লেখক সাব্বির ইসলামের পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড গল্প।পর্বঃ১১

 পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড 


পর্বঃ ১১


লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,


°°°°°°°°°°°°{ দশম পর্বের পর থেকে }°°°°°°°°°°°°°


রক্সিঃ হু আর মানে মানে করতে হবে নাহ...। তোমার ওই ফ্রেন্ড নিরব কই...।


আমিঃ কেন ওর বাড়িতে আছে...। আচ্ছা তোকে আমি একটা কাজ দিবো তুই কি করতে পারবি...।


রক্সিঃ আমাকে আদেশ করুন এখন আমাকে কি করতে হবে...।


আমিঃ তোকে একটা আইপি কোড দিবো আর তোকে ওই কোড টা কে ব্যবহার করছে তার সব ইনফোরমেশন৷ আমাকে দিতে হবে কিন্ত শর্ত হচ্ছে সে যেন একটু আন্দাজ করতে না পারে তার সিস্টেম টা কেউ হ্যাক করেছে....।


রক্সিঃ স্যার এটা তো অনেক সোজা একটা কাজ....।কাজ টা কখন করবো আপনি আমাকে কোড টা এখনি দিন....।


আমিঃ ধারা এত তাড়া কিসের আগে আমাদের জায়গায় গিয়ে তারপর আমাদের কাজ শুরু করবো....।


আমি আমার অন্য ফোন দিয়ে নিরব কে আসতে বললাম সেই আগের জায়গায়...।  


আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখি আব্বা আমার টিভি দেখছে আর আমার কিউট পিচ্চু বোন টা আব্বার থেকে টিভির রিমোর্ট চাচ্ছে সে কার্টুন দেখবে কিন্ত আব্বা কিছুতেই দিচ্ছে নাহ..।


কারণ আব্বা খবর দেখছে....।


আমি আমার বোনের পাশে গিয়ে বসলাম...।


ঝুমুরঃ দেখো নাহ ভাইয়া আব্বু রিমোর্ট দিচ্ছে নাহ আমি কার্টুন দেখবো..। 


আমিঃ আচ্ছা তুই আমার ফোনে না হয় কার্টুন দেখ...।


আমি আমার ফোনের সিম টা খুলে ঝুমুরের কাছে ফোন দিয়ে দিলাম....(আমাদের বাড়িতে Wifi আছে)


এই Wifi টা আব্বু কিছুতেই আনতে চাইছিলো নাহ পাক্কা ১দিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে তারপর আব্বু এনে দিয়েছে...।


আমি খাবার টা খেয়েই চলে গেলাম নিরবের ফ্লাটে সেখানে গিয়ে দেখি নিরব নতুন ল্যাপটপ নিয়ে কি যেন করছে....।


আমিঃ কিরে তুই কি করছিস...??


নিরবঃ এইতো ল্যাপটপ টা একটু সেট আপ করছি..।


আমিঃ আমার কাছে ওই টা দে...। বাকি কাজ টা আমি করছি....।


আমি নিরবের কাছ থেকে ল্যাপটপ টা নিয়ে ডার্ক সাইডে প্রবেশ করে এতটুকু জানিয়ে দিলাম Black Shadow is back....জারা Black Shadow সম্পর্কে জানে তারা ৷ অতি দ্রুতই ডার্ক সাইড থেকে চলে গেছে....আর জারা জানে নাহ তারা এখানেই থেকে গেছে.....


জারা চলে গেছে কারণ তারা জানে Black Shadow কখনো ডার্ক সাইডে এমনি এমনি আসে নাহ যখন আসে তখন কারো না কারো আইডির ১৪ টা বাজিয়ে ছাড়ে....।


নিশিঃ দেখ সামিয়া ডার্ক সাইড থেকে একটা নোটিফিকেশন আসছে...সেখানে লিখা Black Shadow is back.


সামিয়াঃ এটা আবার কে..??


নিশিঃ আমি কি করে জানবো....।


তুলিঃ দেখ সামিয়া... নিশি কে যেন আমাদের প্রটেকশন ভাঙার চেষ্টা করছে...।


সামিয়াঃ করতে দে কেউ ভাঙতে পারবে নাহ...কারণ কাল কে রাতেই আমি আমার সিস্টেম টা কে মোডিফাই করেছি...।


.......★.......★.......★


আমিতো রক্সিকে নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি...সামিয়ার ইনফোরমেশন বের করার...।


নিরবঃ কি ব্যাপার রক্সিতো এখনো বের করতে পারলো নাহ....(নিরব খুব চিন্তিত হয়ে বললো)


আমিঃ হুম দোস্ত আমিতো রক্সি কে ঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারছি নাহ অনেক দিন পর এই সব কাজ হাতে নিয়েছি তাই হয়তো....।


আমি যখনি রক্সি কে নিয়ে কাজ করেছি কখনো তো এতটা সময় লাগেনি (আমি মনে মনে বললাম) 


নিরব অন্য একটা ল্যাপটপ নিয়ে আমাকে সাহায্য করা শুরু করে দিয়েছে....।


অনেক চেষ্টা করে আমি আমার কাজে ধীরে ধীরে সফল হচ্ছি....।


.......★.......★.......★


সামিয়ার কম্পিউটারে হঠাৎ করেই এলার্ম বেজে উঠলো.... 


নিশিঃ এই সব কি হচ্ছে....এটা কিসের এলার্ম...।


সামিয়া হন্তদন্ত হয়ে তার কম্পিউটারের কিবোর্ড টাইপ করতে ব্যস্থ হয়ে পড়লো....।


তুলিঃ এটা কিসের এলার্ম বল..।


সামিয়াঃ যে জার জার ল্যাপটপ নিয়ে এখনি বসে পড় কে যেন আমার ওয়ান স্টেপ প্রটেকশন ভেঙে ফেলেছে.... (সামিয়া খুব অস্থির হয়ে বললো)


নিশিঃ কিন্ত এটা কি করে সম্ভব কাল কে নাহ তুই তোর সিস্টেম তাকে আপডেট করলি...।


সামিয়াঃ এত কথা না বলে চালু আমাকে সাহায্য কর।


.......★.......★.......★


ইয়েস ইয়েস টু স্টেপ ভেঙে ফেলেছি...আর মাত্র একটা স্টেপ বাকি...।


আমার ল্যাপটপে সো করছে তারা আমাকে আটকানোর চেষ্টা করছে তার মানে তারা জেনে গেছে আমি তাদের সিস্টেম ভাঙার চেষ্টা করছি...।


আজ জাই হয়ে জাক তোদের আমার হাত থেকে কেউ বাচাতে পারবে নাহ এতদিন তোদের দিন ছিলো আজ কে আমার দিন....[আমি মনে মনে বললাম]...।


আমরা বাকি টা ও ভেঙে দিলাম ফলে সামিয়ার ছবি সহ বাকি সব ইনফোরমেশন আমাদের কাছে চলে এসেছে এখন তার কম্পিউটারের সব কিছুই আমার কবলে...।


তারা চাইলেও আর ফিরিয়ে নিতে পারবে নাহ কারণ রক্সি কিছুতেই নিতে দিবে নাহ...। রক্সি চালাক চতুর একটা সফটওয়্যার কখন কোন মুহুর্তে কি করতে হবে সে নিজেই তার কাজ শুরু করে দেয় আমাকে শুধু Access টা দিতে হয়....।


নিরবঃ জাক বাবাহ অবশেষে সফল হইলাম...।


আমিঃ রক্সি কে নিয়ে কাজ করেছি আর সফল হবো নাহ এইটা কোনো কথা....।


হঠাৎ আমার আইফোন টা বেজে উঠলো.... 


কি ব্যাপার এখন আবার কে ফোন দিলো তাও আবার আমার আগের সিমে যে টা অনেক দিন ধরে বন্ধ ছিলো....।


আমি ফোন টা রিসিভ করেই সালাম দিলাম...


আমিঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম..। 


ওইপাশ থেকেঃ ওয়ালাইকুম সালাম... দোস্ত তুই আবার ডার্ক সাইডে ফিরে এসেছিস....জেনে আমি অনেক খুশি হইলাম...।


আমিঃ আপনাকে তো চিনতে পারলাম নাহ...।


ওইপাশ থেকেঃ আরে সালা আমি তানিম বলছি...।


আমিঃ ওরে বাটপার সে টা আগে বললেই তো হয়...তা কেমন আছিস..।


তানিমঃ এইতো ভালো তুই কেমন আছিস আর কি মনে করে আবার ফিরে আসলি এই কালো জগতে...।


আমিঃ তোকে পড়ে সব কথা বলবো এখন আমি তোকে ৩ মেয়ের ছবি দিমু আর তুই এবং তোর লোক মিলে তাদের কে এই...*** এলাকা থেকে তুলে নিয়ে আসবি। এই ঠিকানায় এসে আমাকে ফোন দিবি..।


তানিমঃ আচ্ছা ঠিক আছে...।


আমিঃ এখনি তোর WhatsApp এ দিয়ে দিচ্ছি।


তানিমঃ ওকে...।


আমিঃ এখন রাখছি পড়ে কথা হবে...। 


তানিম হচ্ছে আমার এক ফ্রেন্ড ওর সাথে আমার ডার্ক সাইডেই পরিচিত হই...ও ডার্কসাইটের সব চেয়ে ভয়ংকর কিলারদের মধ্যে একজন....। 


.......★.......★.......★


সামিয়াঃ oh shit damn it... এইটা কি করে সম্ভব...।

সব কিছু আমাদের হাতের বাহিরে কি করে চলে গেলো...।


নিশি সামিয়া তুলি তারা মিলে জখনি কোনো কিছু করতে যাবে ঠিক বার বার কম্পিউটার এবং ল্যাপটপের স্ক্রিনে বড় করে লেখা আসছে Black Shadow.


সামিয়াঃ এই Black Shadow টা আবার কে... আমি তার কি ক্ষতি করেছি যে সে আমার সব কিছু তার অধীনে নিয়ে নিলো...।


.......★.......★.......★


ওই মেয়ে ৩ টার মধ্যে একজন কে দেখে আমি ক্রাশ খাইছি....কিন্ত সে টা কি সামিয়া নাকি তুলি নাকি নিশি এটাই তো জানি নাহ.....


..............(আপনাদের কি মনে হয় সে কে হবে জাকে দেখে আমাদের নায়ক ক্রাশ মানে বাশ খাইলো।কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিন)............


বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। 


............(কেমন হচ্ছে গল্পটা তা অবশ্যই জানিয়ে দিবেন)


.......................

     .............................. 

         

চলবে ইনশাআল্লাহ .....




নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম