লেখক সাব্বির ইসলামের পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড গল্প।পর্বঃ ৮

 পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড 


পর্বঃ ৮


লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,


স্যার এখানে সাব্বির কে। 


 আমিঃ হুম বলেন আমিই সাব্বির...।  


_ এই নিন আপনার জন্য একজন গিফট বক্স দিয়েছে। 


আমিঃ কি আছে এটার মধ্যে...।


ওয়েটারঃ স্যার আমি আমিতো আর এইটা খুলে দেখি নাই যে কি আছে...।


আমিঃ তোমাকে এটা কে দিয়েছে...।


ওয়েটারঃ স্যার এটা আমাকে একটা মেয়ে দিয়েছে আর বলেছে এই খানে সাব্বির নামে একজন আছে তার কাছে এটা দিতে হবে....এইটা বলে আমাকে ৫০০ টাকা দিয়েছে বলেছে এটা তোমার কাজের পুরস্কার...। 


আমিঃ মেয়ে টা দেখতে কেমন একটু বলো...।


ওয়েটারঃ স্যার আমি মেয়েটার চেহারা দেখতে পাই নাই তিনি মুখে মাস্ক পড়ে ছিলেন...। ওকে স্যার এবার তাহলে আমি আসি....।


এই বলে ওয়েটার চলে গেলো...।


জনিঃ আমাদের কি ফুডা কপাল জীবনে এত্ত মেয়ের পিছনে ঘুরলাম তা ও কপালে একটা মাইয়া জুটলো নাহ আর তুই ৩ টা মেয়ে পেয়ে গেলি আর তার চেয়ে বড় কথা এখন আর তোকে কোনো চাকরি নিয়ে চিন্তা ও করতে হবে নাহ....কারণ মেয়েগুলোর কাছে জা টাকা আছে সেগুলো দিয়ে তুই সারাজীবন

 আরামে বসে খেয়ে পার করে দিতে পারবি...।


আমিঃ কেন আমার কি হাত নেই নাকি পা নেই অথবা আমি কি কোনো শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী যে ওদের টাকা আমি বসে বসে খাবো...খাওয়া তো পড়ের কথা ওদের মতো চোরদের তো আমি কখনো বিয়েই করবো নাহ....সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকে রাখে....জাতে সে টা দিয়ে তারা ভবিষ্যতে কোনো কাজে লাগাতে পারে....অথচ এই ৩ টা হ্যাকার এত টাই নিষ্ঠুর যে পাবলিকের টাকা কিভাবে আত্মসাৎ করেই যাচ্ছে...। 


জনি কথা গুলো মন দিয়ে শুনলো অথচো কিছুই বললো নাহ....।


নিরবঃ দোস্ত তুই রাগ করিস নাহ...জনি তোর সাথে মজা করে ওইসব বলেছে....মাথা ঠান্ডা রাখ...এবার বক্স টা খুলে দেখ এইখানে কি আছে....।


আমি নিজেকে ঠান্ডা রেখে প্রথমে শপিং ব্যাগ টা খুলে দেখি সেখানে একটা ব্লু কালারের শার্ট আছে আর সাথে একটা চিরকুট.....


আমি চিরকুট টা খুলে দেখি সেখানে লিখা....


প্রিয় শার্ট টা তোমার জন্য... এইটা পড়বে তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাবে আর ভুলেও কোনো মেয়ের দিকে তাকাবে নাহ....।


আমি ২য় বক্স টা খুলে দেখি সেখানে একটা হাতের ঘড়ি... আর সাথে আরেক টা চিরকুট...। 


চিরকুট খুলে দেখি....


প্রিয় এটা তোমার জন্য... 


এবার লাস্ট বক্স টা খুলে দেখি সেখানে কোনো কিছু নেই শুধু একটা চিরকুট পড়ে আছে...। 


আমি চিরকুট টা খুলে দেখি সেখানে লিখা.... 


ভুলেও প্রথম ২টা গিফটের কিছুই তুমি রাখবে নাহ....

যদি রাখো তাহলে অনেক খারাপ হয়ে যাবে বলে

 দিলাম। 

 

তুই শুধু আমার তোকে আমি কারো সাথে ভাগ করতে পারবো নাহ....।


তোমাকে অনেক ভালোবাসি তোমার দুষ্টু মিষ্টি হবু বউ সামিয়া....।


চিরকুটে আর কিছু লিখা নাই....।।


বাবারে বাবা এটা ভালোবাসার চিটি ছিলো নাকি কোনো একটা হুমকি ছিলো...(কিছুই বুঝলাম নাহ আমি মনে মনে বললাম)


জনিঃ দোস্ত আমার শার্ট টা অনেক ভালো লাগছে অনেক দামি শার্ট....আর অনেক সুন্দর...। 


নিরবঃ৷ শার্ট এর থেকে আমার ঘড়ি টাই ভালো লাগছে....।


আমিঃ তোরা এই গুলো নিয়ে নে আমি এই গুলো কিছুই নিবো নাহ....।


নিরবঃ সত্যি তো....পড়ে কিন্ত ফেরত দিমু নাহ...।


আমিঃ আরে নে সালা ধর....(আমি পেকেট গুলো নিরব এর হাতে) 


আর জনি কে শার্ট দিলাম....


আমি এই হ্যাকিং জগত থেকে ফিরে এসেছিলাম অনেক আগেই....আমার থেকে এই অন্ধকার জগত সম্পর্কে কেউ ভালো জানে নাহ....এক সময় আমার নাম ছিলো সবার মুখে মুখে আর এখন কি নাহ ২ টাকার হ্যাকার গার্ল এর হুমকি খেতে হচ্ছে সবিই কপাল.... সবার কাছে এমন ভাব নিয়ে থাকতে হয় যে আমি ইন্টারনেট সম্পর্কে কিছু জানি নাহ (আমি মনে মনে বললাম) 


নিরবঃ কি এত বির বির করছিস.... সালা জতোই জাই বল এই গুলো আর দিতাম নাহ জা ভাগ এহান থেইকা....।


আমিঃ হালারপুত আমি কি তোর থেকে এইগুলা চাইছি....।


চল এখন বাড়িতে জামু...বেশি রাত হইলে আম্মা মাইর দিবো....(আমি বললাম)


আমি আর নিরব বাড়ির দিকে রওনা দিলাম আর জনি ক্লাবেই থেকে গেলো ওই সালা আর ভালো হইবো নাহ হয়তো কোনো মেয়ে পটানোর চেষ্টা করছে.....।


আমি আর নিরব রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি হঠাৎ এক জায়গায় চোখ আটকে গেলো....


আমাদের থেকে কিছু টা দুরেই একটা ব্যাক্তি ফুচকা বিক্রি করছে আর ওই গুলো দেখেই আমার বোন ঝুমুর এর কথা মনে পড়লো....


আমিঃ নিরব দোস্ত তুই একটু দাড়া আমি ফুচকা নিয়ে নেই আমার পাগলী বোন টার জন্য....। 


নিরবঃ আচ্ছা ঠিক আছে...।


আমি দোকানে গিয়ে ফুচকা কিনে আবার নিরবের সাথে হাটা শুরু করলাম...।


নিরবঃ দোস্ত আমি বলি কি আর কত দিন এইভাবে থাকবো চল নাহ আমরা ও... ওই হ্যাকার দের বুঝিয়ে দেই তাদের উপর ও কেউ আছে....।আর তুই তোর ওই জনি ফ্রেন্ড আমাদের কি সাহায্য করবে ওই তো আমাদের কাছে এখনো চুনোপুঁটি.... আমরা যদি আমাদের আগের রুপে ফিরে আসি তাহলে ওই আমাদের দিনে ১৯ বার সালাম দিবে....।


আমিঃ কি বলতে চাইছিস তুই....।


নিরবঃ চল নাহ দোস্ত আমরা আবার চলে জাই আমাদের সেই আগের রাস্তায় যেখানে আমাদের সবাই চিন্তো Black Shadow নামে....। দোস্ত Black Shadow কি আর আসবে নাহ....


আমিঃ নাহ আমি আর ওই অন্ধকার রাস্তায় যেতে চাই নাহ....অনেক কষ্টে সেখান থেকে বের হয়েছি...।


নিরবঃ ওহহ...আমরা যদি এখনো ওই হ্যাকার গার্লদের না আটকাই তাহলে ওরা যদি আরো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে তখন....আর তাছাড়া আমরা তো কখনো খারাপ কাজ করি নাই....।


আমিঃ দেখ নিরব এই সব শুনতে ভালো লাগছে নাহ চুপ কর প্লিজ....।


নিরবঃ আচ্ছা ঠিক আছে এই চুপ করলাম...।


আমি আচ্ছা ঠিক আছে তুই বাড়িতে জা তোর বাড়ি চলে এসেছে....।


নিরবঃ আমি বলি কি একবার ভেবে দেখিস ওই ব্যাপারে....।


আমিঃ আচ্ছা দেখবোনি.... এই বলে আমি হাটা শুরু করলাম....।


আর এক মনেই বলে চলেছি..Black


 Shadow.... ..Black Shadow.... ..Black 


 Shadow.... ..Black Shadow.... (ব্লাক সেডো)


বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 


চলবে,,,,,,






নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম