কাছে বসলাম,এই নওশিন তোমার মনটা এমন খারাপ কেন..? 

কি হয়েছে তোমার..?

--মাহফুজ আমার মনটা আজকে অনেক খারাপ একটা বিষয় নিয়ে,আমার মনে হচ্ছে আমি তোমার হারিয়ে ফেলবো,কিন্তু তোমার মতো এমন ভালো একটা বন্ধুকে হারাতে চাচ্ছি না,তুমি একটা কথাটা দাও আমাকে,যে তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবে না।

--আরে নওশিন তুমি কি বলছো এগুলো,আমি কোথায় হারিয়ে যাবো,আর তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না,নওশিন আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। আমি জানি না এটা বললে আমাদের সম্পর্কের কেমন হাল হবে,তবুও আমাকে কথাটা বলতেই হবে,কারন আমি আর না বলে থাকতে পারছি না।

--হা বলো কি বলবে আমাকে..?

--নওশিন আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি,সেই প্রথম দিন দেখেই তোমাকে আমার ভালো লেগে যায়,তারপর আস্তে আস্তে তোমার সাথে মিশতে যখন শুরু করলাম,তখন থেকেই তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি,কিন্তু কখোনো তোমাকে বলতে পারি নাই,কিন্তু না বলে থাকতেও পারছি না,

--নওশিন মাহফুজের কথা শুনে একদম চুপ হয়ে গেলো,কোনো কথায় বলছে না,

মাহফুজ, আমার মনে একটু ভয় হলো,কারন কথাটি বলার সাথে সাথে নওশিন একদম চুপ হয়ে গেলো,এখন নওশিন আমাকে কি বলবে সেটা ভেবেই ভয় লাগছে,

নওশিন, মাহফুজ তুমি তো আমাকে ভালোবাসো সেটা বুঝলাম,কিন্তু তুমি যদি আমার অতীত সম্পর্কে আর আমার আসল পরিচয়টা জানো,তাহলে আমাকে ভালোবাসার কথা ভাবতেও পারবে না।

মাহফুজ, আমি কোনো কিছুই শুনতে চাই না,তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না,তুমি আমাকে যদি না ভালোবাসো তাহলে আমি থাকতে পারবো না।

নওশিন, আচ্ছা ঠিক আছে,আমাকে দুইটা দিন সময় দাও,আমি ভেবে তারপর তোমাকে আমার সিদ্ধান্ত জানাবো,তার আগে তোমাকে কিছুই বলতে পারছি না।

মাহফুজ, প্লিজ নওশিন..! তোমার কাছে অনেক আশা নিয়ে কথাটা বলেছি,আমি তোমাকে অনেক ভালেবাসি,আর অনেক ভালো রাখবো,প্লিজ তুমি দুইদিন পরে এসে হ্যা বলে দিও,তুমি আমাকে ভালোবাসো সেটা আমি জানি,তুমি আমাকে ভালোবাসো,সেটাই জেনো তোমার মুখ থেকে আমি শুনতে পাই।

নওশিন, আচ্ছা মাহফুজ তুমি আমাকে দুইটা ক্লাস পরে আমার বাসায় পৌছে দিয়ে আসবে,তারপর মনটা খারাপ করে মাহফুজের কাছ থেকে উঠে গেলো,তারপর গুটি গুটি পায়ে ক্লাসের দিকে চলে গেলো,

মাহফুজ অনেক খুশি যে নওশিন তাকে নিয়ে যেতে বলেছে,মাহফুজ একভাবে নওশিনের দিকে তাকিয়ে থাকলো,যতোক্ষন নওশিনকে দেখতে পেলো,ততক্ষন তাকিয়ে থাকলো,কয়েক দিক থেকে চিন্তা মাহফুজকে গ্রাস করে ফেলেছে,

আভার জন্য প্রচুর পরিমানে চিন্তা হচ্ছে,মেয়েটার মনে এখন কি চলছে কে জানে..? আর আন্টির অবস্থা এখন কিরকম আছে সেটা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে,তারপর আবার নওশিন দুইদিন পর প্রোপোজাল গ্রহন করবে কিনা কে জানে,নাহহহ আগে আমাকে যে করেই হোক আভাকে খুজে পেতে হবে,আজকে থেকেই কোডিংটা দিয়ে আভা কে খুজে বের করতে হবে।

তারপর ক্লাসের দিকে রওনা দিলো মাহফুজ,দুইটা ক্লাস করে নওশিনকে বাসায় পৌছে দিয়ে নিজে বাসায় চলে আসলো,এখন একটাই কাজ করতে হবে,রুহি নামের আইডিতে ঢুকে লোকেশন সার্চ করতে হবে,এই জন্য সাজ্জাদ আর তাহসিনকেও একসাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিকাল বেলায় মনটা একটু হালকা করার জন্য তাহসিনকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম,আজকে রাতেই রাতেই কাজে নেমে পরবো,তাই তাহসিনকে কি করতে হবে,সেগুলো সব বুঝিয়ে বলে দিলাম,ডাটা অন করে সাজিদকেও জানিয়ে দিলাম সবকিছু,

রাতে খাবার শেষ করে অনলাইনে প্রবেশ করলাম,তারপর সমস্ত সার্ভার অন করে দিয়ে সাজিদকে কানেক্ট করলাম,তাহসিনকে যেভাবে বলেছিলাম,সেভাবেই আমাকে সাহায্য করতে লাগলো,

মাহফুজ, সাজ্জাদ হ্যাকার গার্ল আমাদেরকে 54wx এই কোডিংটা দিয়েছিলো ওকে খোজার জন্য,আমাদেরকে ওকে খুজে বের করতেই হবে,কারন এটার সাথে আমার ছোটবেলার অসংখ্য স্মৃতি মিশে আছে,যেটাকে আঁকড়ে ধরে আমি বেচে আছি,

সাজিদ, আচ্ছা তুই কোনো চিন্তা করিস না,আমরা আজকে রাতের মধ্যেই মেয়েটার লোকশন খুজে বের করে ফেলবো,তুই কোনো চিন্তা করিস না।

মাহফুজ, আচ্ছা ঠিক আছে,তাহলে আমাদের কাজ এখন থেকে শুরু হলো,তারপর সমস্ত লোকেশন দিয়ে, কোডিং সিস্টেম দিয়ে খুজতে লাগলাম,প্রায় ৫ ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম করার পর লোকেশন বের করে ফেললাম,

সবথেকে ভাগ্যের বিষয় হলো লোকেশনের জায়গা টাতে একটিভ দেখাচ্ছে,তারমানে হ্যাকার গার্ল এখন অ্যাকটিভ আছে,লোকশন জুম আউট করতেই নওশিনের বাড়িটা সো করলো,লোকেশন একমাত্র নওশিনের বাড়িতেই অ্যাকটিভ হয়ে গেলো,এটা দেখে আমার চোখ তো ছানাবড়া হয়ে গেলো,তাহলে যা সন্দেহ করেছিলাম সেটাই ঠিক,নওশিন ওরফে রুহি ওরফে হ্যাকার গার্ল হলো আমার সেই ছোটবেলার আভা....!

সবথেকে ভাগ্যের বিষয় হলো লোকেশনের জায়গা টাতে একটিভ দেখাচ্ছে,তারমানে হ্যাকার গার্ল এখন অ্যাকটিভ আছে,লোকশন জুম আউট করতেই নওশিনের বাড়িটা সো করলো,লোকেশন একমাত্র নওশিনের বাড়িতেই অ্যাকটিভ হয়ে গেলো,এটা দেখে আমার চোখ তো ছানাবড়া হয়ে গেলো,তাহলে যা সন্দেহ করেছিলাম সেটাই ঠিক,নওশিন ওরফে রুহি ওরফে হ্যাকার গার্ল হলো আমার সেই ছোটবেলার আভা....!

আমার তো একদিক থেকে খুশিতে মন নেচে উঠলো,তাহসিনকে জড়িয়ে ধরলাম,

মাহফুজ, তাহসিন আজকে আমি অনেক খুশি,কারন আমার ছোটবেলার বেষ্ট ফ্রেন্ডকে খুজে পেয়ে গেছি,আর তাকেই আমি আমার মন দিয়ে ভালোবাসি,কিন্তু একদিক থেকে অনেক ভয় করছে,সেটা হলো সরকারের লোকেরা তাকে যদি খুজে পেয়ে যায়,তাহলে তো আমার কলিজার অনেক বিপদ,

তাহসিন, আরে মাহফুজ তুই কোনো চিন্তা করিস না,দেখবি আভার কিছু হবে না,আভা তো পরিস্থিতির শিকার হয়েছে,তুই সেটা ভালো করেই জানিস,

মাহফুজ, হা সেটা তো জানি,এই সাজিদ তোকে অনেক ধন্যবাদ,তুই না থাকলে আমার কাজটা অতোটা সফল হতো না।

সাজিদ, আরে কি বলছিস..? আমাকে ধন্যবাদ দেওয়া লাগবে না,হ্যাকার জগতের মাস্টার বিল্লাহ ভাউ যদি আমাকে ধন্যবাদ জানায়,তাহলে আমার আর কি চাওয়ার থাকে..? তাই না মাহফুজ ওরফে বিল্লাহ ভাউ..?

মাহফুজ, এই তুই সবকিছু জেনে গেছিস দেখছিস,এটা খুব ভালো কথা,তাহলে এখন থাক,আমি আজ আর কাজ করবো না,তারপর কলটা কেটে দিয়ে শুয়ে পরলাম,দেখতে দেখতে দুইটা দিন কেটে গেলো,কলজে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে লাগলাম,ঠিক তখনই টিভির দিকে চোখ পড়লো,একটা নিউজ চলছে,

--এখনই একটা খবর প্রকাশ করলো সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা,হ্যাকার গার্লের সেই কোড দিয়ে লোকশন ট্রাক করা গেছে,খুব তাড়াতাড়িই তাকে ধরে ফেলা হবে,আর তারপর উচিত শাস্তি দেওয়া হবে।

মাহফুজ, খবরটা শুনেই তো বুকের মধ্যে একটা বারি দিলো,আমার নওশিনের কিছু হবে না তো..? নাহহহ আমি আমার নওশিনের কিছুই হতে দিবো না,তখনই নওশিনকে ফোন দিলাম,হ্যালো নওশিন তুমি কোথায় আছো..?

নওশিন, কেন কি হয়েছে তোমার..? তুমি এতো ভয় পেয়ে আছো কেন..?

মাহফুজ, আমার কিছুই হয় নাই,তুমি আগে বলো তুমি কোথায় আছো..?

নওশিন, আরে পাগল আমি কলেজে প্রায় কাছে চলে এসেছি,কিন্তু কি হয়েছে বলোতো..?

মাহফুজ, কলেজে গিয়ে চুপ করে এক জায়গায় বসে থাকবে,আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি, তারপর কলটা কেটে দিয়ে কলেজের দিকে রওনা দিলাম,পৌছাতেই দেখি নওশিন এক জায়গায় চুপচাপ বসে আছে,আমিও গিয়ে ওর কাছে বসলাম,

নওশিন, কি হলো মাহফুজ..? তুমি এভাবে আমাকে বললে কেন..?

মাহফুজ, আরে নাহহ তেমন কিছুই না,তোমাকে এমনিই আসতে বললাম,ওহহ একটা কথা তো ভুলেই যাচ্ছি,আচ্ছা নওশিন তুমি বলেছিলে যে দুইদিন পরে তোমার সিদ্ধান্ত জানাবে,প্লিজ নওশিন আজকে সেই দিন,আমাকে না বলো না..?

নওশিন, আচ্ছা মাহফুজ তুমি আমার সম্পর্কে কিছু না জেনেই আমাকে ভালোবেসে ফেললে,তুমি আমার অতীত জানো না।

আমার পরিবারে কে আছে সেটাও জানো না,তারপরও তুমি আমাকে ভালোবাসলে..? আচ্ছা আমার অতীত জানার পরে যদি তুমি আমাকে ঘৃণা করে ছেড়ে দাও..!

মাহফুজ, তুমি কি পাগল হয়ে গেছো নাকি..? তোমার অতীত যেটাই থাকুক না কেন,আমি তোমাকেই ভালোবাসবো,তোমার ছেড়ে কোথায় আমি যাবো না,আজীবন তোমার বিপদে আপেদে পাশে থাকবো,

নওশিন, মাহফুজের হাতটা জড়িয়ে ধরে,মাহফুজ আমি আমার জীবনে ঠিক এরকম একটা মানুষকেই খুজছিলাম,যে আমাকে কখনই ছেড়ে চলে যাবে না।

হ্যা আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি,আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি,তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে,কেন জানি মনে হচ্ছে আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলবো।

মাহফুজ, নওশিনকে আমার বুকের মধ্যে টেনে নিলাম,এই নওশিন আমার থেকে কেউ তোমাকে আলাদা করতে পারবে না। আমি যতোক্ষন তোমার পাশে আছি,কেউ তোমাকে কিছুই করতে পারবে না। আচ্ছা ক্লাসের সময় হয়ে গেছে,এখন চলো ক্লাসে যায় আমরা,

তারপর নওশিনকে নিয়ে মাহফুজ ক্লাসে চলে যায়,আজলে দুজনে এক সাথে বসেছে,তাহসিনও ক্লাসে চলে আসলো,তারপর মাহফুজের উল্টো পাশে বসলো,কিছুক্ষন পরেই ক্লাস শুরু হবে,স্যার এখোনো ক্লাসে আসে নাই,তাই সবাই মিলে গল্প করছে,

এমন সময় দশ থেকে পনেরো টা গাড়ি কলেজ গেট দিয়ে মূহুর্তের মধ্যে ঢুকে গেলো,গাড়িগুলো কলেজের চারপাশে ঘেরাও করে থামালো,তারপর গাড়ি থেকে অনেকগুলো পুলিশ থেকে পুরো কলেজটাকে ঘেরাও করে ফেললো, একজন পুলিশ ছোট একটা মাইক হাতে নিয়ে বলতে শুরু করলো,

--আমরা জানি হ্যাকার গার্ল এই কলেজেই পড়ে,আর এই সামনের ক্লাসেই সে বসে আছে,আমি হ্যাকার গার্লকে উদ্দেশ্য করে বলছি,তুমি যতো তারাতারি আমাদের কাছে এসে আত্ম সমর্পন করবে,তোমার ততই ভালো হবে,নয়তো আমরা বাধ্য তোমাকে খারাপ ভাবে এরেস্ট করার জন্য,

নওশিন এই কথা শুনে মাহফুজকে শক্ত করে ধরে রাখলো,

--মাহফুজ আমার খুব ভয় করছে,ওই পুলিশগুলো আমাকেই নিতে আসছে,আমিই সেই হ্যাকিং গার্ল,যাকে পুরো দেশ মিলে খুজছে,আমাকে প্লিজ ওদের সাথে যেতে দিও না..! আমি বাধ্য হয়েই এই পথে নেমেছি,আমার আর কোনো উপায় ছিলো না এছাড়া😥

মাহফুজ, তোমাকে আমি কতোবার করে বলেছি যে তুমি একটু চুপ থাকো,তারপরও তুমি কথা বলেই যাচ্ছো..!

আমি তো বললামই যে আমার থেকে কেউ তোমাকে আলাদা করতে পারবে না।

পুলিশ, হ্যাকার গার্ল আমি ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনবো,তার মধ্যে যদি তুমি বাইরে না আসো,তাহলে তোমার কাছে আমরা যেতে বাধ্য হবো।

নওশিন, মাহফুজের দিকে করুন চোখে তাকায়🥺

মাহফুজ, নওশিন ওরফে আভা একদম ভয় পাবে না,আমি তোমার সাথে আছি,তুমি এখন বাইরে যাও,আমি তোমার পিছন পিছন আসছি,

নওশিন, এই তুমি আমার আসল নাম জানলে কি করে..?

মাহফুজ, কেমন করে জানলাম সেটা পরে খুলে বলবো,এখন চলো তোমাকে আগে মুক্ত করে নিই,তারপর নওশিন ক্লাসের বাইরে চলে গেলো,আমিও ওর পিছন পিছন চলে আসলাম,

পুলিশ, হ্যাকার গার্ল তুমি আর আমাদের হাত থেকে পালাতে পারবে না,এখনই আত্ম সমর্পন করো,নাহলে তোমাকে গুলি করে কুপোকাত করার আদেশ আমাদের কাছে আছে,তারপর তোমাকে জীবিত নিয়ে যাবো,

মাহফুজ, কিন্তু আপনারা ওকে নিয়ে যেতে পারবেন না,কারন হ্যাকার গার্ল যা করেছে সেটা একদম ঠিকই করেছে,সরকারের সেই সিকিউরিটি গ্রুপ গোপনে সরকারের সাথে প্রতারণা করেছিলো,মেয়েটা ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে,আর আমি থাকতে ওকে কেউ নিয়ে যেতে পারবে না।

পুলিশ, এই তুই মাঝখান থেকে নাক গলাচ্ছো কেন..? সীমা ছাড়া বেশি বকবক করলে একদম গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দিবো, এতো বড় বড় কথাটা বলছিস..? তুই কে রে..?

মাহফুজ, আমি হ্যাকার জগতের সবচেয়ে বড় খাতারনাক সেই বিল্লাহ ভাউ। এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছিস..?

--মাহফুজের কথা শুনে পুলিশ গুলো চোখ বড় বড় করে ফেললো,তারা এক পা পিছিয়ে গেলো কথাটা শুনে,সবার মনে এখন ভয় দেখা দিয়েছে,কারন বিল্লাহ ভাউ সরকারের খুব আপন লোক,সবসময় সরকারকে সাহায্য করে গেছে,শুধু মাত্র সরকারকেই বিল্লাহ ভাউ দেখা দিয়েছে,তাই সরকার ছাড়া তাকে কেউ চিনে না।

পুলিশ গুলো ভয় পেয়ে গেলো,কিন্তু তাদের কমান্ডার কিছুক্ষন কি একটা ভেবে আবার বলে উঠলো,

-- আচ্ছা আপনিই যে সেই বিল্লাহ ভাউ,সেটার কি প্রমাণ..? আপনি তো মিথ্যা পরিচয়ও দিতে পারেন..!

মাহফুজ, আচ্ছা আপনাদের প্রাইম মিনিষ্টারকে ফোন করে বলুন 224B এই কোডটা সে চিনে নাকি..? তাহলেই সবকিছু বুঝে যাবেন....

পুলিশ, তখনই প্রাইম মিনিষ্টারকে ফেন দেয়,

হ্যালো স্যার,আমরা হ্যাকার গার্লকে ধরতে আসছিলাম,কিন্তু এখানে একটা ছেলে মেয়েটাকে আসতে দিচ্ছে না,সে দাবি করছে যে সে বিল্লাহ ভাউ,আমরা বিশ্বাস না করায় 224B এই কোডটা আপনাকে বলতে বললো। স্যার এই কোডটা কিসের জন্য..?

মিনিষ্টার, আরে কমান্ডার এখন আপনার সামনে যেই ছেলেটা রয়েছে,সে সত্যিই বিল্লাহ ভাউ,আপনি ওদের দুজনকে কিছুই করবেন না,যত্ন করে আমার কাছে নিয়ে আসুন,

পুলিশ, কথা বলা শেষে ফোনটা রেখে দেয়,সরি বিল্লাহ ভাউ,আপনাকে আমরা চিনতে পারি নাই,মিনিষ্টার আপনাকে যত্ন করে নিয়ে যেতে বলেছেন,আপনি আমাদের সাথে চলুন।

মাহফুজ, নওশিনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে,কি হলো তুমি এরকম অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছো কেন..?

নওশিন, নাহহহ আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি বিল্লাহ ভাউ এর সামনে দাড়িয়ে আছি,তাহলে তুমি আমার ব্যাপারে সবকিছুই জানতে আগে থেকে..?

মাহফুজ, হ্যা আগে থেকেই সবকিছু জেনে নিয়েছিলাম,আচ্ছা এখন তাহলে চলো আমরা মিনিস্টারের কাছে যায়,তারপর নওশিনকে নিয়ে মিনিস্টারের কাছে চলে গেলাম,তারপর সবকিছু খুলে বললাম,নওশিন কি জন্য এগুলো করেছে,সাজিদকেও  ফোন করে ডেকে নিলাম,তাহসিনও সাথে আছে,

নওশিন মিনিস্টারকে সেই সংস্তার ব্যাপারে সবকিছু খুলে বললো,আর তাদেরকে ধরে ফেলাও সম্ভব হলো,সরকার নওশিনের মায়ের চিকিৎসার সমস্ত খরচও বহন করলো।

কিছুদিন পর আভার আম্মু সুস্থ হয়ে গেলো,তারপর আমার পরিবারকে ডেকে নিয়ে আমার আসল পরিচয়টা দিয়ে দিলাম,আভা এতে প্রচুর পরিমানে খুশি হলো,যে আমাকে ফিরে পেয়েছে,আভার ইচ্ছাতেই আমাদের বিয়েটা হয়ে গেলো ১ সপ্তাহের মধ্যেই......

আর এভাবেই সমাপ্ত হলো আরেকটি জীবনের গল্প.....

*সমাপ্ত*












#hacker

#white_hacker

#hacker_golpo

#black_hat_hacker

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম