লেখক সাব্বির ইসলামের পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড গল্প।পর্বঃ ৪

 পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড 


পর্বঃ ৪


লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, 

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,


{ গল্পটা শুরু করার আগে কিছু কথা বলে নেই আপনাদের কে,,,,, আপনারা অনেকে অভিযোগ করেছেন নায়ক এর বয়স কম হয়ে গেছে সাথে নাইকির তাই তাদের বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হলো নায়কি কে ইন্টার প্রথম ইয়ারের শিক্ষাথী দেওয়া হয়েছে আর নায়ক কে ইন্টার ফাইনাল ইয়ার আসা করি এখন আর সমস্যা হবে না এখন গল্পটা শুরু করা যাক } 

   


নিরবঃ কিন্তু সেটা করলো কি করে এত হার্ড থাকার পরও হ্যাক করে নিয়ে গেছে। 


সাব্বিরঃ কে বললো তকে হার্ড বোকা কোথাকার ব্যাংক থেকে হ্যাক করা একদম সহজ বুঝতে পারছিস । 


নিরব অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো সাব্বির কে। 


নিরবঃ বলিস কি তুই কি করে জানলি আর এত শিওর হলি কি করে। 


সাব্বিরঃ আমি কিছুটা যানি তাই বললাম । 


নিরবঃ আচ্ছা বল তো কি করে সহজ। 


সাব্বিরঃ শুন একটা পেন ড্রাইভ নিয়ে Computer cpu থেকে সকল তথ্য হ্যাক করে তর পেন_ড্রাইভে নিয়ে যেতে পারিস তাহলে ব্যাংক এর সকল তথ্য সব তর কাছে চলে আসবে তারপর Darkweb এর সাহায্যে তুই সেখান থেকে যা খুশি তাই করতে পারবি। 


নিরবঃ সত্যি কথা তো।  


সাব্বিরঃ হুম তাছাড়া আর কোনো হ্যাক করার কথা যানি না হয়তো আরো থাকতে পারে কিন্তু এটাই সহজ। 


নিরবঃ তাহলে তো খুবি সহজ সবাই হ্যাক করতে পারবে। 


সাব্বিরঃ নাহ পারবে না কারণ এটা সবাই পারে না তুই কি মনে করলি এতই সহজ নারে দুস্ত এতটাও সহজও না তুই গিয়ে পেন ড্রাইভ নিয়ে সকল তথ্য নিয়ে আসতে পারবি কখনো পারবি না এটা সবাই পারে না অনেক টেকনোলজিস আছে অনেক মাথা খাটানোর ব্যাপারে দুস্ত। 


নিরবঃ দূর এইগুলা কথা রাখতো মাথায় কিছুই ঢুকে না। 


তখনি সাব্বির এর ফোনে একটা কল আসে কিন্তু ফোন নাম্বার তার ইস্কিনে দেখা যায় না সাব্বির অবাক হয়ে বললো। 


সাব্বিরঃ দুস্ত দেখ কেমন আজব ব্যাপার ফোন আসছে কিন্তু নাম্বার নেই। 


নিরব অবাক হয়ে বললো। 


নিরবঃ বলিস কি দেখিতো। 


তখন নিরবও দেখে অবাক হয়ে যায় ততক্ষণে ফোনটা কেটে যায় তখন নিরব বললো। 


নিরবঃ এটা আবার কেমন অদ্ভুত কল আমি কখনো দেখিনি। 


সাব্বিরঃ আমিও তো দেখিনি। 


তখন আবার ফোনটা বেজে উঠলো তাকিয়ে দেখে অই নাম্বার টাই তখন সাব্বির ফোন রিসিভ করে চুপ করে রইলো তখন ওপাশ থেকে একটি মেয়ে বলে উঠলো। 


