পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ ৯
লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
°°°°°°°°°°°°{ অষ্টম পর্বের পর থেকে }°°°°°°°°°°°°°
নিরবঃ আমি বলি কি একবার ভেবে দেখিস ওই ব্যাপারে....।
আমিঃ আচ্ছা দেখবোনি.... এই বলে আমি হাটা শুরু করলাম....।
আর এক মনেই বলে চলেছি..Black
Shadow.... ..Black Shadow.... ..Black
Shadow.... ..Black Shadow.... (ব্লাক সেডো)
আমি হাটতে হাটতে বাড়িতে চলে আসলাম..বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে ছোট বোন দরজা খুলে দিলো...।
আমি ফুচকার প্যাকেট টা আমার বোনের হাতে দিলাম.....
বোন আমার খুশি হয়ে বললো....
ঝুমুরঃ লাভ ইউ ভাইয়া...তুমি আমার অনেক ভালো ভাইয়া..আজ কে আমার অনেক ফুচকা খেতে মন চাচ্ছিলো...।
আমিঃ আরে পাগলী বোন আমার.... আম্মু কোথায় রে....।
ঝুমুরঃ আম্মু তো রুমে শুয়ে আছে...আর আব্বু এখনো আসেনি...আচ্ছা আমি কি এখন টেবিলে খাবার দিবো...।
আমিঃ নাহ এখন আর রাতে খাবো নাহ...আমি খেয়েই এসেছি...।
এই বলে আমি আমার রুমে চলে আসলাম...।
নিরব এর বলা কথা টা আমার মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে ব্লাক সেডো কি আর আসবে নাহ...।
নাহ মাথা প্রচন্ড যন্ত্রণা করছে আমি আর এত চাপ নিতে না পেরে বিছানায় শুয়ে পড়লাম....।
আম্মু রাতে খাবারের জন্য ডাকতে এসেছিলো এসে দেখে আমি শুয়ে আছি তাই চলে গেছে...।
সকাল বেলা আমি ফ্রেশ নিচে নেমে দেখি আব্বু টিভিতে সংবাদ দেখছে...আমি আব্বুর সাথে বসে খবর দেখা শুরু করলাম...এবারো দেখি ব্যাংক থেকে টাকা হ্যাক করে নিয়ে গেছে হ্যাকার গার্লস...
খবর টা দেখে আমার মাথা পুরা দমেই গরম হয়ে গেছে...।
আমি আর ওখানে বসে নাহ থেকে সোজা আমার রুমে চলে আসলাম...
নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রাখার চেষ্টা করলাম কিন্ত শান্ত রাখতে পারতেছি নাহ...।
আমি সাথে সাথে নিরব কে ফোন দিলাম....।
কিছুক্ষণ রিং হওয়ার পর নিরব ফোন রিসিভ করলো....
আমিঃ দোস্ত রেডি থাক ব্লাক সেডো আবার ফিরে এসেছে....। বুঝিয়ে দিবো হ্যাকার গার্লদের কত ধানে কত চাউল....।
নিরবঃ আমি অনেক আগে থেকে তৈরি আমি জানতাম তুই ফিরে আসবি...,এই অন্ধকার দুনিয়ায় সাধারণ মানুষদের সাহায্যের জন্য....।
আমিঃ জন্য হ্যাকিং করার জন্য একটা নিরাপদ আশ্রয় লাগবে সে টা পাবো কই....।
নিরবঃ আমাদের আরেক টা ফ্লাট আছে সেখানে।আমরা আমাদের কাজ করতে পারবো....।
আমিঃ ওকে আমি নাস্তা করেই তোর বাড়ির নিচে আসছি....
এই বলে আমি ফোন রেখে নাস্তা করতে চলে গেলাম....নাস্তা করেই আমি সোজা চলে গেলাম নিরব এর বাড়ির দিকে গিয়ে দেখি দেখি নিরব রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে....।
আমিঃ তোর হাতে এই গুলো কি...।
নিরবঃ এই ব্যাগে ২ টা ল্যাপটপ আছে...আর এখানে...আমাদের ব্যবহার করা আগের ফোন গুলো আছে....।
আমিঃ ওকে এখন তোর ফোন বন্ধ করে রাখ আর আগের ফোন গুলা চালু কর.....
নিরবঃ আচ্ছা ঠিক আছে....।
আমি আর নিরব ফ্লাটে বসে আমাদের কাজ শুরু করে দিলাম....
অনেক কষ্টে হ্যাকার গার্লদের আইপি কোড জোগাড় করলাম ডার্ক সাইড থেকে....।
এবার দেখি কিভাবে তোরা আমার হাত থেকে নিস্তার পেয়ে জাস....(আমি মনে মনে বললাম)
আমি আমার ল্যাপটপ দিয়ে আমার নিজের বানানো একটা সফটওয়্যার দিয়ে কাজ শুরু করলাম ওদের প্রটেকশন ভাঙার জন্য.... আমি যে সফটওয়্যার দিয়ে কাজ শুরু করেছি সে টার নাম হলো ডিওক্সি...।
এই ৩ টা হ্যাকার গার্ল এর লিডার হচ্ছে সামিয়া...কিন্ত সবাই সাব্বির কে ভালোবাসে...আর এটা সামিয়া জানে....আর ২ টা মেয়ে হলো তুলি আর নিশি...।
তুলিঃ সামিয়া কেউ আমাদের প্রটেকশন ভেঙে আমাদের সম্পর্কে যতো ইনফোরমেশন আছে তা সব গুলো জানার চেষ্টা করছে...একে তো আমরা আটকাতে পারছি নাহ....তুই কিছু একটা কর...।
নিশিঃ তুলি ঠিক বলছে... সামিয়া তুই কিছু একটা কর....।
সামিয়াঃ What !!....মজা করছিস আমার সাথে কার এত বড় সাহস আর এত ক্ষমতা যে আমার থ্রি স্টেপ প্রটেকশন ভাঙবে....।
তুলিঃ ভাঙবে মানে টু স্টেপ অলরেডি ভেঙে ফেলেছে...একে আমরা আটকাতে পারছি নাহ...তুই কিছু কর...।
সামিয়া সাথে সাথে নিজের ল্যাপটপে ঝড়ের গতিতে টাইপ করা শুরু করলো....।
নিরবঃ ওহহ নো...দোস্ত এটা কি করে সম্ভব আর ১ মিনিট এর জন্য আমরা হ্যাকার গার্লদের তথ্য পেলাম নাহ....।
আমিতো অবাকের অষ্টম আকাশে চলে এসেছি হ্যাকার গার্লস গ্রুপ আমাদের প্রটেক্ট ভাঙার চেষ্টা করছে... আমি আর নিরব তাদের আটকাতে পারছি নাহ....
আমি আমার ল্যাপটপ উঠিয়েই দিলাম একটা আছাড় আর এক আছাড়েই ল্যাপটপ চুড়া চুড়া....।
সামিয়াঃ ওহহ সেট...আর একটুর জন্য আমাদের হাত থেকে বেচে গেলো....আমিও দেখতাম কোন বান্দা আমাদের সাথে পাংগা নিতে চায়....।
আমিঃ নিরব ভেবেছিলাম এরা দুর্বল কিন্ত নাহ এরা আমার ধারণা নাকে ভুল প্রমাণ করে দিলো....জাক ভালোই হয়েছে কি বল....এত সহজে জিতে গেলে তেমন একটা মজা পাবো নাহ.....।
নিরবঃ আমরা এখন কি করবো ওরা তো ৩ জন আর আমরা মাত্র ২ জন কিভাবে ওদের সাথে টক্কর দিবো...।
আমিঃ আরে এত প্যারা নিস নাহ তো চিল কর চিল...আগামী ৩ দিনের মধ্যেই পাবলিকের টাকা পাবলিক পেয়ে যাবে....।
নিরবঃ কিন্ত সে টা কি করে সম্ভব....।
আমিঃ আরে আবুল তুই কি রক্সির কথা ভুলে গেলি...।
নিরবঃ এইরে সত্যি ভুলে গেছিলাম....।
রক্সি আমারি বানানো একটি সফটওয়্যার যেমন ফোনে গুগল এসিস্ট্যান্ট আপনাদের আদেশ মানে...। ঠিক তেমনি রক্সি একমাত্র আমার কথা ছাড়া আর কারো কথা শুনে নাহ....।
রক্সি একাই ১০ হ্যাকার কে নাকানি চুবানি খাওয়ার ক্ষমতা রাখে....।
নিরবঃ তাহলে তুই প্রথমেই রক্সিকে নিয়ে কাজ টা শুরু করতি...।
আমিঃ আরে আমি কি জানতাম নাকি... এরা এত টা ও দুর্বল নাহ...।
জাই হোক বাকি টা কাল দেখা যাবে এখন চল বাড়ি জাই...আর এই ল্যাপটপ এরতো হালুয়া টাইট হয়ে গেলো...তুই আজ কেই আবার আরেকটা কিনে নিয়ে আসবি....।
নিরবঃ আচ্ছা ঠিক আছে...।
আমি আর নিরব ফ্লাট থেকে বাহির হয়ে রাস্তায় এসে আমার ফোন টা চালু করলাম আর সাথে সাথেই সামিয়ার ফোন....।
আমিঃ হুম বলো...কি বলবে...।
সামিয়াঃ কাজ টা তুমি ভালো করলে নাহ...এর ফল তুমি ঠিকি পাবে...।
আমিঃ এহহ আমি আবার কি করলাম...।
সামিয়াঃ আমি বোকা নই তুমি আমার সাথে টক্কর নিতে এসেছিলে আমি এটা জানি...।
আমিঃ অনেক বুদ্ধি আছে তোমার....ভালোই ভালোই জনগণের টাকা তাদেত ফিরিয়ে দাও বলছি...।
সামিয়াঃ নাহ দিবো নাহ...।
আমিঃ আগামী ৩ দিনের মধ্যেই তারা তাদের টাকা পেয়ে যাবে কথা দিলাম...।
সামিয়াঃ ওকে দেখা যাবে...আমার সাথে লাগতে আসার ফল টা নিশ্চয়ই পেয়ে গেছো আশা করি আসবে নাহ...।
আমিঃ এত খুশি হওয়ার কিছু নাই খেলা তো এই শুরু....।
..............(রক্সি কি পারবে জনগণের টাকা ফিরিয়ে দিতে কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিন).................
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
কেমন হচ্ছে গল্পটা তা অবশ্যই জানিয়ে দিবেন।
..............(এই গল্পে ও যদি আপনাদের সাপোর্ট না পাই তাহলে আর গল্প দিমু নাহ
.......................
..............................
চলবে ইনশাআল্লাহ .....