#রহস্যময়ী_ছেলে
সাকিব সাদমান
#পর্বঃ_০১
-----------------------------®®-----------------------------
ভার্সিটির গেটের সামনে দাড়িয়ে আসে সাকিব। হ্যা আজ ভার্সিটির প্রথমদিন। না মানে এই ভার্সিটির প্রথমদিন।
গেইট দিয়ে ডোকার সময়ই কয়েকদল বখাটে তার সামনে এসে দাড়ায়। আর বলে,
কিরে নতুন নাকি? (ছেলেটি) (তাদের মধ্যে একজন)
মালটা কিন্তু হেব্বি আর যাই বলিছ। (আরেক ছেলে) (বলেই সবাই হু হু হু করে হেসে দিল)
হঠাৎই একটি গাড়ি ভিতরে ডুকবে তখন ওরা যে যার মতো ছুটে সামনে থেকে চলে গেল।
গাড়িটি ভার্সিটির ভেতর প্রবেশ করলো। খুব দামি গাড়ি। গাড়ির ভিতর থেকে কে নামছে তা দেখার জন্য একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কিন্তু যা দেখলো তা দেখে সে আকাশ থেকে পড়লো।
গাড়ি থেকে একটি মেয়ে বের হয়ে আসলো। মেয়েতো নয় যেন ছেলে।কিন্তু মেয়েটি দেখতে হেব্বি কিউট ও সুন্দর। প্রথম দেখাতেই ফিদা।
যাই হউক গাড়ি থেকে নামার পর সেখান থেকে চলে গেল আর সব আসতে আসতে নিরব হয়ে গেল যেমন কিছুই হয়নি।
আমি (মানে সাকিব) ভার্সিটির ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম আর সবাই এমন ভাবে চেয়ে ছিল যেমন আমি এলিয়েন আর কেউ হাসতেও ছিল। (হ্যা কারণ আজ আমি পড়েছি ডিলে ডালা পুরানো শার্ট প্যান্ট ও শান্ডেল ও চশমা) আমি সাকিব, অনার্স ৩য় বর্ষে ভর্তি হয়েছি এখানে। তাই এখন প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি।
প্রিন্সিপালের দরজার সামনে.....
নক নক নক......
কে? (প্রিন্সিপাল স্যার)
মে আই কাম ইন স্যার? (আমি)
ইএস কাম ইন। (প্রিন্সিপাল স্যার)
স্যার আমি সাকিব। অনার্স ৩য় বর্ষে নিউ এডমিশন। (আমি)
ও আচ্ছা চলো। (প্রিন্সিপাল স্যার)
করিডরে আসতেই হঠাৎ এক জরুরি ফোন আসে আর উনি করিডর থেকেই ক্লাস দেখিয়ে চলে যান৷ আমি আনমনে ক্লাস সামনে গিয়ে...
স্যার আসবো? (আমি)
কে তুমি? (স্যার) (আমার দিকে তাকি একটু বিরক্তিকর ভাবে)
স্যার আমি আপনার ছাত্র। (আমি) (মাথা নিচু করে নিচের দিকে তাকিয়ে)
কিহ!!! তোমাকে আগে তো কখনো দেখিনি? তুমি হয়তো জানো না এটা ১ম বর্ষের নয় ৩য় বর্ষের ক্লাস। (স্যার) (একটু উচ্চস্বরে)
স্যার ও দেখবে কি করে? দেখেন না ফকিরটা ইয়া বড় চশমা লাগিয়েছে। (পিছন থেকে এক ছেলে) (বাকি সবাই শুনে হেসে উঠলো)
স্যার আমি ৩য় বর্ষের ছাত্র।ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা এর কারণে এখন এই ভার্সিটি ভর্তি হয়েছি। (আমি) (মাথা নিচু করে মন খারাপ করে)
ঠিক আছে আসো। আর ক্লাসে গিয়ে চুপচাপ বসো। (স্যার) (একটু বিরক্তিকর ভাবে)
কে যে ভর্তিকরে এইসব ক্ষ্যাত ফকির কে। (স্যার) (একটু আস্তে করে)
আমি ক্লাসে ডুকে অবাক। তখনকার সেই মেয়েটিও একই ডিপার্টমেন্টের। আমি চুপচাপ পিছনে গিয়ে শেষের বেঞ্চে বসে পড়লাম। স্যার লেকচার দিয়ে চলে গেলেন। আরেক লেকচারের জন্য অনেক সময় বাকি তাই ক্যাম্পাসটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম।
কিছুক্ষণ পর যখন আনমনে হাটতেছিলাম আর ভাবতেছিলাম হঠাৎ করে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খাই আর পরে যাই।
উঠে দেখি সেই ছেলেটি যেটি ক্লাসে আমাকে অপমান করেছিল।
সস.....(আমি)
ঠাসসসস ঠাসসসস
ফকিরের বাচ্ছা, কু*** বাচ্চা দিলিতো নোংরা করে (ছেলেটি) (রেগে)
সরি ভাই আসলে খেয়াল করি নি। (আমি) (মাথা নিচু করে)
ঠাসসস ঠাসসসস
খেয়াল করিছনি মানে ছোটলোকের বাচ্চা জানিস দাম কতো আমার ড্রেসের। (ছেলেটি) (চিল্লিয়ে,অনেকেই দাড়িয়ে দাড়িয়ে তামাশা দেখছে আর হাসছে)
ভাই যা বলার আমাকে বলেন আমার মা বাবা কে কিছু বলবেন না প্লিজ। (আমি) (অনুরোধ করে)
ছোটলোকের বাচ্চা আবার মুখে মুখে তর্ক করিছ দাড়া দেখাচ্ছি। (ছেলেটি) (শার্টের কলার ধরে টানতে টানতে মাঠের মাঝখানে নিয়ে)
ভাই আমাকে ছেড়ে দিন আমার ভুল হয়ে গেছ।আমাকে মাফ করে দিন। (আমি) (কান্না করতে করতে)
ঐ হকিস্টিক টা নিয়ে আয়তো। (ছেলেটি) (ওর বন্ধুকে উদ্দেশ্য করল)
ওর ৫/৬ জন বন্ধু হকিস্টিক দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে। আমি শুধু বলতেছিলাম ভাই আমার ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেন। প্রায় ১০/১২ মিনিট পিটানোর পর একটা মেয়ে আসে আর ওরা চুপ হয়ে যায়। হ্যা সকালের সেই মেয়েটি। আমি মনে মনে ভাবতেছিলাম কি ভালো মেয়ে।
নিলা তুই এখানে? (ছেলেটি) (মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে)
যেমন সুন্দর নাম তেমন চেহারাও সুন্দর।(আমি) (মনে মনে মনে)
আরে এই ক্ষ্যাতটা নতুন এসেছে আর তুই প্রথমদিন মেরেই বিধায় করতে চাস রাব্বি? (নিলা) (তাইলে এই ছেলেটার নাম রাব্বি)
কি বলতে চাইসিসি তুই নিলা? (রাব্বি) (একটুবিরক্তকর ভাবে)
আরে বেব কুল কুল । আমি বলতে চাইতেছিস আজই যদি বিধায় করে দিস বাকি দিন গুলো আমরা মজা করবো কিভাবে? (নিলা) (হেসে হেসে)
রাব্বি ভাবতেছে
আরে ব্যাটা এই ছেলেটা হবে আমাদের ভার্সিটির জোকার যাকে দেখে সবাই মজা নিতে পারবো আর মুড ভালো হবে আর তুই কিনা আজকেই মেয়ে বিধায় করে দিচ্ছিস? পরেতো ভয়েই আর আসবে না (নিলা)
যাহ, ভালো কথা বলেছিসতো। এভাবেতো ভেবে দেখেনি (রাব্বি)
হুম বুঝছিসতো এবার না হয় ছেড়ে দে।(নিলা) (এই বলে চলে গেল)
যাহ এভাবের মতো ছেড়ে দিলাম তরে। এই নে ৫০০ টাকা ঔষধ খেয়ে ব্যান্ডিস লাগিয়ে নিস। (রাব্বি) (এই বলে ওরাও চলে গেলো)
আমি উঠতেও পারতেছিলাম না। আমাকে এমন ভাবে মেরেছে যে আমার শরীরে অনেক জায়গা কেটে গেছে মাথার সামনে কেটে গিয়ে রক্ত পড়ছে পায়ে অনেক ব্যথা দাড়াতেও পারছিলাম না। আর কেউ সাহায্যের জন্যও আসতেছিল না।
কিছুক্ষণ এভাবে যাওয়ার পর.......
হঠাৎ একটা মেয়ে আসে। সে আমাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যায় আর সব কিছু করে দেয় পাশে থেকে।
সব কিছু করার পর মেয়ে যখন আমার পাশে আশে তখন তাকে ভালোভাবে খেয়াল করি। হয়তো ততটা সুন্দর নয় কিন্তু চেহারাটা মায়ায় ভরা। আমি অপলকভাবে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। তার এক চুটকিতে আমার ধ্যান ভাঙ্গে.....
কি দেখছিলেন এমন ভাবে? (মেয়ে) (ভুকুচকে তাকিয়ে)
আআসসলে মমমমানে..... (আমি) (নিচের দিকে তাকিয়ে লজ্জায়)
হয়ছে আপনাকে আর মানে মানে করতে হবে না। তা আগেতো কখনো দেখিনি আপনাকে এই ভার্সিটি?? (মেয়েটি)
আমি আজই জয়েন করেছি নতুন। ৩য় বর্ষে রসায়ন ডিপার্টমেন্টে (আমি)
আমিওতো একই ডিপার্টমেন্ট। (মেয়েটি)
আপনাকেতো ক্লাসে দেখলাম না আজ? (আমি)
আমি প্রথম লেকচার এটেন্ড করিনি আজ। (মেয়েটি)
ও আচ্ছা (আমি)
তা আপনি নতুন এসেই ওদের সাথে লাগতে গেছেন কেন? ওদের চিনেন ওরে হচ্ছে........
রহস্যময় ছেলে
সাকিব সাদমান
#পর্বঃ০২
_________________®®____________________
তা আপনি নতুন এসেই ওদের সাথে লাগতে গেছেন কেন? ওদের চিনেন? ওরা হচ্ছে.......
(১ম পর্বের পর থেকে)
ওদের দুজনের বাবাই এই শহরের বড় ব্যবসাহী। ওদের বাবার খুব নাম ডাক আছে। সেই কারণে ওরা যা ইচ্ছা তাই করে। সাবধানে থাকবেন।
আরে আমি কি ইচ্ছা করে লাগতে গেছি নাকি?? (আমি)
তাহলে ওরা আপনার সাথে এমন করলো কেন? (মেয়েটি) (অন্যরকমভাবে চেয়ে)
তারপর সব কিছু খুলে বাললাম আমি।
ও আচ্ছা। (মেয়েটি)
বাই দ্যা ওয়ে আপনার নামটাই জানা হলো না কিন্তু? (আমি)
আমার নাম সুমাইয়া। আপনার নাম কি? (সুমাইয়া)
আমার নাম সাকিব। (আমি)
ওকে আমার এখন উঠতে হবে অনেক লেট হয়ে গেছি। (সুমাইয়া) (ঘড়ি দেখতে দেখতে)
আচ্ছা। ধন্যবাদ। (আমি)
আরে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নাই আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলেও আমি তাকে এখানে আনতাম। এখন আসি। (সুমাইয়া) (বলেই সে চলে গেলো)
আমি তার যাওয়ার দিকে অপলক চেয়ে ছিলাম। অনেক মেরেছে তাই ২ দিন থাকতে হবে। ২ দিনে সুমাইয়া ও দেখা করে গেছে আমার সাথে কয়েকবার। এখন আমরা বন্ধু। এই শহরে ও হলো আমার প্রথম বন্ধু।
তার ২দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হলাম। হ্যা আমি এই শহরে একটা ফ্ল্যাট এ উঠেছি। সেখানে একাই থাকি।
ঐদিন আর ভার্সিটি যাওয়া হয়ে উঠে নি। পরেরদিন একটু দেরিতেই ঘুম ভাঙ্গলো। আর উঠে ফ্রেশ হয়ে এক কাফ চা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। আজও সেই আগের মতো পোশাকেই।
ভার্সিটি গেইট দিয়ে ডুকতে যাব তখনি দেখলাম রাজ আর নিলারা বসে আড্ডা দিচ্ছে।
আল্লাহর নাম নিয়ে ওরা যেদিকে বসে আছে তার উল্টা দিক দিয়ে হাটা ধরলাম। কারণ আমি ঝামেলা চাই না।
যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। উল্টা পথ দিয়ে এসে দিকে ওরা এই পথের শেষ প্রান্তে বসে আছে দেখে মনে হয় আমারই অপেক্ষা করতেছিল। যাই হউক আমি আল্লাহর নাম নিয়ে চলে যেতে নিচ্ছিলাম তখনই ডাক দিল একটা ছেলে। রাজের সাথেই মানে রাজের বন্ধু।
এই ক্ষ্যাত এদিকে আয়। (ছেলেটি) (বাকি সবাই হাসতেছে)
আমি না শোনার বান করে চলো যাইতেছিলাম।
ঐ ছেলেটা পিছন থেকে কলার ধরে টানতে টানতে রাজ আর নিলার সামনে নিয়ে গেলো।
ভাই আমাকে এখানে এনেছেন কেন?? আমিতো কিছুই করিনি। (আমি) (ভয়ে ভয়ে)
ঐ ছোটলোকের বাচ্চা তকে এখানে কেন এনেছি তার কৈফিয়ত দিতে হবে এখন? (রাব্বি) (শার্টের কলার ধরে রেগে + চিল্লিয়ে)
না না না ভাই আসসসলে..... (আমি)
ঐ প্রিন্সিপাল আসছে এখন ছেড়ে দে। (নিলা) (একটু বিরক্তিকর ভাবে)
আর আমি দাড়িয়ে মুচকি মুচকি আর ভাবছি। (কি ভাবছি সেটা এখন রহস্য থাকুক)
ওরা ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো। ক্যাম্পাসের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আমি ভিন্ন গ্রহের প্রাণী। কেউ কেউ হাসছেও। আমি পরওয়া না করে ক্লাসে চলে গেলাম।
২ ক্লাস শেষ হতেই একটা ছেলে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো আমি আশরাফুল। (ছেলেটি খুব বড়লোক কাপড় দেখলেই বুঝা যায়। ব্রান্ডেড সকল কাপড় চোপড়।)
আমি বললাম আমি সাকিব তবে হাত বাড়ালাম না।
আমরা কি বন্ধু হতে পারি? (আশরাফ)
আপনি আমার সাথে বন্ধুত্ব করবেন? (আমি) ( অবাক হয়ে)
হ্যা কেন কোনো সমস্যা? (আশরাফ)
না আসলে আমি গরীব আপনি কত বড়লোক তো তাই। (আমি) (মাথা নিচু করে)
দেখ ভাই আমার কাছে বন্ধুত্ব বড় টাকা পয়সা না। আর আমি ওদের মতো না আজ থেকে বন্ধু তাহলে? (আশরাফ) ( হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
আমিও কিছু একটা ভেবে হাত বাড়িয়ে বন্ধু হয়ে গেলাম।
তারপর বললো বন্ধু তুমি আর আপনি বলতে কিছু নাই তুই করে বলবি। (আশরাফ)
ঠিক আছে। (আমি) (কিছু একটা ভাবতে ভাবতে)
চল এখন উঠি (আশরাফ) (দাড়িয়ে)
কি হলো ক্লাস করবি না? (আমি)
না আজ আর ক্লাস করবো না। (আশরাফ)
আমিও কিছু না ভেবে ওর সাথে উঠে ক্যান্টিনে গেলাম।
ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম কোথা থেকে একটা ছেলে এসে বলাতছে এই ক্ষ্যাত চল ভাই তকে ডাকছে।
কে ডাকছে? (আমি)
তরতো সাহস কম না মুখে মুখে তর্ক করিছ। (ছেলেটি)
তকে রাব্বি ভাই ডাকছে। (ছেলেটি)
ওকে চল। (আমি) (দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে, আশরাফ আসতে চাইছিল আমি না করে দিছি আর বলছি আমি দেখি আগে পরে না হয় তকে নিয়ে যাব।)
আমি আর ছেলেটি সেখানে যেতেই....
ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস
কি ভাবছেন? চড় কাকে দিয়েছে? আমাকে না।
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই আবারও
ঠাসসসসস ঠাসসসসসসস
তর সাহস কি করে..........
রহস্যময় ছেলে
#পর্বঃ০৩
কিছু বুঝে উঠার আগেই
ঠাসসসস ঠাসসসস
তর সাহস কি করে হয়.........
(২য় পর্বের পর থেকে)
হ্যা আপনারা ঠিক ভাবছেন দ্বিতীয়বার যে চড় সেটা আমার গালে পড়েছে আর প্রথমবার যেটা সেটা ঐ ছেলের গালে যে আমাকে এনেছে। ছেলেটি চড় খেয়ে চুপ হয়ে রাব্বির পিছনে গিয়ে দাড়ায়। তারপর নিলা...
তর সাহস কি করে হয় আশরাফের সাথে বসার? (নিলা) (রেগে কটমট করতে করতে)
ওমা, ওই তো বন্ধুত্ব করতে আসছে তো কথা বলবো না? (আমি) (মাথা নিচু করে কারণ ঝামেলা চাই না)
সে যাই হউক ওর সাথো যাতে আর তকে না দেখি। (নিলা)
আমি আর এখন বন্ধু। বন্ধুর সাথে থাকলে সমস্যা কোথায়? (আমি) (একটু অবাক হয়ে)
ওর মতো একটা স্মার্ট ছেলে তর মতো ছোটলোকের সাথে যায় না। তকে যা বলছি তাই করবি। (নিলা) (রেগে)
পারবো না। (আমি) (মুচকি হেসে)
কি বললি তুই মুখে মুখে তর্ক শিখে গেছিস। (নিলা) (শার্টের কলার ধরে)
কি হয়েছে রে? (রাব্বি) (রাব্বি একটু দূরে দাড়িয়ে ছিল সেখান থেকে আমাদের কাছে এসে)
দেখ শালা ফকিরের বাচ্চার ভাব বেড়েছে আশরাফের সাথে বন্ধুত্ব করে। (নিলা) (হু হু করে হেসে হেসে)
যখন রাব্বি চড় দেওয়ার জন্য হাত উঠালো তখনই আশরাফ ওর হাত ধরে নিল আর বলল
দেখ ও আমার বন্ধু তদের সাথে ওর কি তা আমি জানি না!!! আর জানতেও চাই না তাই ওরে যাতে বিরক্ত করতে না দেখি। (আশরাফ) (রেগে গিয়ে)
নিলার রাগ চরম পর্যায়ে। আর আমি ওকে দেখে খুব হাসতে ইচ্ছে করতেছিল। তবুও হাসি ভেতরে চেপে রেখেছিলাম।
তারপর আশরাফ বললো সাকিব চল এখান থেকে। আমি আশরাফের সাথে যাওয়ার সময় নিলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসলাম।
(আসলে নিলার ভাই ও আশরাফের ভাই দুজনই মাফিয়া। আর নিলার আপন ভাই আর আশরাপের খালাতো ভাই। আশরাফের খালাতো ভাইয়ে কেউ নেই আশরাফের ফ্যামিলি ছাড়া তাই আশরাফকে নিজের ভাইএর থেকে বেশি আদর করে তাই ভার্সিটি সবাই আশরাফকে ভয় পায়। বাকি টুকু গল্পে জাইনেন তবে এটা যে আপনারা জানেন সেটা কিন্তু আবার হিরো জানে আবার জানে না। এটা একটা রহস্য সাথে থাকলেই বুঝবেন।)
ঐ শালা কলেজে এসেই ওদের সাথে লাগতে গেছিস কেন? (আশরাফ) (রেগে গিয়ে)
আমি ওকে শুরু থেকে সব বললাম। আর একটা দীর্ঘশ্বাস নিলাম।
এতোকিছু হলো কাল আর আমি জানতেই পারলাম না। (আশরাফ) ( অবাক হয়ে। কারণ গতকাল আশরাফ ভার্সিটি আসেনি আর আজ আসেনি সুমাইয়া)
হ্যা রে। বল আমার কি করার আছে? (আমি) (একটু অসহায় ভাবে)
তাও ঠিক। তবে দূরে দূটে থাকবি। (আশরাফ) (কি একটা ভাবলো কিন্তু বললো না)
তারপর আচ্ছা ঠিক আছে চল বাসায় যেতে হবে। (আমি) (উঠে দাড়িয়ে)
হুম তুই যা আমার একটু কাজ আছে। আর শুন তর নাম্বারটা দে তো। (আশরাফ)
সরিরে দোস্ত আমার কাছে মোবাইল নাই।(আমি) (একটু মন খারাপ করে)
আচ্ছা ঠিক আছে এখন যা কাল একটু আগে আসিছ তর ভাবির সাথে পরিচয় করাবো। (আশরাফ) (কিছু একটা ভেবে তারপর বললো)
তারপর আমি আচ্ছা বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। আমি ফ্ল্যাট এ যাওয়ার জন্য হাটছিলাম তখনই দেখি কয়েকটা ছেলে একটা মেয়ে নিয়ে পাশেই নির্জন একটা ভাঙ্গা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। আমিও সেখানে দাড়িয়ে না থেকে তাদের পিছন পিছন গেলাম। দেখে মনে হচ্ছিল বখাটে ছেলে পেলে। তারা একটা বাড়ির ভেতর ডুকলো আমিও পেছন পেছন ডুকলাম। ডুকার পরে একজন আরেকজন বলা শুরু করলো.......
কি মালরে বাবা। (১ম ছেলে)
হুম ঠিক বলছিস সেই মাল। (২য় ছেলে)
আজ পার্টি হবে সেইরকম মামা (৩য় ছেলে)
দেখ ভাই আমার এটা ঠিক মনে হচ্ছে না। ভয় করছে। (৪র্থ ছেলে)
বুঝতে বাকি নাই ৪র্থ ছেলে কিছুটা ভদ্র আর ভিতু। আর দেখেই মনে হচ্ছে ওদের সাথে আজ প্রথম আসছে।তারপর
তর ভালো না লাগলে চলে যা। তবে কাউকে কিছু বলবি না। বললে পরিণাম খারাপ হবে। (২য় ছেলেটি) (একটু রেগে)
আচ্ছা বলে ছেলেটি ভয়ে চলে গেলো। তারপর বাকি ৩জন প্রচুর ড্রিংক করলো। আর আমি ওদের ড্রিংক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেতেছিলাম। আর সেই সময়টা এসে গেলো ওরা পুরা নেশায় ডুবে গেছে। কথায় আছে মেয়ে নেশা সব থেকে বড় নেশা। নেশায় কিছু মনে না থাকলেও ঐ মেয়ের কথা ওরা ঠিকই মনে রেখেছে।
মেয়েটা এখনও অচেতন অবস্থায় তার মানে ওরা অঙ্গান করে এনেছে। আর যখনি ওরা মেয়ের কাছে যাবে আমিও ওদের সামনে যাই। নেশায় থাকার কারণে আমার চেহারা ওরা বুঝতে পারে না। তবে একজন বলে উঠে......
কেবববে তততুইই? (২য় ছেলেটি)
তদের সব কয়টার যম। (আমি)
(বলে আর দেড়ি করি নি উরুম পেদানি শুরু করেছি লাঠি দিয়ে। নেশায় থাকায় আমার কাছে আসতেই পারতাছে না। অনেক পিটিয়েছি। সারাজীবন মনে রাখবে আর এমন ভাবে পিটিয়েছি যাতে বহুদিন হাসপাতালে থাকতে হয়। মারতে মারতে আধমরা করে দিয়েছি।)
ওদের ছেড়ে এখন মেয়েটির কাছে গিয়ে কিছুক্ষন ওকে জাগানোর বৃথা চেষ্টা করলাম। কিন্তু লক্ষা করলাম হাতে কিছু চুড়ি দিয়ে কাটার দাগ বুঝতে বাকি নেই এই ছেলেরা করেছে। তারপর আর কি মেয়েটা কে কূলে তুলে নিয়ে গেলাম পাশের এক হাসপাতালে।
ডাক্তার বললেন তেমন কিছু না হাইডোজ দেওয়ার কারণে ঘুমিয়ে আছে। এখন রেগেও যেতে পারবো না৷ দেখি মেয়েটার মোবাইল দিয়ে কাউকে কল করা যায় কিনা!!
মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি লক করা। তবে মনে হয় কপাল ভালো ছিল একটা কল এসেছে তাতো লেখা ভাইয়া।
আমিও সাথে সাথে কল ধরলাম।
কিরে তুই কোথায়? (অপরিচিত লোকটা) (খুব চিন্তিত ভাবেই)
আসসালামু আলাকুম। (আমি) (একটু শান্ত ভাবে)
কে আপনি? আর এই ফোনই বা আপনার কাছে কেন? আমার বোন কোথায়?? (লোকটা) (খুব রেগে আর চিন্তিত ভাবে)
আরে আরে শান্ত হোন আগে একটু আর আমার... (আমি) (বাকি কথা বলার আগেই থামিয়ে দিয়ে)
দেখ ভালোই ভালোই বলছি বলে দে আমার বোন কোথায় না হলে.... (লোকটা) (রেগে বলেছে) (তবে পুরাটা বলতে না দিয়ে থামিয়ে দিয়ে)
আচ্ছা বিপদতো মশাই আগে আমার কথাটাতো শুনবেন নাকি? তারপর না হয় যা বলার বলবেন? (আমি) (একটু রেগে)
আচ্ছা কি বলবেন বলেন। (লোকটা) (একটু বিরক্তকর ভাবে)
আমি যা বলবো উল্টা প্রশ্ন করবেন না। আমি বলা শেষ্ট হলে তারপর প্রশ্ন করবেন বুঝতে পারছেন? (আমি) (একটু রাগী ভাবেই)
আচ্ছা (লোকটা) (শান্তভাবে)
এই ফোনটা যার তার আপনি কি হন? (আমি)
আমি ওর বড় ভাই হই। (লোকটা) (চিন্তিতভাবে)
আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি তাড়াতারি এই ******** আলে আসুন এসে এই নাম্বারে কল দিবেন। তেমন কিছুই হয় নাই আগে আসুন তারপর কথা হবে। (আমি) (অপরপাশে বলতে না দিয়েই কেটে দিলাম)
প্রায়ই ৩০/৪৫ মিনিট পর কল আসলো রিসিভ করতেই বললো.......
আমি চলে এসেছি। রিসিপশনে আছি। (লোকটা)(ভয়ে)
আচ্ছা ৩০২ নাম্বার কেবিনে এসে পড়েন। (আমি) (বলেই কেটে দিলাম)
কিছুক্ষণ পর তারা আসলো। আর ঐ মেয়েটিকে দেখলো বেডে আছে। ওরা সবাই ওকে ডাকাডাকি শুরু করে দিল। হ্যা একা আসেনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসছে।
তারপর আমি বললাম দেখেন ওকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়েছে এখন রেস্ট করতেছে। এভাবে ডাকাডাকি করলে লাভ হবে না কাল সকালের আগে ঘুম ভাঙ্গে না। তারপর ওরা আমার কাছে জিজ্ঞেস করলো কে আমি? আর ওর অবস্থা কেন?
আমি সব খুলে বললাম। ওরা আমাকে ধন্যবাদ দিল। আমি বললাম এটা আমার দায়িত্ব ছিল। তারপর বিদায় নিয়ে চলে আসলাম ওদের থেকে।
বাসায় আসতেই অবাক আমার ফ্ল্যাত ভেতর থেকে লক। কে আসলো ভাবতেছি আর নিজের পকেট থেকে চাবি দিয়ে ভিতরে ডুকেইতো আমি অনেক বড় শক খেলাম কারণ..........
রহস্যময় ছেলে
সাকিব সাদমান
#পর্বঃ০৪
_________________®®____________________
বাসায় আসতেই আমি অবাক কারণ আমার ফ্ল্যাট ভেতর থেকে লক। ভাবতে ভাবতে লক খুলে ভেতরে প্রবেশ করেতো আমি পুরাই শক কারণ.............
।
।
।
।
(৩য় পর্বের পর থেকে)
ভেতরে সোফায় বসে ছিল বাবা, ভাইয়া আর ছোট মামনী। আমি দেখে অনেক খুশিও হলাম কারণ অমি অনেকদিন পর তাদের দেখলাম।
ভীতরে পা দিতেই বাবার ডাক সাকিব....
বাসায় আসতে এতো দেরি হলো কেন? (বাবা) (একটু রেগে)
আসলে আব্বু একটু..... (আমি) (পুরোটা বলার আগেই থামিয়ে)
তুইকি আবার শুরু করছিস নাকি? (ভাইয়া) (একটু রেগে) (আর আমার ছোট মাম্মাম আমাকে দেখেই আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার কুলে উঠে গেছে)
আরে বাবা,বলতে তো দিবে আমাকে। (আমি) (এইবার আমিও রেগে গিয়ে)
হ্যা বলো। (বাবা) (একটু শান্ত হয়ে)
তারপর সবকিছু খুলে বললাম আসার সময় যা যা হয়েছে।
তারা শুনে খুশিই হলো। তারপর.....
আম্মু আর ভাবীও রান্নাঘর থেকে চলে এসেছে। (আমি যখন বাসায় ভেতর এসেছি তখন তারা রান্না করতেছিল)
আম্মু আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বললো কেমন আছিস বাবা? (আম্মু) (আম্মু কান্না করতে করতে)
এতোদিন ছিলাম না আজ একটু হয়েছিলাম ভালো আর তুমি কান্না করে আবার মনটা খারাপ করে দিতাছো। (একটু করুণসুরে)
তুমি কেমন আছো আম্মু? (আম্মু) (আম্মুর চোখের জল মুছে দিয়ে)
এতোদিন ছিলাম না আজ হয়ে গেছি আমার কলিজা কে দেখে। (আম্মু) (আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)
হ্যা ওইতো তোমার কলিজা আর আমি তো কেউ না। (বড় ভাইয়া) (একটু অভিমাণ করে)
হ্যারে তকে তো কুড়িয়ে পেয়েছিল তাই তর প্রতি ভালোবাসা নাই। (আমি) (হু হু হু করে হেসে হেসে)
আমি পাইছে না তকে পাইছে ফাজিল কোথাকার। (ভাইয়া) (আমার কান টান দিয়ে। ভালোবাসার খাতিরে একে অপরকে ছোট থেকেই তুই বলে ডাকি)
ওওওওওহহহহজজজহ আহহহহহহ লাগছে ছাড়.....(আমি) (ব্যাথায় কান ছোটানোর বৃথা চেষ্টায়)
আহ কি শুরু করলি থামবি তরা? (আম্মু) (একটু ঝারি দিয়ে)
দেবরজি তো আমাকে ভুলেই গেছে। (ভাবি) (একটু অভিমাণ করে)
এইরে সবার সাথে কথা বলতে গিয়ে ভাবির সাথে কথাই বলি নাই।
আরে কিযে বলো না আমার সুন্দরী ভাবি সবাইকে ভুলা গেলেও তোমাকে ভুলা যাবে না। (আমি) (আমি একটু করুণসুরে)
আরে তা তো দেখতেই পাইলাম (ভাবি) (অভিমাণ করে)
আরে বুঝো না কেন? সবার সাথে কথা শেষ করেছি যাতে তোমার সাথে অনেকক্ষন কথা বলতে পারি। (আমি) (একটু মুচকি হাসি দিয়ে)
হয়েছে হয়েছে এবার তরা খেতে চল। অনেক রাত হয়েছে। (আম্মু) (একটু রাগি ভাবে)
সবাই বাধ্য হয়ে খাবার টৈবিলে চলে গেলো। এখন একটু পরিচয় করিয়ে দেই আব্বু আম্মু ভাইয়া ভাবির সাথে।
(আব্বুর নাম মো সুরুজ আহমেদ। আহমেদ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান মালিক। কোম্পানিটি দেশের ১নাম্বার এ রয়েছে যেটার দেখা শুনা ভাইয়া (মো রাকিব আহমেদ) আর আব্বু দুজন করে থাকে। ভাবি (জেসমিন আক্তার) আম্মু (হোসনেআরা) আর ছোট মাম্মাম এর নাম মাইশা। এই হলো ফ্যামিলি)
ফ্যামিলি সম্পর্কে জানলেন এবং আরো অনেক কিছু জানবেন। নায়কের আরো একটি পরিচয় আছে আসতে আসতে সামনে আসবে।
তারপর রাতে সবার সাথে খেয়ে কথা বলে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এখানে আসার পর থেকে প্রায়দিন ফজরের নামাজের পর আর ঘুম আসি না। একটু বাইরে হাটাহাটি করি। আর আজও তাই করলাম বাসায় আসলাম ৭ঃ৩০ মিনিটের দিকে। আমাকে দেখে আম্মু ভাবি ভূত দেখার মতো চমকে গেলো। যে ছেলে ১০ টার আগে উঠে না সে ৭ঃ৩০টায় তাদের সামনে।
দেখি বাবা তর জ্বর আসছে কিনা? (আম্মু) (কপালে হাত দিয়ে)
আরে কি করছো কিছুই হয় নাই। (আমি) (একটু দূরে গিয়ে)
তা ভাইয়া আজ এতো সকালে কিভাবে? (ভাবি) (ভাবির ভাই নাই তাই আমাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসে।)
এখানে আসার পর থেকে প্রতিদিন সকালেই উঠি। (আমি) (একটু বিরক্তকর হয়ে)
যাই হউক আমার ছেলেটা সুদরে গেছে। (আব্বু) (হেসে হেসে)
তারপর সবাই মিলে নাস্তা করে তাদের বিধায় দিয়ে সেই আগের মতো পোশাক পরে বেড়িয়ে পড়লাম।
(কি ভাবছেন কাল পোশাক নিয়ে কথা হয় নাই কেন? তাহলে শুনুন আমার বাসার চারপাশে আব্বুর লোক আছে বাসার সবকিছু খবর সে পায়। আর আমার এরকম পোশাক পড়া দেখলে বা শুনলে রাগ করবে তাই বাসা থেকে বেড় হয়ে একজায়গায় এসে চেন্জ করে নেই। আর বাসায় যাওয়ার আগে আবার চেন্জ। বাকি আরো কিছু আছে সেটা আসতে আসতে জানবেন।)
তারপর হাটা ধরলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে। ভার্সিটি যাইতে ২০/২৫ মিনিএ লাগবে হেটে হেটে যেতে।
(আরে ভাই আপনারা কি ভাবতাছেন আমি কিপ্টামি করি তাই এতো টাকা থাকতেও এতো কম খরচ করি হেটে যাই। এর এক রহস্যময় অতীত আছে যার কারণে এমন ভাবে চলি আসতে আসতে জানতে পারবেন।)
প্রায় ৩০ মিনিট পর ভার্সিটি পৌছে গেলাম। ভার্সিটির ভিতর প্রবেশ করার পরই দেখলাম নিলা আমার দিকেই আসছে আর হাতে কাগজ। আর নিলা খুব রেগে আছে.....
আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওর ছেলে পেলেরা আমাকে টানতে টানতে মাঠের মাঝখানে নিয়ে গেলো।
কিছুক্ষনের মধ্যে সবাই এসে গেলো আর আশরাফ সুমাইয়া ওরাও ছিল আর কিছু স্যাররাও ছিল।
তখনই আশরাফ বলে...
কি হচ্ছে টা কি নিলা? (আশরাফ) (একটু রেগে)
কি হচ্ছে মানে? এই ছোটলোকের বাচ্চা আমাকে প্রেম পত্র দিছে ওর সাহস কি করে হয়। (নিলা) (রেগে প্লাস চিল্লিয়ে)
দেখি কাগজটা এদিকে দেও তো! (আশরাফ) (নিলার হাত থেকে কাগজ নিয়ে পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে)
কিরে এইসব কি? (আশরাফ) (আমার দিকে তাকিয়ে)
কি!! আমি এইসব কিছু দেই নাই। দেখি দে তো কাগজটা। (আমি) (আশরাফের থেকে নিয়ে)
আর দাড়িয়ে দেখছিস কি মার!!(নিলা) (রাব্বির ছেলেপেলেদের) (আশরাফ কিছু বলতে যাবে আমি ইশারা দিয়ে না করে দিলাম।)
একজন মারতে আমি হকিস্টিক ধরে নিলার সামনে যাই এমনটা দেখে সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে। তারপর আমি বলি......
এই যে ম্যাডাম শুনুন এইটা আমি লিখি নাই আর (আমি) (নিলাকে উদ্দেশ্য করে)
আর কি? (নিলা) (চরম রেগে গিয়ে)
আর আমার নাম সাকিব রায়হান না আমার নাম সাকিব আহমেদ আর নাম টা দেখুন আর আমার ব্যাগে খাতা আছে হাতের লেখা চেক করুন। (আমি) (আমি এইবার একটু রেগে)
তারপর আমার বলা মতো সব চেক করে নিলা রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো।
তারপর আসতে আসতে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আমি আশরাফ সুমাইয়া একসাতে হই আরো কিছু বন্ধু। সবার সাথে পরিচয় করাইয়া দিল। সুমাইয়া কি চিনি সেটা আশরাফকে আগেই বলা। আর আয়রাফ আশরাফের গার্লফ্রেন্ডের সাথেও আমাদের পরিচয় করাইয়া দেয়।
আশরাফের গার্লফ্রেন্ডের নাম রিয়া। আমি রিয়া ভাবি ডাকি।
তারপর ওরা সবাই আমাকে একটা বক্স দেয়। আমি জিজ্ঞেস করি এতে কি আছে?
খুলে দেখ! (আশরাফ) (একটু হেসে)
আমিও কথা না বাড়িয়ে খুলে দেখি মোবাইল। খুব দামি মোবাইল।
গরীব বলে করুনা করছিস আমার উপর (আমি) (একটু মন খারাপ করে)
দেখ শালা সবার সাথে যোগাযোগ করতে হয় আর তুইও আমাদের বন্ধু যোগাযোগর জন্য আমরা এটা গিফট করছি। (সবাই একসাথে)
ধন্যবাদ বন্ধু (আমি) (চোখে জল এসে গেলো। দুঃখের নয় সুখের)
এভাবেই ঝামেলা আর স্বাভাবিক ভাবের মধ্যেই ৭ দিন চলে যায়।
হঠাৎ স্যার এসে বলে এ্যাসান্টমেন্ট জমা দিতে হবে ৩দিনের ভিতর। তারপর আর কি আমি ওদের বলি একটু সাহায্য করতে ওরাও রাজি হয়ে যায়।
এভাবেই যায় আরো দুদিন। দেখতে দেখতে এ্যাসান্টমেন্ট জমাও দিয়ে দেওয়া হয় আর আশরাফও কিছু কাজের জন্য ১৫ দিনের জন্য লন্ডন যায়।
আর পরেরদিন আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডা শেষ করে যেই না উঠে দাড়িয়েছি তেমনি কেউ এসে ধাক্কা মারে। (আমি খেয়াল করতে পারি নাই)
উঠে দাড়াতেই
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
ফকিরের বাচ্চা দেখে........
রহস্যময় ছেলে❤
লেখকঃ সাকিব
পর্বঃ ০৫ ও ০৬
পরেরদিন আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডা শেষ করে উঠে দাড়াতেই কেউ এসে ধাক্কা দিলো পিছন থেকে। উঠে দাড়াতেই...... (উল্টো দিক থেকে ধাক্কা লাগায় খেয়াল করতে পারিনি)
ঠাসসসসস ঠাসসসসসস
ফকিরের বাচ্চা.......
(৪র্থ পর্বের পর থেকে)
।
।
।
।
ফকিরের বাচ্চা দিলিতো ড্রেসটা ময়লা করে। (মেয়েটি রাগীভাবে)
ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস
কি ভাবছেন? আমার গালে পরেছে? যদি ভাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। এইবার আমি দিয়েছি।
তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গেছে আর গালে পাঁচ আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ভয়ে উঠে দাড়িয়ে।
এই তকে আমি ধাক্কা দিছি না তুই দিছিস? (আমি) (রেগে+চিল্লিয়ে) (আমার এমন চিল্লানীর আওয়াজে পুরো ক্যাম্পাস স্তদ্ধ হয়ে গেছে। কেউ ভাবে নি আমার এমন রুপ বের হবে।)
মমমানে? (মেয়েটি) (আমার চিল্লানিতে ভয় পেয়ে)
মানে মানে করিছ কেন? আমি দাড়িছে পেছন থেকে ধাক্কা তুই দিছিস তার উপর আবার গালি দেছ। (আমি) (খুব রেগে গিয়ে)
নিশ্চুপ.....(মেয়েটি)
এইবার সবকিছুর জন্য সরি বল না হলে দেখবি আরো কত কি করি? (আমি) (রেগে সামনে এগুতে এগুতে)
সসসররররি। (মেয়েটি) (ভয় পেয়ে) (মেয়েটির এমন কান্ড দেখে সবাই অবাক। মেয়েটি কে জানতে পারবেন।)
ওকে চল যা এখান থেকে। (আমি) (একটু ভাব নিয়ে)
দূর বাল মুডটাই খারাপ করে দিলো। আমি আবার বসে পড়লাম। তারপর একটু খেয়াল করে দেখি ভার্সিটির সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমি চিড়িয়াখানার প্রাণী। আসতে আসতে ক্যাম্পাস স্বাভাবিক হতে লাগলো।
আর অপর দিকে
নিলা আর তার ফ্রেন্ডরা বলাবলি করছে....
বাহ ছেলের তেজও আছে দেখছি। (মণি)
হুম ছেলেটি ক্ষ্যাত হলেও দেখতে কিউট কিন্তু।(রাইসা) (নিলা কে ধাক্কা দিয়ে)
আর নিলা ভাবছে এই ছেলের এই কন্ঠ খুবই পরিচিত। কোথায় যেন শুনেছি। লাগতাছে ও আমার খুব কাছের কেউ। এইসবে ভাবছে নিলা। কিন্তু তার বন্ধুদের কথার দিকে তার খেয়ালই নাই।
হঠাৎই প্রিয়ার ধাক্কায় ঘোর কাটে নিলার।
কিরে কি এতো ভাবছিস? আবার প্রেমে টেমে পড়িস নাই তো? (প্রিয়া) (নিলা উদ্দেশ্যে করে বলে আর সবাই হাসাহাসি শুরু করে দেয়)
আমার ভালোলাগছে না আমি গেলাম। (নিলা) (বলেই চলে গেলো আর বাকি সবাই ওর দিকে চেয়ে দেখছে ওর যাওয়া।
অপরদিকে
সাকিবের বাকি বন্ধুরা সাকিবকে বলতাছে
শালা কাজ ঠিক করিছ নাই। (রাজু) (কেমন একটা ভাব নিয়ে)
কি করলাম আমি? (আমি) (ভূকুচকে চেয়ে)
তুই আফিয়া কে কেন চড় মারলি? (মায়া) (একটু ভয়ের মাঝে)
এখন বুঝতে পারলাম মোয়েটির নাম আফিয়া।
তো কি করবো? দোষ না করেই তার এমন অপমান সহ্য করবো নাকি? (আমি) (একটু রেগে বললাম ওদের কথাটা)
তুই জানিস ও কে? (নিয়াজ)
কে ও?? (আমি) (একটু অবাক হয়ে)
ওর বাবা হচ্ছে দেশের টপ১০ বিজনেসম্যানের মধ্যে একজন আর ওর ভাই হচ্ছে এখানকার ডিসি। (সুমাইয়া)
ওও আচ্ছা। (আমি) (একটু শান্ত ভাবেই বললাম) (আর মনে মনে হাসতে লাগলাম আর বললাম আমার আসল পরে জানলে সামনে দাড়ানোর সময় পা কাপবো। অনেক কষ্টেই হাসি চেপে রেখে।)
কিরে ভাই তর তো দেখি কোনো রিয়েকশনই নাই? (নিয়াজ) (একটু অবাক হয়ে আমাকে বললো।)
আর দূররর বাদদ দে তো। (আমি) (অন্য কথা বলবো তখনই)
জানিস আজ পর্যন্ত যত ছেলেদের পুলিশ নিয়ে গেছে পরেরদিন থেকে তার আর কোনো খবর থাকে না। (মায়া) (অনেকটা ভয়ে বললো)
এই শালা নিশ্চয় পাগল হয়েছে তা নাহলে ভয়ে এখনি চলে যেত। (রাজু) (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
তারপরেই ক্যাম্পাসে ৩ টা বিএমডব্লিউ এসে থামলো আগে পিছনে পুলিশের গাড়ি। ওদের কথা সবই শুনেছি বুঝা বাকি নেই এরা কারা।
তারপর গাড়ি থেকে ডিসিও নামলো সাথে আফিয়া আর পুলিশ। পুলিশ ক্যাম্পাসে বলতেছে কার সাথে ঝামেলা হয়েছে আফিয়া মামনীর।
আর আমার বন্ধুরা আমাকে এখান থেকে পালিয়ে যেতে বলতাছিল। আর আমি তাদের কথা না শুনেই হঠাৎ উপরে হাত তুলি। এটা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক। কারণ কেউ চাইবে না নিজের পায়ে কোড়াল মারতে। সবাই বলাবলি করতেছে ক্ষ্যাত শেষ। আর ঐদিকে এদের দেখে রাব্বিও পলায়ন করেছে।
ও তাহলে তুই সেই। (পুলিশ) (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
হুম আমিই। (আমি) (একটু মুচকি হাসি দিয়ে)
মৃত্যু নিকটে র তুই হাসছিস। (পুলিশ) (রেগে আমার কলার ধরে)
আরে কুল কুল সব কথা এখানেই বলবেন না থানায়ও নিবেন। (আমি) (একটা মুচকি হাসি দিয়ে)
আর সবাই ভাবতাছে এতো কিছু দেখে নিশ্চয় ছেলেটা পাগল হয়ে গেছে।
হাতে হাতগড়া পড়িয়ে দিল আমার। আর আমাকে পুলিশের গাড়ির দিকে নিয়ে যেতে নিছিলো আর আমি আফিয়ার সামনে এসে ওর দিকে চেয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলাম।
ব্যাপারগুলো ওদের মাথার উপর দিয়ে যেতে লাগলো।
নিলা আর রাব্বির বাবা ব্যবসায়ী হলেও আফিয়ার বাবা পাওয়ারফুল বেশি। আর নিলার ভাই আর আশরাফের ভাইয়ের কিছু করার ক্ষমতা নেই।
আর অপরদিকে নিলার কাছে নিলার এক বান্দবী ফোন দিয়ে বলে
জানিস নিলা ঐ ক্ষ্যাতটাকে আফিয়া পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়েছে। (রিমি)
কিহ বলছিস। (নিলা) (এই ব্যপারটা আগেই চিন্তা করেছিল)
হুম। (রিমি)
কাল থেকে চর দেখতে পাবো না রে। (নিলা) (মন খারাপ করে)
প্রেমে পড়লি নাকি? (রিমি) (হেসে হেসে)
আরেহ কি যে বলিস ঐ ক্ষ্যাত চলে গেলে মজা করবো কিভাবে। (নিলা) (কথা গুলো লুকিয়ে)
অপরদিকে........
হঠাৎ থানার বাইরে সেই রকম আওয়াজ হচ্ছে। থানার ভেতরের কেউ কিছুই বুঝতে পারছে না। হঠাৎ এক কনস্টেবল দৌড়ে এসে বলে সসসস্যার..........
চলবে.........
বিদ্রঃ ভুলত্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যা নায়কের পরিচয় এখনি পাবেন আবার পাবেন না।
রহস্যময় ছেলে❤
লেখকঃ সাকিব
পর্বঃ ০৬
হঠাৎ থানার বাইরে সেই রকম আওয়াজ হচ্ছে। কেউ কিছু বুঝতেছিল না৷ হঠাৎ এক কন্সটেবল দৌড়ে এসে বলে সসস্যার.........
।
।
।
।
(৫ম পর্বের পর থেকে)
সসসস্যার......(কনস্টেবল) (ভয়ে ভয়ে)
কি হয়েছে? তোতলাচ্ছো কেন? (অফিসার)
আসসসলেে সসস্যার.....(কনস্টেবল) (ভয়ে কথাই বলতে পারতাছে না।)
কি আসলে? আর বাইরে এতো কিছের আওয়াজ? (অফিসার) (এইবার রেগে গিয়ে)
সস্যার আসলে বাইরে আকাশে ৬/৭ টা হেলিকপ্টার উড়তেছে আর বাইরে ২০/২৫ টা খুব দামি দামি গাড়ি আসছে সবার হাতে.....(কনস্টেবল) (বলতে গিয়ে থেমে গেলো)
ককককিহহহহহ.....(অফিসার) (এইবার অফিসার ও ভয় পেয়ে গেলো। আর আফিয়ার বাবা আর ভাই কিছুই বুঝতে পারছে না। আফিয়াকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে)
সবার হাতে প্রিলোডেড আর্মস। (কনস্টেবল)) (ভয়ে তোতলাতে বলে ফেললো)
কিহহ সব আবোল তাবোল বলছো? নেশা করো নাই তো? (অফিসার) (অফিসার ভয়ে কিন্তু নিজেকে একটু সামলে নিয়ে)
(আমি ভেতর থেকে শুনছিলাম আর হাসতে ছিলাম। এরা কারা। আর কিভাবেই বা জানলো তাহলে শুনুন।)
জ্বী স্যার সত্যি বলছি। (কনস্টেবল) (একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
ফ্ল্যাশব্যাক.......
আমাকে যখন থানায় নিয়ে আশা হয় তখন আমি আফিয়া বাবা কে দেখি। সে বসে ছিল। আমাকে তাদের সামনে দাড় করানো হয়। তারপর বলে
তরতো সাহস কম না আমার মেয়ের গায়ে হাত দিস? (আফিয়ার বাবা) (রেগে আমাকে বললো)
আপনার মেয়ে কি করছে তা কি জানেন? (আমি) (একটু রেগে)
তুইতো খুব বেয়াদব। (আফিয়ার বাবা) (রাগে কলার ধরে)
আপনার মেয়ে বলে দোষ কার তা জানার প্রয়োজন বোধ করবেন না নাকি? (আমি) (তার চোখের দিকে তাকিয়ে)
তর দোষ কি তুই জানিস না? (আফিয়ার বাবা) (আমার দিকে তাকিয়ে)
না জানি না বলেন একটু শুনি? (আমি) (একটু অবাক হয়ে)
তুই আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিছ আর রাজি না হওয়ায় জোড় করিছ ওর সাথে। (আফিয়ার বাবা) (দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
কিহহহহ!!! আমি প্রেমের প্রস্তাব দিলাম কবে? (আমি) (একটু নয় অনেক অবাক হয়ে)
আফিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ও হাসতাছে। বুঝতে বাকি নেই যে আগের ছেলেগুলোকেও এভাবেই মার খায়িয়ে বিদায় করেছে।
আমাদের সম্পত্তি হাসিল করার জন্য আসছিস? (আফিয়ার ভাই) (অনেকটা রেগে বললো।এতোক্ষণ চুপচাপ সব কিছু পর্যবেক্ষণ করতেছিল।)
আমি কিছু না বলে একটা মুচকি হাসি দিলাম। (সম্পত্তির জন্য আমি প্রেমের প্রস্তাব দিছি খুব হাসি পাচ্ছে তবে হাসলে চলবে না।)
দেখছো বাবা কিভাবে হাসতাছে ছোটলোকটা। (আফিয়া) (ওর বাবাকে উদ্দেশ্য করে বললো)
অফিসার লকাবে নিয়ে আচ্ছা মতো ডান্ডা দেন তাহলেই বুঝবে মেয়েদের টিজ করার ফল। (আফিয়ার বাবা+ ভাই)
মা তুই বাসায় চলে যা এখন। (আফিয়ার বাবা)
না আমি এখানেই থাকবো৷ (আফিয়া)
জিদ করিছ না কাল আসিছ তাহলেই বুঝবি ওর কি অবস্থা করি আমরা। (আফিয়ার ভাই) (আফিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)
কিছু একটা ভেবে আফিয়া বললো আচ্ছা। তারপর চলে গেলো।
তারপর আফিয়া যাওয়ার পর
কি হলো অফিসার ইচ্ছা মতো দিন লকাবে নিয়ে। (আফিয়ার বাবা+ভাই) (একটু রেগে)
এই চল আজ তোকে মজা দেখাবো। (অফিসার হেসে)
আমি একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম
আনি একটা কল করতে চাই। এমন কথা শুনে সবাই অবাক আর আফিয়ার বাবা আর ভাই হাসতাছে। কাকে কল করবি কে তকে বাচাবে। বলেই হুহুহু করে হাসতাছে সাথে অফিসারও......
যাকেই করি না কেন একটা কল করার পারমিশন দিতে পারছেন না? (আমি) (একটু মুচকি হেসে)
আচ্ছা তর মরার সময় এতো হাসি পায় কিভাবে? (আফিয়ার ভাই) (রেগে বললো)
সময় হলেই বুঝতে পারবেন। আমি কি কল করতে পারি? (আমি) (একটু অনুরোধ করে)
কাকে কল দিবি আগে বল না হলে দিব না। আমার বাবা রিকশা চালায় বলে দেই আজ আসবো না। না হলে অপেক্ষা করবে এমনেই বৃদ্ধ মানুষ। (আমি) (একটু মন খারাপ করে)
আচ্ছা এই নে। (অফিসার) (তার ফোন এগিয়ে দিয়ে)
আচ্ছা ঐদিকে গিয়ে কল করি আসছি। (আমি) (মুচকি হাসি দিয়ে)
আচ্ছা যা। (অফিসার বিরক্তকর ভাবে)
২ মিনিট পর আসলাম কথা বলে।
তা কি বললি? (আফিয়ার ভাই)
তেমন কিছুই না। (আমি) (মুচকি হাসি দিয়ে)
কিছু বলতে যাবে আমি থামিয়ে দিয়ে।অফিসার কে বললাম.....
চলুন লকাবে? (আমি) (মুচকি হাসি দিয়ে)
সবাই অবাক আমার এরকম কান্ড দেখে। কারণ কে চাইবে নিজের ইচ্ছায় মার খেতে।
আমাকে তারা মারা শুরু করে। তার ৩০ মিনিট পর থানার বাইরে কি হলো সেটা তো জানলেনই।
ফ্ল্যাশব্যাক শেষ। অতঃপর.........
কনস্টেবলের সাথে কথা বলার মাঝেই ভেতরে ডুকলো মন্ত্রী সাহেব। দেখেতো সবাই অবাক। যে মন্ত্রী সাহেব এখানে কেন? তাহলে কি ছেলেটা? না কেউ কিছু ভাবতে পারতাছে না। আফিয়া বাবা ভাই তো দাড়িয়ে গেছে। মন্ত্রীর সাতে আছে পুলিশের প্রধান নির্বাহক। একে দেখেতো সবাই অবাক কারণ এমন সময় তারা দুজন একসাথে। অফিসার সামনে আসলে সালাম দিতেই
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
সবাইতো অবাক। কারণ চড়টা অফিসারের গালে। কেউ বিশ্বাসই করতে পারতাছে না।
সসস্যার....(অফিসার) (ভয়ে)
রাখ তর স্যার!! কাকে ধরে এনেছিস আজ? (প্রধান নির্বাহক) (আফিয়ার বাবা ভাইতো পুরা বেক্কল হয়ে গেছে)
স্যার একটা ছেলেকে নিয়ে এসেছি টিজ করার অপরাধে? (অফিসার) (বলার সাথে সাথেই)
ঠাসসস ঠাসসসসস
এবারও সবাই অবাকের চরম পর্যায়ে। কি হচ্ছে টাকি? এই যা ওনাকে এখানে নিয়ে আয়। প্রধান নির্বাহক বললো। দুজন কনস্টেবল গিয়ে আমাকে নিয়ে আসলো। আমার অবস্থা দেখে মন্ত্রী আর প্রধান নির্বাহক ভয়ে কিছু বলতেও পারতাছে না। আর তাদের এই অবস্থা দেখে থানায় যারা ছিল তারা শকড।
কে এই ছেলে সবাই এটাই ভাবতাছে।
বাবা তুমি ঠিক আছো? (মন্ত্রী) (একটু ভয়ে ভয়ে)
আরেহ মন্ত্রীসাহেব যে। (আমি) (একটু মুচকি হাসি দিয়ে)
আসলে বাবা ওদের ক্ষমা করে দেও......(মন্ত্রী) (অনুরোধ করতে যাবে থামিয়ে দিয়ে)
আরেহ মন্ত্রী সাহেব আপনিতো আমাকে চিনেনই কিছু করার হলে কি এতোক্ষণ অপেক্ষা করতাম? (আমি) (একটু মুচকি হেসে)
কিন্তু বাবা (মন্ত্রী) (থামিয়ে দিয়ে)
চিন্তার কিছু নাই মন্ত্রী সাহেব। (আমি) (মন্ত্রীর সামনে গিয়ে)
এই নে তর সাসপেন্ড ও ডিসমিস লেটার। (প্রধান নির্বাহক) (অফিসার কে উদ্দেশ্য করে)
অফিসার কিছু বুঝতেও যেও না ভেবেই আমার পায়ে পরে যায় আর বলে
স্যার আনাকে এবারে মতো ক্ষমার করে দেন আর ভুল হবে না। (অফিসার) (পা ধরে কান্না করতে করতে)
তাই? (আমি) (পা ছাড়িয়ে তার সামনে হাটু গেড়ে বসে)
হুম ভাই আর জীবনেও এমন হবে না। (অফিসার) (কান্না করে) (আফিয়ার বাবা ভাইয়ের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব)
আমি শুধু প্রধান নির্বাহকের দিকে একবার তাকালাম আর সে সব বুঝে নিলো। আর অফিসার বললো তার সাথে যেতে।
তাহলে মন্ত্রীসাহেব আমি আসি এখন। (আমি) (উল্টা দিকে তাকিয়ে বললাম)
বাবা একটা কথা বলার ছিল? (মন্ত্রী) (একটু ভয়ে ভয়ে)
চিন্তা নেই মন্ত্রী সাহেব যেভাবে আসছেন ঠিক সেভাবে পৌছে যাবেন। (আমি) (হেলিকপ্টার এ এসেছে ৩০ মিনিটের মধ্যে)
আর এখানে যারা আছে তাদের বলছি!!! আমাকে নিয়ে মাথা গামাবেন না। আমি কে? কি পরিচয় সেটা আমি না চাইকে কেউ কোনোদিন জানতে পারবে না। সো সময় নষ্ট করবেন না। (আমি) (সবাই কে বললাম)
একটু হেটে সামনে গিয়েই
আপনার মেয়ে বা বাইরের কেউ আজকের ঘটনা যাতে জানতে না পারে!! কি বলবেন সেটা হয়তো আমাকে বলতে হবে না। (আমি) (আফিয়ার বাবা+ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে)
আচ্ছা। (আফিয়ার বাবা+ভাই)
তারপর সেখান থেকে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম পরদিন সকালে ফ্রেশ হয়ে বাইরে থেকে নাস্তা করে আগে গেটাবে চলে গেলাম ভার্সিটি।
ভার্সিটির ভেতর প্রবেশ করতেই........
রহস্যময় ছেলে❤
লেখকঃ সাকিব
পর্বঃ ০৭
তারপর সেখান থেলে চলে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। পরিদিন সকালে বাইরে নাস্তারে আগের গেটাবে ভার্সিটি গেলাম।
ভার্সিটিতে প্রবেশ করার মাত্রই........
।
।
।
।
(৬ষ্ঠ পর্বের পর থেকে)
ভার্সিটিতে প্রবেশ করার মাত্রই দেখলাম সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে। মনে হচ্ছে আমি এলিয়েন।
তারপর আসতে আসতে যেখানে আড্ডা দিতাম সেখানে চলে গেলাম বন্ধুদের কাছে।
আমাকে দেখে
ভুত ভুত বলে দৌড় দিল রাজু৷ আর আমাকে দেখে যেই না নিয়াজ দৌড় দিবে আমি ওর হাত ধরে ফেললাম। আর
ভাই আমি তো কিছু করি নাই আমাকে কিছু করবেন না। (নিয়াজ) (ভয়ে ভয়ে)
আমি কি করবো? (আমি) (অবাক হয়ে)
আপনি ভুত আমি জানি। (নিয়াজ) (এই কথা বলার সাথে সাথেই)
ঠাসসসস ঠাসসসসস
শালা স্বপ্নও না ভুতও না এটা আমি৷ (আমি) (সুমাইয়া,মায়া ওরা দূর থেকে দেখতেছিল। ওরে মারার পর কাছে আসে)
আরেহ শালা তাই বলে এতো জোড়ে মারবি? (নিয়াজ) (গালে হাত দিয়ে)
তো কি করবো? জল জেন্ত মানুষকে ভুত বানায় দিছিস। (আমি) (একটু রেগে)
আর ঐদিকে রাজু কোথায় যে গেছে তার আর খবর নাই।
আচ্ছা তুই এখানে কিভাবে? (মায়া) (অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো)
আমি এখানে থাকা কি অস্বাভাবিক কিছু? (আমি) (ভূকুচকে তাকিয়ে)
আরেহ ও সেটা বলে নাই। (সুমাইয়া)
তাহলে কি? (আমি) (কিছুটা বুঝে গেছি তবুও না বুঝার ভান করে)
তকেতো কাল আফিয়ার ভাই নিয়ে গেলো তো আজ কিভাবে এলি? (নিয়াজ) (একটু স্বন্ধেহ করে)
কিভাবে এলাম মানে পায়ে হেটে।(আমি) (হাসতে হাসতে বললাম)
তবে আজ ভার্সিটি শান্ত নিলা, রাব্বি আফিয়া কেউ আসেনি আজ এখনো।
ঐ শালা চুপ মজা করবি না একবারে। (মায়া) (এইবার রেগে গিয়ে)
তা না হলে এভাবে আমার উপর গোয়েন্দা গীরি শুরু করছিস কেন? (আমি) (একটু বিরক্তকর ভাবে)
আজ পর্যন্ত আফিয়া যাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়েছে তাদের মধ্যে কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায় নি। (সুমাইয়া) (একবারে কথাগুলো বললো)
তো আমি কি করবো? (আমি) (না বুঝার ভান করে)
তুই একদিনে কিভাবে বের হলি তাও কেউ কিছুই করে নাই তকে৷ (নিয়াজ) (স্বন্দেহ করে)
আরে আমার কপাল ভালো তাই। (আমি) (একটু মুচকি হেসে)
(আমার পরিচয় জানলে আফিয়া কি আফিয়ার বাপ দাদার ১৪ গোষ্ঠিরও সাহস হবে না।মনে মনে)
মানে কি বলতে চাইছিস। (সবাই) (উত্তেজিত হয়ে)
তাহলে শুন
আমাকে যখন নিয়ে যায় তখন এখানে মন্ত্রী এসেছিল। আর তাকে সব খুলে বলি আর প্রমাণ দেখাই তাই আমাকে ছেড়ে দেয়। (আমি) (মিথ্যে বললাম)
ও আচ্ছা। (সবাই) (কিছু ভাবলে হয়তো বলবে কিন্তু বললো না।)
এভাবেই আড্ডা দিতেছিলাম কিছুক্ষণ পরেই আফিয়ার আগমণ ভার্সিটিতে।
আফিয়াকেও ওরা কেমন করে দেখছে। কিন্তু তার কোনো রিয়াকশন নাই৷
হঠাৎই আফিয়া ক্যাম্পাসে আমাকে দেখে। ও নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারতাছে না। যে আমি এখানে। ও রাগে ফুসতাছে। আমার দিকে এগিয়ে এসে কিছু বলবে মনে হয় তার আগেই
কি ম্যাডাম? (আমি) (একটু মুচকি হাসি দিয়ে)
তততুই এখানে কিভাবে? (আফিয়া) (রাগে ফুসতে ফুসতে)
কিভাবে আবার পায়ে হেটে?(আমি) (হাসি দিয়ে)
দাড়া দেখাচ্ছি মজা। (আফিয়া) (এটা বলেই কাকে যেন ফোন বের করে কল করলো। একটু দূরে চলে গেলো।)
আজ তুই শেষ। (নিয়াজ) (ভয়ে ভয়ে)
এখান থেকে চলে যা এখন৷ (মায়া)
আরেহ দেখ কি হয়!! (আমি) (একটু মুচকি হাসি দিয়ে)
তর ভয়ডর বলতে কিছু নাই? (সবাই বললো) (অবাক হয়ে)
আগে আগে দেখো হতা হে কেয়া। (আমি) (হাসি দিয়ে আফিয়ার কাছে গেলাম। ওর এতক্ষণে কথা বলা শেষ। আর মুখ বাংলা ৫ হয়ে গেছে। আমিতো বুঝে গেছি।)
তা ম্যাডাম পুলিশের গাড়ি আসবে নাকি আমি নিজেই যাবে পুলিশ স্টেশন?? (আমি) (একটু মুচকি হেসে)
ভার্সিটির সবাই আমাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কেউ কিছুই বুঝে উঠতে পারে নাই। এতক্ষণে রাব্বিও ভার্সিটি আসছে আর সব কিছু দেখছে। তবে নিলা আজ ভার্সিটি আসে নাই কারণটা অজানা।
তকেতো আমি দেখে নিব। (আফিয়া) (রাগে গজগজ করতে করতে)
তাহলে আপনার ফোন দিয়ে আমার একটা ছবি তুলুন যখন ইচ্ছা দেখতে পারবেন। (আমি) (মুচকি হাসি দিয়ে)
তারপর সেখান থেকে আফিয়া ড্রাইভার নিয়ে চলে গেলো কোথায় গেলো জানা নেই।
তারপর বন্ধুদের কাছে গেলাম। ওরা দেখি হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আরে মুখ বন্ধ কর না হলে হাতি ডুকে পড়বে। (আমি) (হাসতে হাসতে)
ওরা মুখ বন্ধ করে আমার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে আছে আর বলতেছে
তুই খুবই রহস্যজনক। (নিয়াজ) (কিছু একটা ভেবে)
হয়তো আবার হয়তো না।(আমি) (একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)
তারপর এভাবেই আড্ডা দিতে থাকি। কিছুক্ষণ পর রাব্বি ওর দলবলসহ আমাদের সামনে আসে।
ঐ শালা ক্ষ্যাত এদিকে আয়। (রাব্বি) (দেখে বুঝা যাচ্ছে আমি কে জানার জন্যই ডাকছে)
জ্বী বলেন। (আমি) (শান্তভাবে)
তর বাড়ি কই? তর ফ্যামিলি কে কে আছে? (রাব্বি)
কেন ভাই কি দরকার? (আমি) (বুঝতে পারছি সে কি জানতে চাচ্ছে তবে কিছুই বুঝতে দিলাম না।)
ঐ তর সাহস কম না তর্ক করিছ। (রাব্বি) (রাগে কলার ধরে)
বলবি কিনা বল!! (রাব্বি) (রাগে চিল্লিয়ে)
না বলবো না। (আমি) (একটু ভাব নিয়ে)
ঐ তরা শালারে.......(রাব্বি) (হঠাৎ কল আসে আর থেমে যায়। ঐপাশ থেকে কি বললো শুনা যায় নাই রাব্বি শুধু বলছে আচ্ছা।)
ঐ তরা চল এখন। (রাব্বি) (ওর চেলাপেলাদের কে বললো)
ভাই এটাকে কি করবো? (ওদের মধ্যে একজন) (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
এই শালাকে পরে দেখে নিব। (রাব্বি) (বলে চলে গেলো। সাথে বাকি সব চেলাপেলাদের নিয়ে।)
এভাবেই আড্ডা দিয়ে সেখান থেকে বাসায় এসে খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।এভাবেই কাটে দুদিন। আর এই দুদিন ভার্সিটিতে নিলা রাব্বি আফিয়া কাউকে দেখা যায় নি। তাই ভার্সিটি একদম শান্তা।
আজ ভার্সিটি থেকে একটু আগে এসে পরি। বিকালে রেস্ট করে ঘুমিয়ে ছিলাম রাতে একটু বের হয় একটা দরকারে। রাত তখন ১১ টা। নির্জন একটা রাস্তা দিয়ে আসতে ছিলাম। হঠাৎই কোনো মেয়ের চিৎকার শুনতে পেলাম। মনে হচ্ছে খুব বিপদ। আমি আওয়াজ ফলো করে সামনে এগিয়ে যেতে ছিলাম।
এগিয়ে যখন সামনে যাই দেখি কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে আর মেয়েটা বাঁচার জন্য ছটফট করতেছে।
আমি কাছে যাইতাছি আর দেখলাম মেয়েটিকে একটা বস্তায় ভরে ফেললো।
আমাকে দেখে ওরা বললো
কিরে এখানে কি চাই? (ওদের ১জন লোক) (আমাকে উদ্দেশ্য করে)
মেয়েটিকে ছেড়েদিন। (আমি) (শান্ত ভাবে)
হাহাহাহা তুই বললেই ছেড়ে দিব নাকি? (২য় জন)
ভালো হবে না কিন্তু বলে দিলাম। (আমি) (এইবার একটু রেগে)
এই শালারে দেখছি তেজ অনেক। (৩য় জন)
চল শালারে এখানে মেরে পুতে দেই। (৪র্থ জন)
তারপর ওরা আমার দিকে এগিয়ে আসতাছিল আর আমি মুচকি হাসি দিয়ে
একেকটাকে এমনভাবে মারলাম যে ওরাও কল্পনা করতে পারে নি।
মারার পরে...
বলছিলাম না খারাপ হবে তদের জন্য। (আমি) (তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে)
ভাই মাফ করে দিন। (সবাই একসাথে) (কান্না করে)
ভাই আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে ওকে নেওয়ার জন্য। (ওদের মধ্যে একজন) (আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম)
আমি এখনো মেয়েটি কে দেখি নাই। তবে ওদের বললাম
কে?? (আমি) (বুকের উপর পারা দিয়ে)
ছেলেটির নাম রাব্বি। আমাদের ১লাখ টাকা দিছে। (লোকটি)
ঠিক আছে যা তরা এখন। পরবর্তী সময় পাইলে মাইর দিয়া ভর্তা বানায় দিমু। তারপর ওরা চলে গেলো।
তারপর আমি আস্তে আস্তে বস্তার দিকে গেলাম। বস্তাটি খুললাম আর মেয়েটির মুখের ধরিও খুললাম। আর হাত পা সব খুলে দিলাম। মেয়েটি সাথে সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
মেয়েটি যখন জড়িয়ে ধরলো তখন খুব চেনা চেনা লাগতেছিল। তবে অন্ধকারের কারণে মুখটিকে দেখতে পেলাম না।
হঠাৎই মেঘের গর্জন আর বিদ্যুৎ চমকে উঠলো। বিদ্যুৎ চমকানোর আলোতে মেয়েটির চেহারা খানিক ফুলে উঠলো। আমি প্রথম ভাবলাম ভুল দেখছি দ্বিতীয় বার যখন দেখলাম তখন অনেক বড় শকড খেলাম।
আপপপনি? (আমি) (অনেক অবাক হয়ে)
হ্যা আমি। (মেয়েটি কান্না করতে করতে আবার জড়িয়ে ধরলো।
মেয়েটি আর কেউ না। মেয়েটি হচ্ছে...............