_ কি গো তুমি ফোন উঠাতে লেট করলে কেন। 


তখন সাব্বির অবাক হয়ে বললো। 


সাব্বিরঃ কে আপনি। 


_ কে আবার তোমার হবু বউ চিনতে পারছো না। 


সাব্বিরঃ ফাজলামো করেন মাইরা নেটওয়ার্ক এর বাইরে ফালাই দিমু । 


_ আমি গ্রামীণ সিম চালাই নেটওয়ার্ক এর বাইরে যাওয়ার সম্ভবিনা অসম্ভব । 


 সাব্বিরঃ না গেলেও পাঠামু লাথি মাইরা নেটওয়ার্ক এর বাইরে আর কি বললে হবু বউ। আমার কোনো গালফ্রেন্ড নাই। মেয়ে বান্ধবীও নাই । আম্মু আব্বু এখনো আমার বিয়ের কথা চিন্তাও করে নাই । কাউকে দেখেও নাই । আমি এইসবে নাই। 


_ না দেখুন কেউ ৷ না থাকুক কেউ । আমি তো আছি। 


সাব্বিরঃ দূর ফোন কাটেন তো মাথা গরম করাবেন না। 


তখন সাব্বির ফোন কেটে দিলো তখন নিরব বলে উঠলো। 


নিরবঃ ফোনটা না কেটে জিজ্ঞেস করতি কে পরিচয় নিয়ে নিতি। 


সাব্বিরঃ দূর আজাইরা কথা বলায় সময় নাই। 


তখনি ফোনটা আবার বাজতে শুরু করলো তখন সাব্বির দেখে আবার অই নাম্বার থেকে কল দিয়েছে তখন নিরব বললো। 


নিরবঃ দেহ আমি কথা বলছি তর বলতে হবে না। 


সাব্বিরঃ ঠিক আছে নেহ তুই কথা বল আমি বলবো না। 


তারপর নিরব ফোন রিসিভ করে বললো। 


নিরবঃ হ্যালো কে বলছেন আপনি। 


_ আমি যেই হই আপনি হুম যার ফোন তাকে দিন।  


নিরবঃ ওই হ্যালো আমি তার বন্ধু সে কথা বলবে না এখন আপনি আমায় বলুন কে আপনি।  


_ ওহ আচ্ছা তাহলে আপনি তার বন্ধু ঠিক আছে আপনি ফোনটা লাউস স্পিকারে দিন। 


তখন নিরব তা করে বললো। 


নিরবঃ হুম এখন বলুন দেওয়া হয়েছে । 


_ আমার কথা সে শুনতে পাচ্ছে তো 


নিরবঃ হুম শুনতে পাচ্ছে বলুন আপনি। 


_ ওগো শুনছো এমন গাল ফুলিয়ে রাগ করে বসে থাকলে হবে। 


তখন সাব্বির রাগী গলায় বলে উঠলো। 


সাব্বিরঃ তুই সামনে আয় তরে ইট দিয়া মারমু। 


_ এত রাগ করছো কেন তোমাকে না রাগলে হেব্বি কিউট লাগে। 


সাব্বিরঃ ফোনটা কাট তো দুস্ত। 


_ এই ✆ ফোন কাটবে না একদম না আমি কে যানো আমি শয়তানের নাতনি সামিয়া। 


তখন সাব্বির নিরব এর হাত থেকে ফোনটা নিয়ে বলতে লাগলো। 


সাব্বিরঃ শয়তান,,,,বান্দর,,,বিলাই,,,,হনুমান,,,,তুই আমার আইডি হ্যাক করেছিস তাই না অই লিংকে ক্লিক করার পর। 


সামিয়াঃ কে বললো আমি করছি মিথ্যা কথা।


 সাব্বিরঃ আমি যানি এটা তর কাজ ছাড়া আর কারো হতে পারে না কারন আমি দুইজন এর সাথে কথা বলছি আইডি খুলে একজন আমার বন্ধু নিরব আরেকজন তুই নতুন আইডি খুলেছি তাছাড়া আর কেউ নাই তর দেওয়া লিংকে ক্লিক করার পর থেকে এমন হয়েছে সত্যি কথা বল এখন। 


সামিয়াঃ হুম আমি নিয়েছি হ্যাক করেছি তোমার সব হ্যাক করা আমার কাছে। 


সাব্বিরঃ হ্যাক করা মানে তুই হ্যাক করবি কেন কে বলছে তকে । 


সামিয়াঃ কেউ বলিনি আমি আমার বর এর নজর রাখছি। 


সাব্বিরঃ রাখ তর বর সামনে থাকলে না মেরে মুখ ভেঙে দিতাম। 


সামিয়াঃ তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে অন্য মেয়ের সঙ্গে লুচুর পুচুর করবে তা আমি হতে দিবো না তাই সব নিয়ে নিছি। 


সাব্বিরঃ তাই নাকি সব নিয়ে নিছিস আচ্ছা বল তো আমার ফোনে কি কি আছে। 


 সামিয়াঃ Gallery এর মাঝে ২৭৮ টা পিক তাই না ভিডিও আছে ৭৭ টি মুভি আছে তিনটি। 

তোমার আব্বুর ছবি আছে একটি। 

তোমার আম্মুর ছবি আছে দুইটি । 

তোমার বোন এর ছবি আছে তিনটি। 

তোমার বন্ধু নিরব এর ছবি আছে পাঁচ টি । 

দুজন এক সাথে ছবি আছে ২২ টি । 

বাকি সব তোমার ছবি । 

তোমার জিমেইল পাসওয়ার্ড দিয়েছো {,Trust me,,,,}এটা তাই না আর ফেসবুক পাসওয়ার্ড,,দিয়েছো { Single } -এটা তাই না। 

তোমার ফোনের লক,,,,{ Ami }। তাই না আর কি বলা লাগবে বলো। 


সাব্বির তো শুনে অবাক হয়ে গেছে কারণ সব সত্যি কথা মিলে গেছে তখন চুপ করে রইলো সাব্বির। 

 তখন সামিয়া বললো। 


সামিয়াঃ শুনো উল্টো পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করবে না কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা বলবে না তাহলে কিন্তু এমন অবস্থা করবো হুম থাক আর বলবো না এখন ফোন রাখছি আড্ডা দাও। 


এইবলে ফোন কেটে দিলো সামিয়া আর সাব্বির এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না তার সব কিছু কি করে যেনে নিলো তখন নিরব জিজ্ঞেস করলো। 


নিরবঃ কিরে দুস্ত এমন টাশকি খেয়ে গেলি কেন । 


তখন সাব্বির বললো। 


সাব্বিরঃ কি সাংঘাতিক হ্যাকার পিচ্চি মেয়ে দেখলি। 


নিরবঃ হুম আমিও সেটা ভাবছি সব বলে দিলো হ্যাকার এমনি আচ্ছা একটা কথা বলবি। 


সাব্বিরঃ হুম বল কি বলবি। 


নিরবঃ আচ্ছা এইগুলা কি পাসওয়ার্ড দিলি তুই  

{ Trust me,,} { ,Single,, } { ami } এইগুলা কি পাসওয়ার্ড দিলি নাকি সিঙ্গেল বলে জাতীয় পরিচয় দিলি। 


সাব্বির ফিক করে হেসে দিলো আর বললো। 


সাব্বিরঃ হুম এমনি দিলাম আনকমন হিসেবে। 


নিরবঃ হয়ছে চল এখন বাসায় যাওয়া যাক। 


সাব্বিরঃ হুম চল। 


তারপর নিরব আর সাব্বির সেখান থেকে চলে আসলো নিরব এর বাসার রাস্তা একটা সাব্বির এর বাসার রাস্তা আরেকটা তারপর নিরব চলে গেলো তার বাসায় আর সাব্বির চলে আসলো চায়ের দোকানে সেখানে বসে বললো। 


সাব্বিরঃ চাচা একটা রং চা দাও তো আধা বেশি করে। 


দোকানের লোকটা একটু বয়স্ক তাই সাব্বির তাকে চাচা বলে ডাকে তার নাম রহিম মিয়া তখন সে বললো। 


রহিম মিয়াঃ ঠিক আছে ভাতিজা তুমি বসো আমি দিচ্ছি। 


তখন সাব্বির তার দোকানের ভিতর গেলো সেখানে একটা টুল দেওয়া আছে সাথে টিভি সেখানে গিয়ে বসলো তখন সাব্বির দেখলো টিভি চালু করা মুভির চ্যানালে দেওয়া তখন সাব্বির বললো। 


সাব্বিরঃ চাচা একটু খবরে দাও তো দেখি তারপর ব্যাংকে কি হলো। 


রহিম মিয়াঃ ঠিক আছে ভাতিজা দিচ্ছি। 


 তখন News 24 চ্যানালে দেওয়া হলো খবর চলছে না বিরতি চলছে এখন। 

 তখনি চা দিলো সাব্বির এর হাতে সাব্বির চা নিয়ে খেতে লাগলো তখনি চ্যানেলটা হঠাত বন্ধ হয়ে গেলো আর ঝিরিঝিরি করতে লাগলো তখন সাব্বির বলে উঠলো। 


সাব্বিরঃ দেত আবার কি হলো। শান্তি মতো খবর দেখতেও পারি না। 


তখনি হঠাত আবার চলে আসলো কিন্তু একটা মাস্ক পড়া মানুষ আসলো সামনে মুখটা দেখা যাচ্ছে না আর তখন সাব্বির বললো। 


সাব্বিরঃ চাচা চ্যানাল টা পরিবর্তন করো তো। 


তখন পরিবর্তন করে কিন্তু একি এই চ্যানালেও এই লোকটা তখন সাব্বির বুঝতে পারলো কিছু একটা হতে যাচ্ছে তখন সাব্বির বললো। 


সাব্বিরঃ চাচা যলদি সাউন্ড বাড়িয়ে দাও। 


তখন সাব্বির এর কথা মতো তাই করলো তখন টিভির লোকটা বলতে শুরু করলো। 


_ আমি সকল চ্যানাল কে হ্যাক করেছি কিছু সময় এর জন্য কিছু কথা বলার জন্য I'm pink girls hacker group। 


এদিকে সাব্বির এই নাম শুনে অবাক হয়ে গেছে কারণ সকালে তারাই হ্যাক করেছে ১৫০ কোটি টাকা আর এটা মেয়ে কথা বলছে তখন মেয়েটি বলতে শুরু করলো। 


_ আরো বেশ কিছু ব্যাংক থেকে টাকা হ্যাক করে নেওয়া হবে আজ SSB Bank থেকে মাত্র ১৫০ কোটি টাকা নিয়েছি আরো নিবো এর পর যে গুলো ব্যাংক থেকে টাকা হ্যাক করা হবে এর চেয়ে ডাবল নেওয়া হবে আর যারা মন্ত্রী এমপি আছেন তাদের কে বলছি সাবধানে থাকবেন ঝড় আসতে যাচ্ছে আরো বড় ঝড় তাদের জন্য আসতে যাচ্ছে এটা শুধু ট্রেইলার দিলাম প্রশাসনের হাতে যতই দিয়ে খুঁজতে চেষ্টা করো কাজ হবে না গুড বায় আগামীকাল আবারো আসবো। 


বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন। 



গল্প মাত্র সবে শুরু হয়েছে ধামাকা আরো বাকি,,,,,।


সাথেই থাকুন লাইক কমেন্ট করতে ভুলবেন না । 


কেমন হচ্ছে গল্পটা তা অবশ্যই জানিয়ে দিবেন। 


চলবে ইনশাআল্লাহ ,,,,,,,,,,,,।


নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম