পিচ্চি হ্যাকার গার্লফ্রেন্ড
পর্বঃ ১০
লেখকঃ Sabbir Islam (কিউট পিচ্চি)
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
°°°°°°°°°°°°{ নবম পর্বের পর থেকে }°°°°°°°°°°°°°
সামিয়াঃ ওকে দেখা যাবে...আমার সাথে লাগতে আসার ফল টা নিশ্চয়ই পেয়ে গেছো আশা করি আর আমার সাথে লাগতে আসবে নাহ...।
আমিঃ এত খুশি হওয়ার কিছু নাই খেলা তো এই শুরু....।
সামিয়াঃ ফলাফল খারাপ হবে কিন্তু আমি আগেই বলে দিলাম...বাকিটা তোমার ইচ্ছা...। আমি তোমার সম্পর্কে সব কিছুই জানি কিন্ত তুমি আমার সম্পর্কে কিছুই জানো নাহ এবং কি আমাকে দেখো ও নাই...।আমি চাইলে তোমার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারি....। কিন্ত আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই করবো নাহ
সো তুমি যত বড় হ্যাকারের কাছে জাও না কেন....সে আমার এক চুল পরিমাণ ও ক্ষতি করতে পারবে নাহ... । শুধু শুধু আমার সাথে লাগতে না এসে আমাকে ভালোবাসতে শুরু করে দাও...।
এতে তোমারি লাভ হবে....।
আমিঃ এই যে ম্যাডাম আপনি এখনো আমার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন নাহ....আমি কি করতে পারি এই সামান্য আইডিয়া ও আপনার মাথায় নাই..। সো বায়.... (বলে ফোন টা রেখে দিলাম)
নিরবঃ হ্যারে দোস্ত আমার মনে হয় মেয়ে টা একটু বেশিই লাফাচ্ছে....।
আমিঃ লাফাক লাফাক আরো বেশি বেশি লাফাক মানুষ লাফিয়ে জত উপরে উঠবে আবার সেখান থেকে পড়ে গেলেই হাড্ডি গুড্ডি তেরা হয়ে যাবে...(আমি মুচকি হেসে বললাম)
আমিঃ চল খুদা লাগছে অনেক এই হ্যাকিং অনেক দিন পর করলাম তো তাই মনে হয় শরীর দিয়ে একটা ঝড় বয়ে গেল বাবাহ....এই হ্যাকিং জগতে এক চুল পরিমাণ ভুল করলেই সব শেষ...।
আমি আর নিরব একে অপরের সাথে কথা বলছি আর হাসাহাসি করছি....।
একটা রেস্টুরেন্ট দুইজনে কিছু খেয়ে নিলাম...।
আমিঃ নিরব আমি বাড়ি জামু আমারে একটু বাড়ি দিয়া আয়..।
নিরবঃ আসো বাবু আমার কোলে আসো তোমাকে দিয়ে আসি...।
আমিঃ ধুর হালা...তুই ভালোই মজা করতে পারোস।
নিরবঃ তুই মনে হয় পারোস নাহ...।
আমিঃ আজ কে নিশ্চিত আম্মুর কাছে বকা শুনতে হইবো....আমিতো বকা শুনবো আর তোর কপালে ঝাটার বাড়ি আছে....।
নিরবঃ কেন...।
আমিঃ হারামজাদা সেই সকালে আমরা বাড়ি থেকে বের হইছি এখন সন্ধ্যা হয়ে গেল অথচ আমরা কেউ কি একবারো বাড়িতে ফোন দিয়ে বলেছি আমরা ঠিক আছি নাকি ঠিক নাই....।
নিরবঃ এইরে ভুলে গেছি....এখন আমার কি হইবো...।
আমিঃ শুন বাড়িতে গিয়েই কলিং বেল বাজিয়েই ২ হাত দিয়ে কান ধরে Sorry বলবি...। আমার চিন্তা নাই কারণ আমার একটা পিচ্চু বোন আছে আমার বোনের জন্য আম্মু আমাকে মারতে পারে নাহ হিহিহি....।
নিরবঃ তুই কত Lucky রে.... ইসস আমার যদি একটা বোন থাকতো তাহলে আজকে আর কান ধরে দাড়াতে হইতো নাহ....।
আমিঃ এবার চল বাড়িতে জাই....।
আমি আর নিরব ২ জনেই বাড়ির দিকে রওনা দিলাম....।
নিরবের বাড়ির সামনে এসে গেছি...।
নিরবঃ দোস্ত আমার লাইগা দোয়া করিস এবারের মতো যেন বেচে জাই....।
আমিঃ হো জা করমুনি...।
নিরবঃ উম্মাহ দোস্ত...
আমিঃ ধুর হালা...।
নিরব চলে গেলো....।
আর আমি আমার বোনের জন্য ২ টা ক্যাটভেরি সিল্ক নিয়ে নিলাম আমার বোনের ফেভারিট চকলেট আর সাথে আমারো....।
আমি বাড়িতে এসেই কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে আমার পিচ্চু বোন টা দরজা খুলে দিলো...।
ঝুমুরঃ ভাইয়া সারাদিন কই ছিলা তোমার জন্য তো আমার চিন্তা হয় নাকি...আমার কথা তোহ তোমার একটুও মনে পড়ে নাহ....।
আমিঃ ওরে আমার পাকা বুড়িরে.... এই নে তোর ফেভারিট চকলেট....।
ঝুমুর থাংকু ভাইয়া বলেই আমার গালে টুকুস করে একটা পাপ্পি দিয়ে দিলো....।
ঝুমুর তুই কার সাথে কথা বলছিস (আম্মু বলে উঠলো)
ঝুমুরঃ এইতো আম্মু ভাইয়ার সাথে কথা বলছি....।
আম্মুঃ তা নবাবের এখন বাড়িতে আসার সময় হলো...।
আমি কিছু বলছি নাহ মাথা নিচু করে চুপ করে তাড়িয়ে আছি...।
আম্মুঃ এই যে নবাব সারাদিনে কি.. কিছু খাবার পেটে পড়েছে নাকি পড়ে নাই...।
আমিঃ হুম আম্মু খেয়েছি...।
আম্মু আর কিছু না বলে তার রুমে চলে গেলো...।
আমিও আমার রুমে চলে আসলাম...।
আমি আমার রুমে এসে খাটে শুয়ে পড়লাম কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারি নাহ
রাতে ঝুমুর খাবার জন্য ডেকে গেলো...।
আমার পরিবারের সবাই খাবার টেবিলে বসে পড়লাম আমরা খাবার খাচ্ছি হঠাৎ আব্বু বলে উঠলো....।
আব্বুঃ জা দিন কাল পড়েছে এখনতো ব্যাংকে টাকা রাখতে ও ভয় করছে....।
আম্মুঃ হুম ঠিক বলেছো....আজ টিভিতে খবরে দেখলাম সাধারণ জনগণ টাকার জন্য হাহাকার করছে...আর ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের কে আশ্বাস দিচ্ছে যে খুব শীঘ্রই তাদের টাকা তারা পেয়ে যাবে....।
আমাদের দেশের ওয়াইট হ্যাট হ্যাকার গুলো ও কোনো কিছু করতে পারছে নাহ তারা বলছে এই পিংক গার্লস হ্যাকার গুলোর ওই কি যেন বলে পিস্টেম নাকি সেগুলো অনেক মজবুত তারা কিছুতেই তাদের পিস্টেম হ্যাক করতে পারছে নাহ...।
আমিঃ আরে আম্মু ওই টা পিস্টেম হবে নাহ...ওই টা হবে সিস্টেম...।
আম্মুঃ আরে ওই একিতো হলো...।
আব্বুঃ অনেক কথা হয়েছে এবার সবাই চুপ করে খাবার খেয়ে নাও....।
আমি খাবার খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম....।
হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে....।
নিশিঃ তুই এত রাতে কি করছিস না ঘুমিয়ে...।
সামিয়াঃ আরে আমার সিস্টেম এর ওয়ান স্টেপ প্রটেকশন কেউ ভাংতে পারলো নাহ আর আজ কে... কে যেন আমার সিস্টেম এর টু স্টেপ প্রটেকশন ভেঙে দিলো....আর একটুর জন্য বেচে গেছি...নাহলে তো আমাদের সব তথ্য পেয়ে যেতো...।
তাই এখন আমি আমার সিস্টেম টা কে একটু আপডেট করছি...আর সাব্বির কার কাছে গেলো যে আমাদের সিস্টেম ভাঙার ক্ষমতা রাখে.... নাহ আমাদের অনেক সাবধানে থাকতে হবে....।
নিশিঃ আচ্ছা আমিও তোকে সাহায্য করছি বল আমাকে কি করতে হবে....।
সামিয়াঃ না থাক আমার কাজ শেষ...। এখন আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবো....।
তুলিঃ এই তোরা আমাকে রেখে কি ফুসুরফুসুর করছিস....আমাকেও বল...আমিও শুনবো...।
সামিয়াঃ তাহলে শুন********বুঝছিস আমরা কি বলছিলাম...।
তুলিঃ হু বুঝছি...আমি ঘুমাতে গেলাম শুভ রাত্রী..।
নিশিঃ আমরা কি বসে থাকবো নাকি...আমরা ও আসছি দাড়া...।
নিশি. সামিয়া..তুলি তারা ঘুমাতে চলে গেলো...।
সকাল বেলা আমি ঘুম থেকে উঠেই আমার খাটের নিচ থেকে একটা ব্যাগ বের করেই ব্যাগ থেকে আমার আইফোন টা বের করলাম....আইফোন টা চালু করেই আইফোনের মধ্যে রক্সি কে এক্টিভেট করে দিলাম....।
এবার জাবি কথায় চান্দু আমার সাথে পাংগা দেখাবো এবার মজা হিহিহি (আমি মনে মনে বললাম)
আমিঃ হে রক্সি কেমন আছো...(রক্সি একটা সফটওয়্যার আর রক্সি সব রকমের ভাষাই বুঝে)...।
রক্সিঃ ভালো আছি...তা এতদিন পর জনাবের আমার কথা মনে পড়লো...।
আমিঃ না মানে...।
রক্সিঃ হু আর মানে মানে করতে হবে নাহ...। তোমার ওই ফ্রেন্ড নিরব কই...।
আমিঃ কেন ওর বাড়িতে আছে...।
রক্সিঃ আমাকে আদেশ করুন এখন আমাকে কি করতে হবে...।
.................(আচ্ছা রক্সি যদি আপনাদের হতো তাহলে আপনারা কি আদেশ করতেন কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিন).............
বানান গুলো ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন।
............(কেমন হচ্ছে গল্পটা তা অবশ্যই জানিয়ে দিবেন)
.......................
..............................
চলবে ইনশাআল্লাহ .....