পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ ১২ শেষ
লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
°°°°°°°°°°°°{ অন্তিম পর্ব }°°°°°°°°°°°°°
ওই মেয়ে ৩ টার মধ্যে একজন কে দেখে আমি ক্রাশ খাইছি....কিন্ত সে টা কি সামিয়া নাকি তুলি নাকি নিশি এটাই তো জানি নাহ.....
আমিঃ নিরব চল... চলে জাই এখন আর এখানে থেকে কি করবো আর অনেক টা সময় কিভাবে যে কেটে গেলো টেরি পাইলাম নাহ...।
নিরবঃ দোস্ত ঠিক কইছোত আমি শেষে মনে করছিলাম আমরা এই হ্যাকিং টায় সফল হবো নাহ....কিন্ত কিভাবে যে হয়ে গেলাম মনে হলো একটা ম্যাজিক হয়ে গেলো...।
আমিঃ হিহিহি আরে বেটা রক্সি... কি কখনো কোনো মিশনে ফেল করেছে....অনেক দিন পর এই কাজ টা করলাম কোথায় কি করতে হবে সে টা ঠিক ভাবে মনে পড়ছিলো নাহ তাই এতো কষ্ট করতে হলো আর অনেক টা সময় লাগলো তবে জাই বলি নাহ কেন মেয়ে গুলা বেশ ভালো মাপের হ্যাকিং করতে পারে...।
নিরবঃ হইছে হইছে এবার চালু চল...গত কাল কে পাক্কা আধা ঘন্টা আম্মা কান ধরাই দাড়া করাই রাখছে....।
আমিঃ জাক বাবাহ আমার কান ধরতে হয় নাই..হিহিহি আমি সেই সময় তোর কাছে থাকলে পকেট থেকে ফোন বের করে ভিডিও করে তোকে পুরা সেলিব্রিটি বানিয়ে দিতাম....সারা দেশ তোকে দেখতো...।
নিরবঃ সালা তোর মতো বন্ধু থাকতে শত্রুর কি দরকার...।
আমিঃ দোস্ত রে আমি ক্রাশ খাইছিরে এখন আমার কি হইবো রে...।
নিরবঃ মানে..??
আমিঃ আরে বেটা আমি নাহ এই ৩ টা মেয়ের মধ্যে একটার উপর ক্রাশ খাইছি...। দোস্ত প্রেম করাই দে...।
নিরবঃ হালারপুত তুই নাহ এই গত ১ ঘন্টা আগেই ওদের কে সহ্য করতে পারতি নাহ আর এখন ডাইরেক্টলি ক্রাশ খাইয়া বইছোত...।
আমিঃ মুই কি হরমু আমার শিশু মন ডা তাকে দেখার পর স্লিপ করে তার প্রেমে পড়ে গেলো...। তুই আমারে সাহায্য কর আমি তোরে ভাজা বাদাম খাওয়ামু...।
নিরবঃ আইচ্ছা ঠিক আছে...তুই তো একটু আগে বললি মেয়ে গুলারে তুইলা আনতে.... তো রাতে না হয় তাদের দিক টা দেখে নিবো আর এটাও জেনে নিবো তারা এইসব কেন করছিলো...। তারা এত গুলো ব্যাংক কেন হ্যাকিং করলো.... যে খানে একটা করলে তাদের আর কাজ করে খেতে হতো নাহ...।
আমিঃ হুম ঠিক বলেছিস...। এখন কথা হচ্ছে তুই এই ফ্লাট টি ভালো করে পরিষ্কার করে তারপর বাড়ি জাবি.... আহা কি মজা আজ কে আমি আমার ক্রাশের সাথে দেখা করবো...।
নিরবঃ এহহহ....তোর ক্রাশ তুই দেখা করবি... আর ফ্লাট এমনিতেই পরিষ্কার আছে তোর কাছে ময়লা মনে হইলে তুই কর আমি করতে পারতাম নাহ...।
আমিঃ পরিষ্কার না করলে মুই কিন্ত এহনি আন্টিরে ফোন দিয়া কমু তুই বিড়ি খাইছোত...চান্দু তখন তোমার কি অবস্থা হইবো একবার ভেবে দেখো...।
নিরবঃ এই ঠাডা পোড়া মিসা কথা তুই কইতে পারবি...।
আমিঃ হিহিহি...হো পারমু...জা কাজে লেগে পড়....আমি চললাম...।
আমি বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলাম আর বেচারা আবুলের মতো তাকিয়ে ছিলো অবশ্য ভালোই লাগছিলো....।
আমি পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি দুপুর ৩ টা বাজে....।
আমি নিরব কে ফোন দিলাম....
আমিঃ হইছে থাক এখন আর পরিষ্কার করতে হইবো নাহ জা বাড়ি জা নাইলে আজ কে আন্টি তোরে ঝাটার বাড়ি দিবো....।
নিরবঃ চান্দু তুমি কি মনে করছো আমি ওই হেনে এহনো বইয়া আছি...আমিও বাড়ির দিকেই জাচ্ছি...।
আমিঃ ভালো করছোত....রাতে চলে আসবেন ফ্লাটে...। আর আন্টি কে বইলেন রাতে আপনি আমার সাথে থাকবেন...।
নিরব আচ্ছা ঠিক আছে বলে ফোন রেখে দিলো
আমি বাড়ি এসে কলিং বেল দেওয়ার সাথে সাথেই পিচ্চু টা দরজা খুলে দিলো...।
আমিঃ কিরে বুড়ি তুই কি সারাদিন এই দরজার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকোস নাকি...।
আম্মুঃ সারাদিন আমাকে পাগল করে ছাড়ে ভাইয়া কখন আসবে বলে বলে....।
ঝুমুরঃ কই আমার চকলেট কই....।
আমিঃ এত্ত চকলেট খাইলে দাতে পোকা হইবো তখন তো আর মাংস খাইতে পারবি নাহ তাই আজ কে আর চকলেট আনি নাই...।
ঝুমুরঃ না হইবো নাহ...তুমি চকলেট আনলে নাহ কেন আমি এখনি কান্না করমু....।
আমিঃ থাম বোইন থাম...কাল কে তোর জন্য ২ টা চকলেট আনমু...।
ঝুমুরঃ না না আমার ৩ টা চাই....নাহলে কিন্ত...।
আমিঃ বুঝছি কান্না করবি তাই তো...।
ঝুমুরঃ হিহিহি হুম তুমি খুব সহজেই বুঝে জাও...।
আম্মুঃ এই তোদের কথা বলা শেষ হলে খাইতে আয়...খাবার দিচ্ছি...।
আমিঃ বোন এখনো খায় নাই...।
আম্মুঃ নাহ খায় নাই তোর জন্য বসে আছে সেই কখন থেকে...।
আমিঃ ওকে ওকে ঝুমুর চালু আয়....।
ঝুমুরঃ ভাইয়া আজ কে আমাকে খাওয়াই দিবা..।
আমিঃ কেন তোর হাত নাই...নাকি কেটে গেছে..।
ঝুমুরঃ ধুর ভাইয়া....আমার তোমার হাতে খেতে ভালো লাগে...।
আমি ঝুমুর কে খাবার খাইয়ে দিয়ে নিজে খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম.....।
আমি বিছানায় শুয়ে চলে গেলাম ঘুমের রাজ্যে....।
.......★.......★.......★
টিইইইং টিং টিং....
নিশিঃ তুলি দেখতো এই অসময়ে কে আসলো...।
তুলি দরজা খুলে দেখলো কত গুলো মাস্তান টাইপের ছেলে দাঁড়িয়ে আছে তাদের কে তুলি দেখে যখনি চিৎকার দিতে যাবে তখনি ছেলে গুলো ক্লোরোফোর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে দিলো...।
নিশিঃ কি হলো কে আসছে....।
সামিয়াঃ দাড়া দেখছি....।
যখনি সামিয়া চেয়ার থেকে উঠতে যাবে তখনি ছেলে গুলো তাদের সামনে এসে পড়ে সামিয়া আর তুলি কিছু বলার আগেই তাদের ও ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে দিলো...।
ছেলে গুলো হলো তানিমের পাঠানো লোক...।
একটা ছেলে তানিম কে ফোন দিলো...
কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করলো তানিম...।
ছেলেটিঃ হ্যালো বস...কাজ কমপ্লিট এখন এদের কে কোথায় আনতে হবে....।
তানিমঃ গুড...এদের কে এই *****ঠিকানায় নিয়ে আয় আমি আসতেছি...।
.......★.......★.......★
আমি শুয়ে আছি হঠাৎ মনে হলো ভুমিকম্প হচ্ছে তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে দেখি কই ভুমিকম্প হচ্ছে নাহ আমার ফোন সাইলেন্ট মোডে টাকার কারণে ফোন টা এই রকম শব্দ হচ্ছে আমি ফোন টা হাতে নিয়ে দেখি তানিম ফোন দিয়েছে...।
আমিঃ হুম দোস্ত বল...।
তানিমঃ তোর কাজ শেষ চালু করে চলে...আয়..।
আমিঃ ১০ মিনিট সময় দে আমি এখনি আসতেছি...।
এইটা বলে আমি ফোন রেখে দিলাম আর নিরব কে ফোন দিলাম...।
নিরবঃ হুম বল...।
আমিঃ চালু আয় হ্যাকার গার্লদের ধরে এনেছি...।
নিরবঃ এখনি আসতেছি...।
আমি চালু রেডি হয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে আম্মু কে বলে বের হলাম আমি আজ কে নিরবের সাথে থাকবো রাতে বাড়ি ফিরবো নাহ...।
আমি চালু করে পৌছে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি তানিম একটা গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে...।
তানিম আমাকে দেখেই বলে উঠলো...
তানিমঃ দোস্ত আজ কয়েক বছর পর তোকে দেখলাম....কেমন আছোস আর এই মেয়ে গুলো কে দিয়ে তুই কি করবি...।
আমিঃ হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি...তুই কি শুনোস নাই দেশে কয়েকটি ব্যাংকের টাকা হ্যাক হয়েছে আর হ্যাক করেছে পিংক গার্ল হ্যাকার আর তারা সব মেয়ে...আর তুই যাদের তুলে নিয়ে এসেছিস এরাই হলো সেই পিংক গার্ল হ্যাকার গ্রুপ...।
তানিমঃ কিহহ সাংঘাতিক এদের দেখা বুঝাই যায় নাহ এরা এত টা ভয়ানক...।
নিরবঃ কিরে বেটা তানিম কেমন আছিস....সালা এতদিন পর আমাদের কথা মনে হইলো...।
তানিমঃ এইতো ভালো...হালারপুত তোগো রে মুই কত ফোন দিছি কিন্ত তগো আগের সিম গুলা বন্ধ থাকলে মুই কি হরতাম...।
নিরবঃ হু সেটাও একটা কথা...।
আমিঃ অনেক কথা হয়েছে এখন এই মেয়ে ৩ টারে ফ্লাটে নিয়ে চল....।
আমি আমার ক্রাশ কে কোলে করে ফ্লাটে নিয়ে আসলাম...আর বাকি গুলারে তানিমের লোকেরা নিয়ে আসছে...।
(আরে মিয়া বুঝেনিতো আমার ক্রাশ বলে কথা অন্য কাউ কে কি আর ছুতে দিতে পারি...)
আমিঃ নিরব পানি নিয়ে আয়...।
নিরব একটা গ্লাসে করে পানিয়ে নিয়ে আসলো এবং মেয়ে ৩ টার উপর ছিটিয়ে দিলো....।
মেয়ে ৩ টা আস্তে আস্তে চোখ খুললো....
আমার ক্রাশ আমার দিকে এক ভাবে তাকিয়ে আছে আর বাকি গুলা আর পাশে তাকিয়ে দেখছে...।
আমি তখন আমার ক্রাশ কে বললাম তোমার নাম কিহহ??
আমার ক্রাশ বললো সামিয়া...।
আমিঃ আর এরা ২ কে...।
সামিয়াঃ এরা আমার ফ্রেন্ড তুলি এবং নিশি...।
আমিঃ তুমি কেন সাধারণ মানুষের সর্বস্ব কেরে নিচ্ছেলে তারা তোমার কি ক্ষতি করেছে...।
সামিয়া তাহলে শুনো....
আমি হলাম একজন বিজনেসম্যান এর মেয়ে আমার আব্বু এক দুর্ঘটনায় মারা যায় তখন আমার চাচারা আমার মাকে ফুসলিয়ে তারা আমাদের সকল সম্পত্তি তাদের নামে করে নেয়....।
আর আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখন আমি আমার মাকে নিয়ে এই নিশি আর তুলি দের কাছে থাকা শুরু করলাম এরা ২ জন আমার ফ্রেন্ড এদের কেউ নেই এরা ছোট বেলা থেকেই অনাথ আশ্রমে বড় হয় আর সেখান থেকেই পড়াশোনা করে একটা কলেজে ভর্তি হয় আর আমার সাথে পরিচয় হয়...।
আমার মা অনেক দিন জাবত অসুস্থ ছিলো...কিন্ত আমাদের কাউ কেই সে টা তিনি বুঝতে দেয় নাই...।
আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি একটা ছোট্ট কাজ করতাম আর সে টা দিয়েই আমাদের কোনো মতে হয়ে যেত যখন আমি জানতে পারি আমার মা অনেক অসুস্থ তখন অনেক দেড়ি হয়ে যায় আর তাকে বাচাতে হলে ৭ লক্ষ টাকা লাগবে...। এই দুনিয়াতে আপন বলতে আমার মা ছাড়া আর কেউ ছিলো নাহ....।
আমি আমার চাচাদের কাছে সাহায্য চাই কিন্ত তারা কেউ আমাকে সাহায্য করে নাই ধুর ধুর করে তারিয়ে দিয়েছে অনেক জনের কাছে সাহায্য চেয়েছি কিন্ত তারা কেউ সাহায্য করে নাই....।
সময় মতো টাকার জোগার করতে না পারায় আমার মা চলে যায় না ফেরার দেশে তখন থেকে মনে মনে ভেবে নেই এই শহরের মানুষ কে শান্তিতে থাকতে দিবো নাহ...আমার ছোট বেলা থেকেই ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেক টা আসক্তি ছিলাম আর ধীরে ধীরে এই সব সম্পর্কে কিছুটা গবেষণা করার ফলে হয়ে উঠলাম একজন হ্যাকার....। আর আমি আমার চাচাদের কেউ ছাড়ি নাই তাদের কে অনেক ভয় দেখিয়ে আমি আমার সম্পত্তি সব নিয়ে নেই...। আর তাদের কে জালিয়াতির মামলায় জেলে দিয়ে দেই...।
এখন আমার টাকা আছে সম্পত্তি আছে শুধু নাই আমার মা...।
আমিঃ দেখো জা হয়েছে সে টা অনেক খারাপ হয়েছে আমি মানছি কিন্ত তুমিতো এমন করলে হবে নাহ....। তাই বলছি ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখো তুমি কাজ টা কি ঠিক করেছো নাকি করো নাই....। আর তোমার এই সিস্টেম টা আমার এক বন্ধু হ্যাক করেছে সে চাইলেই কিন্ত সব টাকা আবার ব্যাংকে রিটার্ন করে৷ দিতে পারতো কিন্ত আমিই তাকে বারণ করেছি....আমি বলেছি যে এই ভুল টা করেছে সে তার নিজের ভুল টাকে শুধরে নিক...।
সামিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনি তাদের টাকা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি আমাকে কেউ একটা ল্যাপটপ এনে দাও...।
নিরব একটা ল্যাপটপ নিয়ে এসে সামিয়ার কাছে দিলো আর সামিয়া সেই ল্যাপটপ টা নিয়ে আবার সব টাকা ব্যাংক গুলো কে ফিরিয়ে দিলো..।
সামিয়াঃ তুমি কি আমাকে ভালোবাসবে সাব্বির...।
আমিঃ আচ্ছা তার আগে বলো তুমি কি দেখে আমার মতো মধ্যবিত্ত একটা ছেলের প্রেমে পড়লে...।
সামিয়াঃ জীবনে টাকা বড় নাহ....বড় হলো একটা সুন্দর মন....তোমাকে একদিন তোমার এই বন্ধু নিরব এর সাথে দেখছিলাম রাস্তায় তোমরা ২ জন কিছু পথচারী শিশুদের খাবার খাওয়াচ্ছিলে আর এক দেখাতেই তোমাকে আমার ভালো লেগে যায় পড়ে তোমার ব্যাপারে অনেক খোজ নেই...। এখন বলো তুমি আমাকে ভালোবাসবে কি নাহ...।
আমিঃ হুম ভালোবাসবো অনেক বেশি ভালোবাসবো...। আর বাদাম খেতে খেতে চুটিয়ে প্রেম করবো আর আমার পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি পেয়েই তোমাকে বিয়ে করবো ততদিনে তুমি তোমার পড়াশোনা টাও শেষ করে নিতে পারবে...।
আমাদের সকল কে অবাক করে দিয়েই নিরব নিশি কে প্রপোজ করে বসলো....।
নিরবঃ দেখো নিশি সাব্বির তো সামিয়া কে ভালোবেসে ফেলেছে এখন আমি বলি কি তুমি আমার প্রেমে পড়ে জাও কারণ আমিও নাহ তোমার ওই চোখের মায়াতে ডুবে গেছি...।
নিশিঃ আচ্ছা এই নাও পড়ে গেলাম তোমার প্রেমে...।
তুলিঃ হো তোরা প্রেম করবি আর আমি চেয়ে দেখমু...।
তানিমঃ তুমি কি হবে আমার দিলের রানী... তোমাকে তুলি বানিয়ে আকবো আমার রঙিন ছবি...।
তুলিঃ এইটা আবার কেমন প্রপোজ তবে জাই হোক আমার ভালোই লাগছে...। তবে শর্ত একটাই এই সব গুন্ডামী ছেড়ে দিতে হবে...।
তানিমঃ নাও ছেড়ে দিলাম...আর এমনিতেও আমি কোনো খারাপ কাজ করতাম নাহ সাধারণ মানুষের উপকার করতাম আর আমার বাবার ব্যবসা আছে সে টাই আমি দেখছি...।
আমিঃ আজকের এই খুশিতে অন্য কারো মুখে হাসি ফুটিয়ে হাসি চলো...।
সবাই একসাথেঃ মানে ???
চলো আজ কে কিছু সাধারণ পথচারী শিশুদের ভরপেট খাবার খাওয়াই দিয়ে আসি আর আমরাও খেয়ে আসি....।
তিনটি মেয়ের সাদা কালোর দুনিয়া হয়ে গেলো রঙিন
(এদের ভালোবাসায় যেন কখনো না আসে দুঃখ নামক কালো ছায়া আপনারা সবাই দোয়া করবেন)
..........................(গল্প টা কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন কারণ আপনাদের কমেন্ট গুলো পড়ে নতুন কোনো একটা গল্প লিখার ইচ্ছা জেগে উঠবে).............................
সমাপ্ত